বাংলাদেশে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এমন তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। যার কারনে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায় বাংলাদেশ।
“বাংলাদেশে বিদেশিদের কর্মসংস্থান সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তোরণের উপায়” শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে। টিআইবি জানায় বাংলাদেশে বর্তমানে আড়াই লক্ষ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন এবং যাদের বেশিরভাগই ট্যুরিষ্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন। এদের অনেকে কর ফাঁকি দিচ্ছে আবার অনেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করে কোন কর না দিয়ে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। টিআইবি বলছে, বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করে। তবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যাটি অনুমান করা হলেও, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলেও ধারণা করছে তারা।
দেশে বিদেশি কর্মী নিয়োগে সমন্বিত কোন কার্যকর কৌশলগত নীতি নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এপ্রিল ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যণ্ত সময়কালের তথ্য নিয়ে চালানো গবেষণার ভিত্তিতে টিআইবি বলছে, বাংলাদেশে অন্তত ৪৪টি দেশের প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করেন, যারা প্রতিবছর অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠান।
যেসকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর এসকল বিষয়ে নিতিমাল প্রনোয়নের বা আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল তাদের ব্যার্থতা ও ঘাটতির কারনে এমনটি হয়েছে। যার কারনে একধরনের যোগসাযোগের অনিয়মের প্রতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এসময় বিদেশি কর্মী নিয়োগে সমন্বিত নীতিমালা প্রনোয়নের সুপারিশ করেছে টিআইবি।