সাংবাদিক মুন্নি সাহা আপনি বলেছেন সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ছোট একটা অনলাইনে কাজ করে এবং তার কোন ধরনের পরিচয় পত্র ছিলো না আপনার এই তথ্য মিথ্যা ছিলো। আপনি আবারও প্রমাণ করলেন আপনি সাংবাদিক নয় আপনি একজন বড় মাপের দালাল। সামান্য কাউন্সিলের কাছে আপনি কতো টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে আমার জানা নেই। একটা কথা মনে রাখবেন আপনি হয়তো সারাজীবন এই পেশায় থাকবেন না আপনার জায়গাই হয়তো নতুন কেউ আসবে তবে আপনার এই ধরনের অপসাংবাদিকতা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও না কোথাও লেখা থাকবে।
সাংবাদিক মুন্নি সাহা আপনি কি বলতে পারবেন এই দেশের তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকেরা আপনার কাছ থেকে কি শিক্ষা নিবে বা আপনি তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য কি মেসেজ রেখে যাবেন? আমি জানি আপনার মতো সাংবাদিকের কাছে এই তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকরা কখনো কিছুই আশা করবে না তবুও তারা চায় এই দেশের গণমাধ্যম মানুষের কথা বলুক। আমি বিশ্বাস করি তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েগুলো টাকার জন্য সাংবাদিকতা করে না তারা এই পেশাটা বুকে ধারণ করে। এই দেশে বহু তরুণ সাংবাদিক আছে যারা নিজের পকেটের পয়সা খরচ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন, তিন বেলা ঠিক মতো খেতেও পারে না তারা চাইলে আরো ভাল ভাবে জীবন যাপন করতে পারতো। অনিশ্চিত জীবন জেনেও তারা এখনও মানুষের জন্য কাজ করছেন। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে এই মানুষগুলো দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। আর আপনার মতো সাংবাদিকেরা তাদের হতাশ করছেন। অথচ আপনাদের সাহস দেওয়ার কথা ছিলো মানুষগুলোকে। তা না করে আপনারা বিশেষ দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মুন্নি সাহা আপনাকে বলছি!
মুন্নি সাহা আপনি কি জানেন? এই পরিবারগুলো কতোটা ভয়ে থাকে তাদের মা বাবা সব সময় টেনশন নিয়ে অপেক্ষা করেন কখন যেন তার ছেলের দুর্ঘটনার খবর আসে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হবে গণমাধ্যমকর্মী। যখন তখন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়ে রক্তাক্ত হবে, এ জন্য কারও বিচার হবে না! এটা তার পাওনা। মুন্নি সাহা আপনি কতোগুলো হামলার বিচার চেয়েছিলেন? কতোদিন টিভিতে লাইভে এসে বলছেন আমি আমার সহকর্মীর উপর হমলার বিচার চাই? অথচ আপনি একজন সামান্য কাউন্সিলরের চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়ে আসলেন। বিশ্বাস করুন আমার ভিষণ লজ্জা হয়েছে আপনার টিভির লাইভ দেখে। আমার লজ্জা হচ্ছে পরিচয় দিতে আমি একজন সংবাদকর্মী।
গনমাধ্যমের সেই সব সুবিধাভোগী মুখগুলির মধ্যে আপনিও একজন যারা কখনো সমাজ অর্থনীতি দুর্নীতি রাজনীতি ক্ষমতা নিয়ে মানুষের জন্য কোন ভূমিকা রাখেন না আপনার মতো বহু সংবাদকর্মী কেবল পেশাটাকে রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে ফেরি করেন তারাও উদাসীন! ভোটের দিন সংবাদকর্মী রক্তাক্ত হলো কোন প্রতিবাদ নেই, অনুভূতিহীন গনমাধ্যমের দলবাজ মোড়লদের। আর সমাজের নষ্টরাতো আনন্দিতই, শেষ আশ্রয় সংবাদ কর্মী মার খেয়েছে, আরও খাক।
জীবন আহমেদ, ফটো জার্নালিষ্ট DW বাংলা ভাষা, এর ফেসবুক ওয়াল হতে নেয়া