জুম্মাবার, অন্যান্য সময়ের মত নয়।
অস্থির সময়ের জুম্মা।
জ্ঞানত জুম্মা নিয়ে কখনও আলস্য নেই। কিন্ত গত দুই জুম্মা আদায় হয়নি৷ পরপর তিনজুম্মা মিস করার হাদিস মনে পড়লো। ফলাফল, মাদারটেক আবদুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ জামে মসজিদে জামায়াতের নামায আদায়।
শুনেছি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধ ছিলো সব মসজিদ যেন দ্রুত জামায়াত আদায় করে৷ বাংলায় বয়ান উহ্য রেখে খুতবা আর জামায়াত আর মুনাজাতেই যেন জুম্মা শেষ হয়। এখানে দেড়টা পেরিয়ে যাবার পর জামায়াত হয়। অন্য আরেকটা মসজিদে দেখলাম পৌনে দুইটার দিকে জামায়াত চলছে। তারমানে বেশিরভাগই কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে নেয়াকে হেরে যাওয়া বলে ভেবেছেন। অথবা সমস্যাটাকে বা দুর্ভোগকে জনতার বলে ভাবেননি।
বয়ান চলছে৷ খুতবার নামই নেই৷ মাঠেও জামায়াত দাঁড়ালো। মাস্ক মুখে নামায। জুতোয় কভিড-১৯ সবচেয়ে শক্তিশালী। সেই জুতোই এক একজনের মাথার সামনে। বয়ান লম্বা হতে থাকে। দানবাক্সগুলো নানান সারিতে ঘুরতে থাকে। প্রত্যেকেই দান করছেন। এই টাকাগুলো মসজিদ কমিটির লোকেরা জামায়াত শেষে গুনবেন।
শতশত মানুষ ধাক্কাধাক্কি করে গেট দিয়ে বের হচ্ছে। শিশুরা খেলে বেড়াচ্ছে জামায়াতের ভেতর… আমি ঘামছি… প্রচন্ড ভাবনায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি। বয়ান আরও তীব্র হচ্ছে।
যে আমবয়ানে একসময় মুসলিম জাতিরাষ্ট্রকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো–মহামারী, দূর্যোগের নির্দেশনা। সেই জাতির দিকপাল হয়ে গেছেন পাবলিক পালস থেকে দূরে থাকা মাওলানারা৷ মানব ভাবনাকে যারা ইবাদত বলে ভাবতে ভুলে গেছেন। ভুলে গেছেন রাসূলের মহামারীর হাদিস। দূর্যোগের হাদিস। নিভে গেছে গেছে সংস্কারের মানসিকতার দৃপ্ত আগুন।
লেখকের অনুরোধে সংযুক্তঃ সব বক্তব্যের দায় লেখকের নিজস্ব