খুব ছোটবেলা থেকে আমাদের ভালো ছাত্র হতে শেখানো হয়।স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে ভালো রেজাল্ট না করলে,স্কুলে রোল এক না হলে বকঝকা করা হয়।শারিরীক শাস্তিও দেওয়া হয়।মাধ্যমিকে আমরা একটা শিশুকে জিপিএ ফাইভের জন্য অমানুষের মত খাটতে বাধ্য করি।এইচএসসির সময়ে তো আরো ঝামেলা বেশি।শুধু জিপিএ ফাইভে আনন্দ থাকেনা।ভালো ভার্সিটির নামও লাগে তার সাথে।সব শেষ করে যদি আপনি একটি প্রথম শ্রেনীর ভার্সিটিতে সুযোগ পেয়ে যান সেখানেই সব শেষ নয়।ভার্সিটি শেষে শুরু হয় অন্য নির্যাতন।বিসিএস বা সরকারী চাকরী।কিছু কিছু মানুষ পেরে উঠে।কেও পারেনা।হারিয়ে যায় ভৎসনায়।আর যারা পারে তাদের মাথায় তুলে নাচি আমরা।
তো এই যে একটি মানবশিশু জন্মানোর পরে থেকে আপনাদের বা আমাদের যে চাওয়ার একটা তালিকা দেখলাম এখানে কোথায় আছে বিবেক?বা কোথায় আছে মনুষ্যত্ব?মানে আমরা কি একবারও বলি যে, ‘বাবা, তুমি বিবেকবান হও।’ বা ‘বাবা, তুমি মানুষের প্রতি ভালোবাসা ধারন করো।’ কখনোই চাইনি।তাহলে একটা প্রজন্ম যখন আজকে শুধু টাকার পেছনে বা ক্ষমতার পেছনে ছুটছে তাতে তাদের দোষ কোথায়?
আমরা যা চাচ্ছি একটি প্রজন্মের কাছে তারা তো আমাদেরকে সেই সেবাই সরবরাহ করবে।আমরা চেয়েছি ভালো ইঞ্জিনিয়ার দরকার।বড় বড় বিল্ডিং এ ছেয়ে গেছে শহর।তো বিল্ডিং এর ভেতরে থাকা মানুষের মাঝে ভালোবাসার বন্ধন তৈরী করা তো আর ইঞ্জিনিয়ারের কাজ না।
আজকের প্রজন্মের এই পরিনতির জন্য এই প্রজন্ম কোনভাবেই দায়ী নয়।দায়ী হলো তাদের পূর্ব প্রজন্ম।এই প্রজন্মের কাছে আমাদের তাই মাফ চাওয়া উচিত।বারবার বারবার।কারন আমরা তাদেরকে লোভী বানিয়েছি।মানুষ বানাইনি।