Site icon মুক্তিপত্র

বিভ্রান্তি ও বিড়ম্বনার নাম যখন উবার

রাইড শেয়ারের মাধ্যমে যোগাযোগের পথকে সহজতর করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে নামা জনপ্রিয় কোম্পানিটির নাম উবার। কোম্পানিটি প্রথম দিকে যাত্রী সেবার কঠোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে আসলে ঢাকাবাসির কাছে খুবই আস্থা অর্জন করে দ্রুতই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির চালকগণ যথেষ্ঠ স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠার অভিযোগ আছে অনেক যাত্রীর কাছেই।

অভিযোগগুলো হলো নিম্নরূপঃ-


১| যাত্রী সেবার নামে ভোগান্তির অভিযোগগুলোর মধ্যে কল রিসিভ করে স্থান জিজ্ঞাসাপূর্বক ড্রাইভারের পছন্দের জায়গা মত রাইড পিক আপ করা।

যেমন- যদি কোন যাত্রী নিজের ঠিকানায় যেতে চায় সেক্ষেত্রে যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করে থাকে ড্রাইভার এবং ড্রাইভার সাধারণত কাছের রাইডগুলো ডিনাই করে দেয় তাদের খেয়াল-খুশি মত। যাত্রী সেবার মান বা দায়বদ্ধতা উবারের চালকগণ থোরায় কেয়ার করে।

২| গাড়িতে উঠার পরে উল্টাপাল্টা রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিল বেশি করা থেকে অদক্ষ গাড়ি চালানো এবং যাত্রীদের সাথে অমার্জিত আচরনসহ নানা রকমের মানহীনতা।

৩| কোন রকমের উবার কন্ট্রোল রুম অথবা যাত্রী সেবা ইউনিটহীনতা। উবার একটি নিঃসন্দেহে বড় মাধ্যম। কিন্তু, এতবড় প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের কোন সার্বক্ষণিক ইউনিট বা হেল্প লাইন বা কন্ট্রোল রুম কিছুই নেই। যার ফলে যাত্রীদের অভিযোগ শোনার ও দেখার কেউ নেই।

উবার এ্যাপস-টির মধ্যে যে কতিপয় সমস্যার উল্লেখ আছে সেগুলো যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ঠ নয়।

যেমন- দেখুন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সন্ধ্যায় গুলশান ২ চত্বর থেকে তেজগাও যাওয়ার জন্য একজন যাত্রী রাত্র ৯ টা থেকে উবার আহবান করতে করতে ৩০ মিনিট পার হয়ে যায়। এবং একের পর এক ৫ জন চালক ওই যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ হিসেবে তাঁরা কাছের দূরত্বকে দায়ী করেছে। শেষ পর্যন্ত ৪০ মিনিটের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ওই যাত্রী চিরতরের জন্য উবার ছেড়ে দিয়েছে। এই রকমের অভিযোগ অনেকের কাছেই শোনা যায়। ঘটনা তাই যদি হয় তাহলে বলতে হবে দুষ্ট গরুর থেকে শুন্য গোয়াল ভালো।

সত্যই যদি উবারের সর্বনিম্ন কোন দূরত্ব থেকে থাকে তাহলে সেটা এ্যাপসের মধ্যে সেট করে দিতে হবে। অথবা এখনকার সিস্টেম বলবৎ করতে হবে।

লেখক সরিফ মোল্লা(হ), পিএইচডি গবেষক, বেইজিং নর্মাল ইউনিভার্সিটি, চায়না।

Exit mobile version