Author: ইরাবতী চৌধুরী

নগর গ্রামের শ্মশানে শ্মশানে নিহিত অভিজ্ঞান; বহু মৃত্যুর মুখোমুখি দৃঢ় করেছি জয়ের ধ্যান। – সুকান্ত ভট্টাচার্য ” মহাত্মাজীর প্রতি ” কবিতায় সুকান্ত লিখেছিলেন এ কথা। মন্বন্তরের সময়ে লেখা এই কাব্যে একটা সন্দেশ, ইংরেজিতে যাকে বলে ম্যাসেজ আছে। বহু মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও কঠিন সময় থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দৃঢ় থাকা। পুরো পৃথিবীর সামনে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্য। আক্রান্ত মানবজাতি। প্রতি একশ বছরে এমন অন্তত একটি মহামারির প্রলয় কাঁপন উঠেছে পৃথিবীর বুকে। কখনওবা একাধিক কিংবা ততোধিক। যার লক্ষণগুলো বলছে, সভ্যতা আর আধুনিকতার চরম শিখরে আরোহণের জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত প্রভাব বিস্তার করছে প্রকৃতির ওপর আর ধারাবাহিক এমন শতবর্ষী এক একটি প্রলয়ে নিজের…

Read More

“পৃথিবীময় যে সংক্রামক রোগে, আজকে সকলে ভুগছে একযোগে, এখানে খানিক তারই পূর্বাভাস পাচ্ছি, এখন বইছে পুব-বাতাস। গোপনে আগুন বাড়ছে ধানক্ষেতে, বিদেশী খবরে রেখেছি কান পেতে। সভয়ে এদেশে কাটছে রাত্রিদিন, লুব্ধ বাজারে রুগ্ন স্বপ্নহীন।” – সুকান্ত ভট্টাচার্য দূর্যোগের দিনে উপদেশমূলক বাক্যের স্থলে কাব্যের অবতারণা করছি কেন বলুন তো? যেখানে কবি সুকান্তই বলেছেন, “গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো” কাব্যের অবতারণা করার কারণ মানসিক প্রশান্তি আনা। কবিতার ছন্দ মানুষকে প্রশান্তি দেয় আর এই দূর্যোগের সময়ে আপনার আমার মানসিক প্রশান্তিই সবথেকে প্রয়োজনীয়। বাসায় আছি আজ ১২ দিন এবং একটা বারের জন্যও বাইরে বেরোনো হয়নি। কিন্তু ইন্টারনেটের কল্যাণে খবরাখবর রাখা আজকাল খুবই সহজ। সবচেয়ে যেটা…

Read More