Site icon মুক্তিপত্র

অপ্রত্যাশিত কর্মকান্ডে ছাত্রলীগের কার্যকরী ভূমিকা

ছাত্রলীগ, নামের মাঝে ছাত্রদের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও বস্তুত তাদের অবস্থান ছাত্রদের বিরুদ্ধে। বলতে গেলে মুক্তচিন্তক, সৎ, ও প্রতিবাদী ছাত্রদের দমিয়ে রাখাটাই হলো তাদের প্রধান কাজ।

সংখ্যায় তারা অল্প হলেও শক্তিতে তারা সাধারন ছাত্রদের থেকে অনেক এগিয়ে। কারন তাদের মেরুদণ্ড আমাদের আম জনতার মেরুদন্ডের মতো না। তাদের পিছনে রয়েছে ক্ষমতাসীন শৈরাচারীদের সহায়তা ও সমর্থন। তারাও প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মত মানুষ হিসেবেই সমাজে বসবাস শুরু করে। কিন্তু একটু ক্ষমতা আর শৈরাচারীদের সহযোগিতা তাদের দিন দিন রক্তপিপাসু করে তুলে। আর তারপর খুন, হত্যা, মারামারির মত সামাজিক ব্যাধিতে তারা বারবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে তাদের কে সন্ত্রাসলীগ না ডেকে ছাত্রলীগ কেন ডাকা হয় ?

এর জন্য আপনি, আমি আর আমাদের বাকরুদ্ধতা দায়ী। তারমানে অপরাধ ছাত্রলীগ করলেও আপনি, আমি, আমরা সমান ভাবে অপরাধী। কারন যে অত্যাচার করে আর যে অত্যাচার সহে, উভয়ই সমান আপরাধী। এখানে আপনি, আমি,আমরা প্রতিবাদী হলে তারা এত দুঃসাহস দেখানোর সাহস পেতো না।

অন্যায় কে ত্যাগ করে ন্যায়ের পথে কথা না বলতে পারার কারনেই আজ আমাদের এই বেহাল দশা। ২০ কোটির ভিড়ে তারা ২০ হাজারের কম হয়েও আমাদের উপর ছুরি ঘুরাচ্ছে।

আমাদের অনেক বড় চোখ, যা দিয়ে আমরা অনেক কিছু দেখি। আমাদের কানও অনেক বড়, অনেক কিছুই আমরা শুনি। কিন্তু বলার মত মুখ টা আমাদের নাই৷ এই মুখহীন বাংগালীর জন্যই কি ১৯৭১ এ ৩০ লাখ প্রানের বিসর্জন দেয়া হয়েছিল? তাহলে তো তাদের এই বিশাল ত্যাগ কে আমরা অসম্মান করছি।

আমাদের জেনারেশন নিয়ে আমার খুব লজ্জা হয় এই ভেবে যে, ১৯৭১ এ আমরা থাকলে স্বাধীনতার “স” ও অর্জন করা হতো কিনা তা নিয়ে আমি যঠেষ্ট সন্দিহান ।

আর কত??!!! কিসের এত ভয়, মৃত্যু? জেনে রাখা ভালো, দেহের মৃত্যু একবার হলেও আমাদের মনের মৃত্যু তো প্রতিনিয়তই হচ্ছে। এই যে সেদিন আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যা করা হলো, এটা কি শুধু আবরারের মার ই অশ্রু ঝরিয়েছ ?? অবশ্যই না, কেদেছে হাজারো মা, হাজারো বাংলাদেশী। দেশ ছাপিয়ে বিদেশীদেরও মন ভেঙ্গেছে।

কিছুদিন অন্তর অন্তর এই অপ্রত্যাশিত কর্মকান্ড গুলো আমারা দেখি, আমাদের মন খারাপ হয় অতঃপর কিছুদিন পর আবার আমরা ভূলে যাই। যেভাবে আমরা ভূলে গেছি কিছুদিন আগের রিফাত হত্যার কথা।

এভাবে আর কত দিন? আসুন প্রতিরোধ গড়ে তুলি, দেশটাকে আরেকবার শত্রুমুক্ত করি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে ছাত্রলীগ কে না বলি।

মুক্তচিন্তক, স্বাধীন বাংলার এক পরাধীন নাগরিক।

Exit mobile version