Site icon মুক্তিপত্র

ভাত দেবার মুরোদ নাই, কিল মারার গোঁসাই

বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত এবং বলতে গেলে একমাত্র আলোচ্য বিষয় করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনে অফিশিয়ালি ঘোষণার পর তিন মাসেরও কম সময়ে পৃথিবীর ২০২ টি দেশ বা অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। সারা পৃথিবীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ ছাড়িয়েছে, এর মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ। 

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমনের কথা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম স্বীকার করা হয় গত ৮ মার্চ। গত ১ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ দিনে সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ এবং মৃতের সংখ্যা ৬। যদিও এই সময়ের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন অসুস্থ ব্যক্তি মারা গেছেন। এই সংখ্যাটি প্রতিদিন আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে। কিন্তু যেহেতু মৃত্যুর আগে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়নি এবং মৃত্যুর পর সংগৃহীত নমুনায় কি পাওয়া গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা জানা যাচ্ছে না, তাই তারা জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা খুসখুসে কাশি রোগে মারা গেছেন বলে ধরে নেয়া যায়। 

এর মধ্যে দেশে অনেক কিছু ঘটেছে। বিশ্বের সাথে সাথে দেশের অনেক দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নেয়া হাজার কোটি টাকা বাজেটের মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বিশাল জমায়েত এবং আলোকসজ্জার মধ্যে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আতশবাজি করা হয়েছে, ঠিক তার পরদিন করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে, অনেক আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও করোনার বৈশ্বিক মহামারী এবং ততদিনে দেশে আক্রান্তের এবং মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকার মধ্যেই জাতীয় সংসদের উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে হাসিমুখে ভোট দিয়েছেন। এর পরপরই অবশ্য হঠাৎ দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে থাকল। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে থাকল, সাথে মৃতের সংখ্যা। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের শঙ্কা দেখা দিল দ্বিতীয় মৃত্যুর পরেই। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হল। এইচএসসি পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করা হল। কিছু কিছু এলাকা লকডাউন করা হল। দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল। মানুষ ঈদের ছুটির মতো বাড়ির পথে ছুটল। ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের তথ্যমতে করোনা মোকাবিলায় সরকারের ছুটি ঘোষণার পর ১ কোটি ১০ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ, যাঁরা এর মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন। এরপর বন্ধ করা হলো গণপরিবহন। দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা এল। একরকম লকডাউন করা হল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হলো সেনাবাহিনী। কিছুদিন আগেও দেশের মন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ খাবার মজুদ করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে আসছিলেন। মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি নয় বলে জানানো হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হল। বাইরে বের হলে বা মাস্ক ব্যবহার না করলে কোন শাস্তির বিধান জারি করা না হলেও সাধারণ মানুষ এবং দিনমজুর যেমন রিক্সাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা বাইরে বের হলে তাদের লাঠিপেটা করতে দেখা গেল আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব চিত্র আমরা এখন প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে মানুষকে কান ধরে উঠবস করাতেও দেখা গেছে।

এরই মধ্যে গত ২৭ মার্চ যশোরের মনিরামপুরে ম্যাজিস্ট্রেট সায়েমা হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনজন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ নাগরিককে মাস্ক না পড়ার দায়ে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার খবর প্রকাশিত হয়। এমনকি ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়কে এই দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। এখানেই শেষ নয়। এই ‘শাস্তির’ ছবি আপলোড করা হয় সরকারি ওয়েবসাইটে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের জনসাধারণের উপর লাঠিচার্জ, ধাওয়া করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস সহকারীকে লাঠি হাতে নিয়ে একাধিক লোককে মারধর, কানে ধরানো এবং ধাওয়া করতে দেখা যায়।

শুরু থেকেই যে পরীক্ষা উপকরণ সংকট ছিল তা এখনো মেটানো সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা এত বড় বৈশ্বিক বিপর্যয়ের সময়েও করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য তদবিরের প্রয়োজন হচ্ছে। গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার এক মহিলার কথা জানতে পারলাম যিনি বেশ কয়েকদিন যাবত জ্বর, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা এবং খুশখুশে কাশিতে ভুগছেন। তিনি তার দুটো সন্তানকে বাসায় রেখে ‘লকডাউনের’ মধ্যে ঢাকায় করোনা চিকিৎসা বা পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত সবগুলো হাসপাতালে ঘুরেছেন। কিন্তু যেহেতু তিনি কোন সুপারিশ নিয়ে যেতে পারেননি, তাই কোথাও তার পরীক্ষা করা হয়নি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস গত ১৬ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সব দেশের প্রতি আমাদের খুব সাধারণ একটি বার্তা, তা হলো—পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। সব দেশেরই উচিত সন্দেহজনক সব রোগীকে পরীক্ষা করা। চোখ বন্ধ করে থাকলে দেশগুলো এই মহামারির সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষা ছাড়া সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত করা যাবে না, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যাবে না।” গত ২৫ মার্চ তিনি আবারও বলেছেন, “লকডাউনের মধ্য দিয়ে সংক্রমণ কমানো যেতে পারে। তবে এর বিরুদ্ধে জিততে গেলে সম্ভাব্য আক্রান্ত রোগীকে খুঁজে বের করে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শনাক্ত করে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”

মিরপুর টোলারবাগের মৃত্যুর পর কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সেই মৃত্যুর পর তার করোনায় আক্রান্ত থাকা অবস্থার যে বর্ণনা পাওয়া গেছে তাতে এই মৃত্যুর জন্য অন্তত চিকিৎসাহীন মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। এতদিন পর্যন্তও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত করার পরীক্ষা কেবলমাত্র ঢাকাতে এবং একটিমাত্র জায়গাতে হয়ে আসছে। সম্প্রতি ঢাকাতে আরো কয়েকটি হাসপাতালে এবং ঢাকার বাইরে দু’একটি জায়গায় করোনার পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী প্রথম সনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। নিশ্চয়ই পরীক্ষা শুরু হয়েছে আরো আগে। অথচ প্রায় একমাস সময়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ১৬০০ রোগীর। পরীক্ষা করানোর জন্য আইডিসিআরে এসে প্রতিদিন অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ গুলো থাকার পরেও। সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনা চিকিৎসার জন্য দেশে মাত্র ৪৫ টি আইসিইউ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে টেস্ট করানোর এখন পর্যন্ত তেমন কোন সুযোগ তৈরি হয়নি। এমনকি তেজগাঁওয়ে আকিজ গ্রুপের দেয়া জমিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্মানাধীন হাসপাতাল থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তেজগাঁও থানা সভাপতির বিরুদ্ধে। 

চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণের সংকট এখন পর্যন্ত মেটানো যায়নি। ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ কয়েকন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, বেশ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল চিকিৎসক স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন। হাসপাতালটি কার্যত বন্ধ রয়েছে। সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়ার বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

অঘোষিত লকডাউনের সময়ে রাষ্ট্রের স্বল্প উপার্জনের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো কিভাবে বাঁচবে সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি ব্রিটেন, আমেরিকা বা কানাডার কথা বাদ দিলেও (যদিও আমাদের মন্ত্রীদের ভাষ্যমতে দেশের অর্থনীতি এসব দেশের সমান বা কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা এসব দেশের চেয়ে উন্নত) যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের মানুষদের জন্য ছয় মাসের চাল এবং গম বিনামূল্যে দেবার ঘোষণা করেছেন; কেরালা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা রীতিমত বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় মডেল; নেপালে একজন করণ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পূর্বেই সেখানে আইসোলেশন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে; সেখানে আমাদের দেশে এরকম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। অথচ আমাদের অর্থমন্ত্রী সেদিন বলেছেন প্রয়োজনে করণা চিকিৎসার জন্য চীনের মতো হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে কিন্তু ঠিক কতজনের আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে এই প্রয়োজন উপলব্ধি হবে তা তিনি নিজেও জানেন কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর পরেও কোন কোন ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের বেতনের দাবিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন এই প্যাকেজ ঘোষণা দেন, সেদিনই দিনাজপুরের বিরলে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে পুলিশের গুলিতে মারা যান একজন শ্রমিক। বেশ কিছুদিন আগে থেকে আমাদের দেশের অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার সাথে তুলনা করতে শুরু করেছিলেন। এমনকি আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি কানাডার সমানও বলেছিলেন। করোনার মহামারীর সময়ে লক ডাউন বা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা জনগণের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী কি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা আমরা সবাই জানি। মালয়েশিয়ার সরকার আরএম ২৫০ বিলিয়নের দুটি  প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যা দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ১৭ শতাংশ। করোনা মোকাবেলায় সিঙ্গাপুরের বাজেটে ৪৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তান সেদেশের গরিব ও নিম্নআয়ের এক কোটি মানুষকে ৪ মাস ধরে মাসে মাসে ১২ হাজার রুপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই হিসেবে এই সময়ে একজন পাবে মোট ৪৮ হাজার রুপি। লকডাউন পরিস্থিতিতে আগামী ৩ মাস ধরে প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে তিন রুপি কেজি দরে চাল ও দুই রুপিতে গম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

সেখানে বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গত ২৪ মার্চ ২৪ হাজার ৭০০ টন চাল ও ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। ২৮ মার্চ নতুন করে সাড়ে ৬ হাজার টন চাল ও ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। অথচ বিবিএস এর তথ্যমতে দেশে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ এবং এদের উপর নির্ভরশীল জনসংখ্যা ৬ কোটি ৮ লাখ। এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দেশের ৪৯২ টি উপজেলা গড়ে পাবে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে মাদারীপুরের শিবচরে সরকারি ৬৮ বস্তা চালসহ যুবলীগের একজন নেতার আটকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাই এই ৬৭ হাজার টাকাও আসলে কোন পর্যন্ত পৌঁছায় তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

আমরা লক ডাউন ঘোষণা না করে ছুটি দিয়েছি। সম্ভবত তা আরো ৭ থেকে ১৪ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এই সময়টাতে দেশের প্রান্তিক জনগণ কিভাবে বাঁচবে, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। মানুষকে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে আমরা আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি লাঠি। করোনা ভাইরাসের এই বৈশ্বিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এক লাইনে বলা যায় – “ভাত দেবার মুরোদ নাই, কিল মারার গোঁসাই”।

Exit mobile version