Site icon মুক্তিপত্র

রাষ্ট্রযন্ত্রের হুঁশ হবে কবে?

আমরা জাতি হিসেবে সবকিছুতেই একাত্তরের চেতনা মেশাতে পছন্দ করি।

করোনা নিয়ে এই মুহুর্তে আমরা কোনো অংশেই কম যাচ্ছি না। মহামারী নিয়ন্ত্রনে রাষ্ট্রযন্ত্র যখন ক্রমাগত ভাবে ঘাটতিতে রয়েছে, তখন কিছু বেসরকারী উদ্যোগে ডক্টর দের দেওয়া হচ্ছে পিপিই, কেউ কেউ সেইফটি কিট বিতরণ করছে সাধারণ মানুষের কাছে, এ যেন আরেকটা যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যাস্ত তার প্রোপাগান্ডা নিয়ে আর গুটিকয়েক বোকা মানুষ নিজেদের কুরবান করছে দেশের মানুষের জন্য, মিম আর ট্রোল হচ্ছে, মা তার ডাক্তার সন্তান কে উদ্দেশ্য করে বলছে ” যা তোকে দিলাম দেশের জন্য কুরবানী”

কথা টা শুনতে যত সিনেম্যাটিক তার থেকেও প্যাথেটিক,।

একটা ব্যার্থ সরকারের ব্যার্থতা কে ব্যংগ করতেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে খেলতে হচ্ছে। আর কয়টা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সরকারের টনক নড়বে তা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না, তবে এটা হলফ করে বলে দেওয়া যায়, যারা এই মুহুর্তে নিজেদের নিরাপত্তাকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে মানুষের জন্য কাজ করছেন তারা প্রত্যেকে একেকটা ক্রাক হেডেড মানুষ, এরা নিজের ভালো বোঝে না, নাইলে কবেই খাবার দাবার স্টক করে ঘরে বসে থাকতো।

রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যার্থতা নিয়ে ডিস্কোর্স হোক, ট্রোল হোক, মিম হোক, তবুও যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়। প্রত্যেকটা সুবোধ হয়তো নিজেকে বিলিয়ে দিবে, রাষ্ট্রর খামখেয়ালিপনা নিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু করাও যায় না৷

Exit mobile version