ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (ঢাকসাস) সহযোগিতায় এবং মুক্তিফোরাম- এর উদ্যোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দিতে ভিন্নধর্মী যুক্তিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা কলেজের ১০৬ নম্বর কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রথিতযশা ব্যক্তিরা সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালার ১ম ধাপেই বিশিষ্ট লেখক ও কবি আক্তারুজ্জামান আজাদের ‌‌‘স্যাটায়ারে রাজনৈতিক সমালোচনা’ বিষয়ক উপস্থাপনা প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দীপ্ত করে। এরপর ‘আজকের দিনে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা পদ্ধতি’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সাকিব সরকার (ঢাকা ট্রিবিউন), বীথি সপ্তর্ষি (জিটিভি), জীবন আহমেদ (মানবজমিন) এবং মুক্তিফোরামের অনুপম দেবাশীষ রায়।

‘প্রবন্ধ ও কলাম লেখার দায়িত্ব ও পদ্ধতি’ বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ। এরপর ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা নাহিয়ান বিন খালেদের মনোমুগ্ধকর আলোচনায় যুক্তিতর্কে মেতে ওঠে প্রশিক্ষণার্থীরা। তার আলোচনার বিষয় ছিল ‘অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক গবেষণার প্রথম পাঠ’। সর্বশেষ ‘মডেল ইউনাইটেড নেশনস’- এর প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির ওপর আলোচনা করেন মুক্তিফোরামে আরাফ ইবনে সাইফ।

‘যুক্তিতর্ক’ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী নাজমুল হাসান সাকিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই ধরনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো বোধ করছি। অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাই যেন এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকে।

আর এ ধরনের ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সাগর বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া আমাদের আশান্বিত করেছে। আমরা আশা করি সামনে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করতে পারবো। সেই সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার জন্য মুক্তি ফোরামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এই সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে জাগোনিউজ

Share.

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

Leave A Reply