What's Hot

    “এদেশ বিপন্ন আজ;
    জানি আজ নিরন্ন জীবন
    মৃত্যুরা প্রত্যহ সঙ্গী,
    নিয়ত শত্রুর আক্রমণ
    রক্তের আলপনা আঁকে,
    কানে বাজে আর্তনাদ সুর;
    তবুও সুদৃঢ় আমি,
    আমি এক ক্ষুধিত মজুর”

    – সুকান্ত ভট্টাচার্য

    আমরা এই যে এতো বলা-কওয়া করছি লক ডাউনের কথা, একবারও কি ভেবেছি পুরোপুরি লক ডাউন দিলে যে মানুষগুলো এদেশে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তাদের কি হবে? যারা দিনমজুর তাদের কি হবে? নাকি এরা মানুষই না! এদের বেঁচে না থাকলেও চলবে কিন্তু উপচে পড়া সম্পত্তিওয়ালারা বেঁচে থাকলেও হবে তাই তো? ওরা মরুক গিয়ে আমরা সব কিছুর মজুদ রাখবো।

    কিছু মানুষ মরে গেলেও ক্ষমতাসীনদের তেমন গায়ে লাগে না ব্যপারটা আজকাল। অথচ বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনতা অন্তপ্রাণ। আর সেই তাঁরই দেশে কিনা আমরা কোন অজুহাত পেলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেই! অকারণে প্রচুর মজুদ রাখি। বাংলাদেশীরা তবে কি সত্যিই আর মানুষ হলো না। ওটা যদিও সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রবীণগণের একটা বড় গোষ্ঠী যে তরুণ প্রজন্মকে বখে যাওয়া বলেন, সেই তরুণরাই উদ্যোগী হয়েছে সবার আগে।

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বেশিরভাগই ওদের গড়ে তোলা। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা নিজেরা কিছু করবো তো না-ই, আরেকজনকে পারলে নিরুৎসাহিত করবো!

    কেনো ভাই, আপনাকে তো কেউ জোর করছে না রাস্তায় নেমে গরীবদের সাহায্য করায় ওদের পাশে থাকতে, পারলে আর্থিকভাবে সাহায্য করবেন আর তাও না পারলে চুপচাপ বাসায় থাকেন । আপনাকে আপনার বাসায় থাকার জন্য করজোড়ে অনুরোধ করা হচ্ছে। আর আপনারা পাত্তাই দিচ্ছেন না। এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?

    আপনি আক্রান্ত হলে আপনার আশপাশের মানুষগুলোরও আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে! ইতালির মতো দেশে এক দিনে শ’খানেক মানুষ মারা গেছে আর বাঙালি করোনা ভাইরাস নিয়ে ট্রল করে! স্টেটমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না সরকার প্রধানের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত , যেখানে অভিভাবক হিসেবে তাঁর কথায়ই আমরা এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ভরসা করবো! অথচ তিনি চুপ! আজ হয়তো জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কিছু বলবেন তিনি, কিন্তু তা থেকে কি দিকনির্দেশনা পাবো আমরা?

    সচেতনতা ছড়ানোর বদলে গুজব ছড়াচ্ছি আমরা!

    ডাক্তারদের ppe সরবরাহ করা হচ্ছেনা পর্যাপ্ত পরিমানে। চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা নিয়ে নেই সচেতনতা! আমরা তাহলে এই করোনা বা Covid-19 এর সংক্রমণ কি দিয়ে কি ভাবে প্রতিরোধ করবো? হয় সচেতন হউন নয়তো প্রস্তুত হোন উত্তরসূরীদের আদালতে হাজিরা দেয়ার। এই মৃত্যুর মহামারীর কেস যখন পৃথিবীর আদালতে উঠবে তখন ইতিহাস পরোয়ানা নিয়ে কৈফিয়ৎ চাইতে আসবে। সেই উত্তর দিতেও প্রস্তুত কি আমরা?

    Share.
    Leave A Reply