Site icon মুক্তিপত্র

রাষ্ট্রীয় শুয়োরের খামার

একটা দেশ কখন শুয়োরের খামারে পরিনত হয় বলতে পারেন?

একটা দেশের ইকোনোমি স্মুদলি রান করতে তার রপ্তানিযোগ্য পণ্যের একটা বিশেষ কদর তো অবশ্যই আছে৷ সেই ৮০’র দশক থেকে আমাদের তৈরি পোশাক সেক্টর আমাদের ইকোনমিতে বেশ শক্তপোক্ত একটা অবদান রেখে আসছে, বৈদেশিক মুদ্রা এনে দিচ্ছে ভুরি ভুরি৷ ট্যাক্স দিচ্ছে, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এইসবই পজিটিভ আউটকাম। কিন্তু ভেতরকার গল্পটা কম বেশি সবার জানা হলেও কারো খুব একটা উচ্চবাচ্য নেই এই ব্যাপারে৷

একজন পোশাক শ্রমিকের নিত্তনৈমিত্তিক সংগ্রাম নিয়ে কম বেশি সবাই জানি আমরা৷ ন্যায্য মজুরি না পাওয়া, বেতন বোনাস নিয়ে প্রতিনিয়ত অসন্তোষ। তারউপর নিজের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করলে, মালিকপক্ষের পোষা রাষ্ট্রীয় গুন্ডাদের লাঠির বাড়ি, কখনো বুকে গুলি। কোনো শ্রমিক নেতা একবার যদি শক্তভাবে নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয় তাকে গুম করে ফেলা হয় চোখের পলকে৷ ২০১৩ সালে রানাপ্লাজার ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনাও তাদের কাছে কোনো ব্যাপার না।

পুরো দেশ এখন যখন করোনা ইস্যুতে অঘোষিত লকডাউনে বন্দী তখন আমাদের গার্মেন্টস মালিক নামক শুয়োরের বাচ্চারা এই সাধারণ শ্রমিকদের জীবন নিয়ে জাস্ট একটা পুতুল খেলা খেলে ফেলেছে৷ নিজেদের পকেটে প্রনোদনার টাকা যাওয়ার নিশ্চয়তা থাকার পরেও শুয়োরের বাচ্চাগুলো শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ না করে ছুটি দিয়েছে। নিজেদের অর্ডার যাতে ক্যান্সেল না হয়, চাকরির ভয় দেখিয়ে এই শ্রমিকদের আবার ঢাকায় এনেছে।
কত কত শ্রমিক গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেটে ঢাকায় এসেছে।
কম করে হলেও ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পায়ে হেটে এসেছে তারা।
আসার পর আবার নতুন নাটক সুচনা করেছে শুয়োরের বাচ্চারা৷
এই মানুষগুলার জীবনের দাম কখনো ছিলো না কারো কাছেই, এবার এদের সাথে সাধারণ মানুষের জীবনকেও হুমকিতে ফেলেছে শুয়োরগুলো।

আমাদের দেশে আজকে করোনা আতঙ্কের ২৭ তম দিন। সরকারি খাতায় ৮৮ জন আক্রান্ত আর ৯ জন মৃত। বাকিটা আমি নাই বললাম। এখন যদি করোনার একটা ম্যাসিভ আউটব্রেক হয় এই দায়ভার নিবে কে? শুয়োরর বাচ্চাদের বিচার করবে কে?

Exit mobile version