Site icon মুক্তিপত্র

সবকিছু মনে রাখা হবে (দ্বিতীয় কিস্তি)

বাংলাদেশের গুজব নিয়ন্ত্রণকারী তালেবররা করোনা ছড়ানোর জন্য, প্রথমত তাদের নির্লজ্জ মূর্খতার বলি বানাইলো বিদেশফেরত প্রবাসীদের, এরপর দুষলেন মোল্লা-মুনসিদের। নিজেদের মোটা মাথা থেকে বের হওয়া পরিকল্পনায় যখন নিরুপায় পাবলিক দলে দলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রা করলেন, তখন তাদের কেও দুষলেন। এরপর দুষলেন /হুমকি দিলেন /অপমান করলেন/চাকরি নট করার ওয়ার্নিং দিলেন, রোগিদের জন্য স্বেচ্ছায় প্রান দেয়া ডাক্তারদের।

গতবছর এই ডাক্তাররাই দিনরাত খেটে ডেংগু মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, অসংখ্য ডাক্তার প্রান হারিয়েছেন। উচিৎ ছিলো তাদেরকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানো। আরো উচিৎ ছিলো, রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ন পদ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী, তেলবাজ, ফেৎনাবাজ, গা বাচানো, চেতনাবাজদের ঘাড় ধাক্কা দিয়া বের করা।

খাদ্য, ঔষধ, চিকিৎসা বা জরুরি কাজে বের হওয়া জনগনের প্রতি করা হলো চুড়ান্ত রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘন। অথচ আমরা দেখলাম মাথামোটা নেতানেত্রীদের, পেঙ্গুইনের হাটার মতো তারা সংবাদ সম্মেলন করেন ধীর গতিতে, একজনের ঘাড়ের উপর আরো ৫০ -৬০ টা মাথা থাকে। নেতানত্রীরা হাজার হাজর লোক নিয়ে করোনা বিরোধী মিছিল করেন, হাত ধোঁয়া কর্মসূচি পালন করেন, একবস্তা চাল দান করার জন্য দেড়শজন মানুষ দু’শ বাড়ি ঘুরেন, আবার ফটোসেশন শেষ হলে সেই চালের বস্তা নিয়েও নেন।

সকল দূর্ঘটনা ঘটিয়ে, দেশব্যাপী করোনা ছড়িয়ে,মানুষকে পথের ফকির বানিয়ে, কোয়ারাইনটানে বসে, পাঁচবেলা লেমনজুস, পোলাও আর কাবাব খেয়ে ছদ্মবেশী দরদি নেতানেত্রীরা তিরস্কারের গল্প করছেন। আর এদের চোরের দল কি না চুরি করছে! নিরন্ন ভীক্ষুকের চাল পর্যন্ত ছিনিয়ে নিতেও এদের বাধে না।

গরিব মানুষের টাকায় লন্ডন, কানাডায় বেগমপাড়া বানিয়ে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা করানো রাস্ট্রপরিচালকেরা কথা, কর্ম,চুরি দিয়ে দেশের চিকিৎসাসেবাকে ধ্বংস করে ফেলেছেন। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন অসংখ্য রোগী। এমনকি করোনা নয়, সাধারণ সর্দিজ্বরেও রহস্যজনক ভাবে মারা যাচ্ছে অগনিত মানুষ।

রাস্ট্র পরিচালকদের তামাশার ভিডিও কনফারেন্সে কি এসব কথা বলা হয়! রাস্ট্র কি পারেনা চুরি-বাটপারি-চিটারি করা এইসব বদমাইশের ঘর থেকে সম্পদ ও খাদ্যের পাহাড়কে লাখ লাখ মৃত্যপথযাত্রী নিরন্ন, অসুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে। অসংখ্য আজাইরা প্রজেক্ট দিয়ে ও নিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা পদ্মার জলে ভেসে গেলো , কেসিনোর কুৎসিত যৌনাচারের মতো, আকাশে আকাশে কোটি কোটি টাকার আতসবাজি ফুটনো হলো। তেলবাজ এলিট বুদ্ধিজীবীরা সেই আতসবাজি নিয়ে কবিতা লিখলেন। ক্ষুধা ও করোনায় লাখ লাখ মৃত্যুপথযাত্রী মানুষকে দেখে এই বুদ্ধিজীবিরা কিভাবে কবিতা লেখে, কিভাবে তেলবাজি করে! ! এইসকল আতসবাজি, স্টান্টবাজি,বর্বরতা আর চুরিচোট্টামির বিপরীতে সাধারণ মানুষেরা একজন আরেকজনের বিপদে এগিয়ে আসে, চিকিৎসকরা নিজের জীবন তুচ্ছ করে রোগীর কাছে যায়। ছাত্ররা পাড়ায় পাড়ায় নিরন্ন, অসুস্থ মানুষের দায়িত্ব নেয়। নিজেদের জীবন মানুষের কল্যানের জন্য উৎসর্গ করে।

সীমান্ত

Exit mobile version