নগর গ্রামের শ্মশানে শ্মশানে
নিহিত অভিজ্ঞান;
বহু মৃত্যুর মুখোমুখি দৃঢ়
করেছি জয়ের ধ্যান।
– সুকান্ত ভট্টাচার্য
” মহাত্মাজীর প্রতি ” কবিতায় সুকান্ত লিখেছিলেন এ কথা।
মন্বন্তরের সময়ে লেখা এই কাব্যে একটা সন্দেশ, ইংরেজিতে যাকে বলে ম্যাসেজ আছে। বহু মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও কঠিন সময় থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দৃঢ় থাকা। পুরো পৃথিবীর সামনে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্য। আক্রান্ত মানবজাতি। প্রতি একশ বছরে এমন অন্তত একটি মহামারির প্রলয় কাঁপন উঠেছে পৃথিবীর বুকে। কখনওবা একাধিক কিংবা ততোধিক।
যার লক্ষণগুলো বলছে, সভ্যতা আর আধুনিকতার চরম শিখরে আরোহণের জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত প্রভাব বিস্তার করছে প্রকৃতির ওপর আর ধারাবাহিক এমন শতবর্ষী এক একটি প্রলয়ে নিজের সহ্যের সীমা অতিক্রমেরই প্রতিক্রিয়া জানান দিয়ে আসছে প্রকৃতি। ইতিহাস স্মারকচিহ্ন রেখে গেছে প্রতি একশো বছরে।
আমরা শুধুই সেগুলো অলক্ষ্যে রেখেছি। নেচার হিলিং হারসেল্ফ এগেইন।
তবু প্রতিবারই জরা জয় করেছে মানবজাতি। তাই এবারো জয় হবে মানুষের কিন্তু তার জন্য নিজেদেরকে নিজেদেরই সাহায্য করতে হবে। মহামারী সমাজের উঁচু-নিচু, বর্ণভেদ দেখে না। প্রকৃতি কাউকে রেহাই দেয় না। নেচারস জাস্টিস বলে একটা কথা আছে। তাই যদি মনে করেন আমি-আপনি পয়সার জোরে বেঁচে যাবো তাহলে মস্ত ভুল করছেন।
তাই এই কঠিন সময়ে একে অন্যের জন্য খুঁটি হোন। একজন যদি কমপক্ষে একজন মানুষকেও সাহায্য করি, তাহলে এখনও এই প্রতিকূল অবস্থা থেকে সহজ উত্তরণ সম্ভব। সুতরাং, অন্যকে দোষারোপ না করে নিজের ভুলগুলো খুঁজে শুধরে ফেলতে হবে। মনে রাখবেন, ভায়োলেন্স কোন সমাধান না। সমাধান সবসময় শান্তিপূর্ণ পথে আসে। সাবধানে এবং সচেতন থাকুন, অন্যকে সচেতন করুন। এই প্রতিকূল সময় কাটবেই, সূর্যের দিন আসবেই।