Site icon মুক্তিপত্র

জাবি ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীদের বাড়িতে পুলিশের হয়রানির অভিযোগ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পুলিশের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে গত ১০ নভেম্বর (রবিবার) ।

এই ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাধারণ সম্পাদক মেঘ মাল্লার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন “আজকে হাসান জামিল জাহাঙ্গীরনগর ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক । দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। টাঙ্গাইলে তার এলাকায় পুলিশ গিয়েছে। মসজিদে মাইকিং করে তার খোঁজ জানতে চাওয়ার নাটক করেছে। ভাবখানা এমন, যে সে পলাতক সন্ত্রাসী। জামিল ভাইয়ের বোনের শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত চলে গেছেন জনদরদী উর্দিধারীরা। চৌদ্দ গুষ্টির ব্যাংক একাউন্ট ঘেঁটে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খুঁজে গেছে। পুরো পরিবারের যাবতীয় তথ্য নিয়ে এলাকা তটস্থ করে রেখে গেছেন। একজন বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মীকে এলাকায় শিবির বলে প্রচার করেছেন। হাসিনার পেটোয়াবাহিনী হানা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিকের মুগদিয়ার বাড়িতেও।

আরেক ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী রাকিবুল রনির পরিবারকে তাড়াইল থানার পুলিশ গিয়ে শাসিয়ে এসেছে। এই সব উন্নয়নবিরোধী কর্মকাণ্ডের ফল কী হবে জানিয়ে এসেছে। জামিলের ভাইয়ের মা প্রচণ্ড অসুস্থ। এরকম দুশ্চিন্তায় তার কিছু একটা হয়ে গেলে রাষ্ট্র কি তার দায় নেবে! অবশ্য পরিবার এই দেশে একজনেরই আছে। পরিবার হারানোর ব্যথা তার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। বাকি সবাই এদেশে দুধ-ভাত।

এইখানে বিচার চাওয়ার কিছু নাই। শেয়ালের কাছে মুরগি হত্যার বিচার চাওয়া অর্থহীন। যেই দেশের প্রধান বিচারপতি অপছন্দের রায় দেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাগতে বাধ্য হয় সেদেশে স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্তের আলাপ অর্থহীন। আমি যে খবরগুলো দিলাম, এগুলো আপনাদের মিডিয়ায় শোনার কথা। শুনেছেন? না। কারণ ডিজিএফআই বলে দিলে তাদের যাবতীয় বিজ্ঞাপন ন্যাপথালিনের মতো উবে যাবে। এই দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রত্যাশা নাই। এগুলা তাও বলে যাবে, যাতে ইতিহাস থেকে এগুলো উধাও হয়ে না যায়। পাদটীকা হিসেবে হলেও টিকে থাকে।

একদিন সব হিসাব বরাবর হবে। সেই দিনের জন্য দাঁতে দাঁত কামড়ায়ে পরে থাকলাম।”

এই হয়রানির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

Exit mobile version