মুক্তিফোরামের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
মুক্তিফোরাম একটি মুক্ত, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা একটি সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম।
আবার একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প। অতএব মুক্তিফোরামের মুল কাজ হলো যে কোন উপায়ে নতুনধারার রাজনীতি নির্মান যেটি একটি মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় সমাজ গঠন করতে পারবে।
মুক্তিফোরামকে একটি রাজনৈতিক দল বললে ভুল বলা হবে, আবার একটি সাংস্কৃতিক সংঘ হিসেবে কল্পনা করলেও সেটা সঠিক হবেনা।
মুক্তিফোরামের অবস্থান হবে সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক বলয় এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের চর্চার মাঝে এক ধরণের সংযোগ স্থাপনার উপায় হিসেবে। মুক্তিফোরামের কাঠামো হবে একটি সংগঠনের সংগঠনের মতন–অর্থাৎ গ্রুপ অব অর্গানাইজেশন্সের মতন। এর মাঝে ভোটের রাজনীতিতে অংশ নেবার মতন নেতৃত্ব যেমন তৈরি করা হবে, তেমনি সমগ্র ভোটের রাজনীতি থেকে আলাদা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, রাষ্ট্রচিন্তা, গান, কবিতা, নাটক, ছবির চর্চাও চলবে। নবীনদের মাঝে নেতৃত্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা গড়ে তোলাও মুক্তিফোরামের কর্মকান্ডের মাঝে থাকবে।
সমাজের নানান অন্যায় অবিচার নিয়ে মুক্তিফোরাম থাকবে সোচ্চার এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান প্রস্তাব করবে।
উদ্দেশ্য বিবৃতি (মিশন স্টেটমেন্ট)
বর্তমান রাষ্ট্রের পরিবারতান্ত্রিক, অনুদার, শোষণ ও সহিংসতানির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও চর্চাকে ভেঙ্গে একটি বিকল্প রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও চর্চার নজির স্থাপন করা যেটি কিনা সকল আদর্শ, দল, মত, ধর্ম ও পরিচয়ের মানুষের অংশগ্রহণে একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী ও জনপন্থী সমাজ এবং রাষ্ট্র নির্মানে কাজ করবে।
লক্ষ্য বিবৃতি (ভিশন স্টেটমেন্ট)
ভোটের রাজনীতি এবং তার বাইরের রাজনীতিতে সবল অংশগ্রহণের মাধ্যমে এদেশের মৌলিক রাষ্ট্রনৈতিক কাঠামো এবং সামগ্রিক সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক চর্চাকে পরিবর্তন করে একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী ও জনপন্থী সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন।
যোগ দিন
পৃথিবীর যেকোনখান থেকে আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন যেকোনো ধরণের সদস্য হিসবে। সবাইকে পথে নামতে হবেনা, সবাইকে চাঁদাও দিতে হবেনা। আমাদের সংগঠনে মাঠের আন্দোলনের বাইরে রয়েছে লেখালেখি, গবেষণা, গান গাওয়া, ছবি আঁকা, খেলাধুলা করা, সিনেমা বানানো ইত্যাদি অনেক ধরণের দিক। সব ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করে আমরা সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে চাই। যে যতটুকু পারেন ততটুকু দিয়ে সাথে থাকেন। এই লড়াইয়ে আমরা সকলকে পাশে পেতে চাই।
আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আপনার নাম কোথাও প্রকাশ করা হবেনা। আপনার দেয়া প্রতিটি টাকার আয় ও ব্যয়ের হিসেব মাসও শেষে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সমস্ত গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্বাহী সদস্যরা একটি করে ভোট পাবেন যেটিকে সমান মর্যাদা দেয়া হবে। কোন বড় অনুদানের ভিত্তিতে আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হবেনা।
যদি আমাদের প্রকল্পে আপনাদের আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলে অনুগ্রহ পূর্বক যোগ দিন এবং সাথে থাকুন। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমরা কখনো সামনে আগাতে পারব না।
মুক্তিফোরামের ইতিহাস
২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বরে একদল লেখক, গবেষক, সাংবাদিক মিলে মুক্তিফোরাম নামের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন যার প্রথম স্লোগান ছিলো “ডেয়ার টু ডিসেন্ট” বা “বিরুদ্ধমত করবার সাহস রাখো”।
সেইসময়ে মুক্তিবাদকে একটি আলাপের ধরণ বলে তুলে ধরা হয়। বলা হয় যে মুক্তিবাদী আলোচনার কাজ হলো সত্যিকারের জনগণের সমস্যাকে সবার সামনে তুলে ধরা। এইক্ষেত্রে সমস্যা হিসেবে বলা হয় যে অনেকসময় এই আলোচনায় পুরোপুরি গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে সমাজে এমন অনেক কিছুই ঘটতে থাকে যা এই পর্যন্ত পৌঁছায় না আর সেইজন্যে কেউ সেগুলো নিয়ে কথাও বলেনা।
নেটওয়ার্কটি সেইসকল সমস্যা আর সমাজের অপরাপর চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার একটি ফোরাম হয়ে ওঠে। তবে নিয়ম থাকে যে যেকোন বিষয় নিয়ে পোস্ট করার আগে নূন্যতম তথ্যসূত্র আর গবেষণার প্রমাণ দিয়ে নিতে হবে। একেবারে উড়ো কথা নিয়ে আলাপ করা হবেনা।
পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ৪ জুন একটি বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে মুক্তিফোরাম যাত্রা শুরু করে। প্রথম এডিটোরিয়াল কমিটিতে ছিলেন এগারোজন লেখক, সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার, গবেষক ও শিল্পী। তাদের সমন্বয়ে মুক্তিফোরাম ধীরে ধীরে একটি গণমুখী গণমাধ্যমে পরিণত হয়। দেশের বিভিন্ন অধিকারের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে এবং অন্যান্য অধিকার নিয়ে সচেতনতামূলক লেখাপত্র মুক্তিফোরামে প্রকাশিত হতে থাকে। মুক্তিফোরামে প্রকাশিত হয় একের পর এক জনপন্থী লেখকদের লেখা এবং মুক্তিফোরামের অনুরাগী ও শুভান্যুধায়ীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এই সময়ে জলাবদ্ধতা, দারিদ্র, মূল্যস্ফীতি, ক্রসফায়ার, গুম, দূষণ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, পরিবারতান্ত্রিকতা, ধর্ষণ, ক্ষমতাবাজী, শিক্ষা-স্বাস্থ্যব্যবস্থার দূর্গতি, শিক্ষকদের বেতন না পাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি ও প্রতিবাদ জানিয়ে যায় মুক্তিফোরাম। এমন সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকা শুরু হলে কোটা সংস্কারের একটি সুচারু প্রস্তাব উত্থাপন করে মুক্তিফোরাম এবং একই সাথে আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করে। তাদের বিচারের আওতায় আনারও চেষ্টা করে এবং পুরো সময় জুড়ে যতটুকু সম্ভব মিডিয়া কাভারেজ দিয়ে যায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তিফোরাম কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়ে যায় এবং গণমাধ্যম হিসেবে তাদের পাশে থাকে।
এর মাঝে মুক্তিফোরাম নানান গবেষণাভিত্তিক কাজও করে–যেমন দুই দলের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির ফলাফল হিসেবে একটি বাংলাদেশের সহিংসতায় অবনমনের একটি ইতিহাস তৈরি করে। একই সাথে নানান ধরণের প্রতিবাদকারী, সাংবাদিক, সম্পাদক, শিক্ষক আর সমাজকর্মীদের ওপরে আক্রমণের টানা প্রতিবাদ করে যায়।
মুক্তিফোরামের প্রথম আকাঙ্ক্ষাবানী
উপরে উল্লেখিত নানান কাজের মধ্য দিয়ে মুক্তিফোরাম বিশ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। বিশহাজারে পৌঁছানো উপলক্ষ্যে মুক্তিফোরামের ২০ সদস্যবিশিষ্ট সম্পাদকমন্ডলী এবং শুভান্যুধায়ীদের অংশগ্রহণ ও পরামর্শে মুক্তিফোরাম সম্বন্ধে একটি আকাঙ্ক্ষাবানী রচনা করা হয়। যদিও এটি মুক্তিফোরামের সাংগঠনিক কোন দস্তাবেজ হয়, তবু গণমাধ্যম উইং-এর প্রাথমিক আকাঙ্ক্ষাবানী হিসেবে আর সংগঠনের মেজাজে একটি ভূমিকা রাখতে পারে সেই চিন্তায় বানীটি নিচে তুলে ধরা হলো। এই লেখাটি মুক্তিফোরামে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাইতে প্রকাশিত হয়।
বিশহাজারে মুক্তিফোরাম: বর্তমানের আলাপ ও ভবিষ্যতের প্রস্তাব
মুক্তিফোরামের বেশ খানিকটা বয়েস হয়ে গেলো।
বিশ হাজার মানুষ এখন ফেসবুকে আমাদের লেখা পড়েন, আমাদের গ্রুপে রয়েছেন আরো ছয় হাজারেক সদস্য। তবে এই দীর্ঘ সময়টা ধরে মুক্তিফোরামের কেন্দ্রীয় প্রস্তাব নিয়ে বিশেষ ভাবে উচ্চবাচ্য করা হয়নাই।
তার একটা অন্যতম কারণ হলো এর ওপরে কারো নিজের মতাদর্শ বা স্বপ্ন চাপায়ে দেয়া থেকে বিরত থাকা। আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসের একটা বড়ো অংশ জুড়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা (নিয়ে দ্বন্দ্ব) এবং জাতীয় মুক্তির অর্থকে নিজের সুবিধামতন গড়ে নেয়ার ইতিহাস। রয়েছে জাতিসত্ত্বা সম্পর্কে বাংলাদেশের নাগরিকদের বৈচিত্র্যময় বোঝাপড়াকে একমুখী রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদে রূপায়িত করবার একটা অপচেষ্টা।মুক্তিফোরামের শুরুর থেকে আমাদের লক্ষ্য ছিলো এর থেকে ভিন্ন কিছু করবার। আমরা চেয়েছিলাম যে আমরা পুরানো উপায়ে না এগিয়ে বরঞ্চ একটু খোলামেলাভাবে আগাবো সকলকে কথা বলবার সুযোগ দিয়ে।
তাই আমরা চেষ্টা করেছি আমরা মুক্তি বলতে কি বুঝি সেটা বলবার আগে আমাদের দেশের মানুষ মুক্তি বলতে কি বোঝেন, কিসের থেকে মুক্তির কথা বোঝেন এবং ঠিক কেমনভাবে সেই মুক্তি চান সেটা বুঝতে। ঠিক এইকারণেই মুক্তিফোরামের গঠনপদ্ধতিটি করা হয়েছিলো একটি পাবলিক ফোরামের মতন, যেখানে সবাই এসে কথা বলতে পারবেন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ নিয়ে এবং তা নিয়ে যুক্তিতর্ক করবে বাকি সবাই। এই আলোচনার মধ্যে দিয়েই আমরা জাতীয় মুক্তির একটি রূপরেখা পাবো যেটি কিনা দল-নিরপেক্ষ এবং গোষ্ঠী নিরপেক্ষ। আমরা চেয়েছিলাম যে এমন কিছু নতুন চিন্তা উঠে আসবে যেখান থেকে আমরা আমাদের দলীয়, ধর্মীয় এমনকি জাতীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বেও একমত হতে পারবো।
সেই প্রয়াসের থেকেই আমরা ধীরে ধীরে একমত হই এই ব্যাপারে যে আমরা স্বৈরাচারকে এবং কর্তৃত্ববাদকে ঘৃণা করি—সেটি যার কাছে থেকেই আসুক না কেনো, যেভাবেই আসুক না কেনো। সেই চিন্তাধারার থেকেই আমরা একটি ফেসবুক পেইজ খুলি যেখানে কিনা সকল ধরণের কর্তৃত্ববাদবিরোধী লেখালেখির একটা জমজমাট আনাগোনা থাকবে। আপাতত সেইখান থেকে আমরা শুরু করেছি বটে, তবে প্রায়শই আমাদের লেখাঝোকাতে সংস্কার, পরিবর্তন, বদল–মোটকথা মুক্তির একটা আকাঙ্ক্ষা দেখা যায়। সেই আকাঙ্ক্ষাটিকেই আমরা ধারণ করতে চাই।
আমরা চাই যে মুক্তিফোরাম হবে বাংলাদেশের সকল দল-মত-গোষ্ঠীর পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার একটা সেন্ট্রাল রিপোজিটরি। কেনো এই কাজটি করা প্রয়োজন? এই কাজটি করা প্রয়োজন কেননা আমাদের দেশে সিভিল সোসাইটি বা জনসমাজ বলতে তেমন কিছু গড়ে ওঠেনাই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক শ্রেণী আর জনগণের মাঝে রয়েছে বিস্তর একটি বিচ্ছেদ। ব্রিটেনে বসে থাকা রাজারানীর সিংহাসনের নামে গড়ে তোলা এই রাজ্যব্যবস্থায় জনগণের সমস্যার কথা রাজনৈতিক মহলের কাছে পৌছায় না আর রাজনীতিবিদেরা যে কথা বলেন, জনগণ তা শুনতে চায়না।
রাজনৈতিক ক্ষমতাশালীরা তাদের আপ্ত ম্যানিফেস্টো জনগণের ওপরে থুপতে থাকে আর জনগণ তাদের মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে দেয়ালে মাথা কুটতে থাকে। এই বিশাল বিচ্ছেদটাকে দূরীভুত করবার জন্যে প্রয়োজন হয় একটি মুক্ত ও অনুপ্রাণিত জনসমাজের যেটি কিনা প্রয়োজনমাফিক সরকারকে তাদের দাবিদাওয়া শুনতে বাধ্য করতে পারে। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের সরকারযন্ত্র সাধারণ জনগণের এই সমাজের কাছে নিয়মিত জবাবদিহী করছে, ততদিন পর্যন্ত একটি সংবেদনশীল রাষ্ট্রযন্ত্র গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
সেরকম জবাবদিহীতা করবার মতন জনসমাজ গড়ে তোলবার চেষ্টা যে আমাদের দেশে হয়নি, তেমনটি নয়। আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের অনেকে মিলে এমন কিছু গবেষণা সংস্থা বা সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছে যেগুলো সময় সুযোগ অনুযায়ী সরকারের সাথে কথা বলতে পারে, তাদের চাপ প্রয়োগ করতে পারে। তবে খুব উচ্চমানের গবেষণা নির্ভর এবং উচ্চমার্গের আলোচনা নির্ভর হবার প্রচেষ্টার কারণে তাদের মাঝে এক ধরণের উচ্চশ্রেণীয় আচরণের ব্যাপার ঢুকে গিয়েছে। কালের পরিবর্তনের দেখা গিয়েছে যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যে কথা বলছে, জনসমাজের সংগঠন হয়েও এই সংস্থাগুলো সেই কথা বলতে পারছেনা।
কার নির্দিষ্ট দোষে এই ব্যাপারটি হয়েছে তা বলতে পারিনা, তবে বাংলাদেশের জনসমাজের এই সংগঠনগুলো জনপক্ষে শুরু হয়েও এখন অনেকটাই হয়ে দাড়িয়েছে উচ্চশ্রেণীয়দের একটি প্রচারযন্ত্র যেটিকে জনসমাজ না বলে বরং এখন বলা হয় সুশীল সমাজ। এই সুশীল সমাজ সময়ে সময়ে এতোটাই জনসংযোগহীন হয়ে পড়ে যে জনগণ রাজনীতিবিদদের যতোটা অপছন্দ করে, ততটাই অপছন্দ করতে থাকে এই ভালোমানুষী সংস্থাগুলোকে।মুক্তিফোরামের জনসমাজটিকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই যাতে করে এই জনসংযোগহীনতার ফাঁদে আমরা কখনও পড়ে না যাই।
সেইজন্যে আমরা যথাসম্ভব কঠিন বা উচ্চমার্গীয় কথাবার্তা থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করি। এমন ভাষায় কথা বলতে চেষ্টা করি যেটা কেবলমাত্র মানুষ সহজে বোঝে, তা-ই নয়, বরং সহজে তার সাথে তর্কও করতে পারে। এর সাথে আমরা শ্রেণীবদ্ধতা মুক্ত হবার জন্যে আমরা আরো যা করেছি তার মাঝে অন্যতম হলো যথাসম্ভব সেন্সরশীপ থেকে দূরে থাকা। আমাদের গ্রুপে সাধারণত আমরা ভুয়া খবর বাদে কোন মতামতকে রুদ্ধ করিনা, এমনকি গালিগালাজকেও না।
অনেক সময় এই কারণে এমন কিছু মতামত বা লেখালেখি আসে যার সাথে আমি এবং আমাদের অনেক সম্পাদক ব্যক্তিগতভাবে সহমত পোষণ করেননা, এমনকি অনেক সময় ব্যথিতও হন। তবে আমরা যখন সেগুলো দেখি, আমরা ধরে নেই যে এই মতামতটিও আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মতামত এবং আমাদের মতের যতটা গুরুত্ব রয়েছে, তাদের মতেরও গুরুত্ব রয়েছে ততটা। আর কিছু না হোক, এই প্রক্রিয়াটি অন্তত আমাদের দেশের সকল অংশের মানুষের মতামতকে যাচাই করতে সাহায্য করে।
এই মডেলটির কারণে আমাদের মঞ্চে এমন অনেক কথা এসেছে যেগুলো পরস্পরের সাথে সাংঘর্ষিক। এই মতের সংঘর্ষটা আমাদের কাছে অবাঞ্ছিত নয়, বরং কাংখিত।
আমাদের মঞ্চে এখনও পর্যন্ত যেমন বাম সংগঠনের নেতাদের লেখা ছাপা হয়েছে, একই সাথে তেমনি ছাপা হয়েছে আওয়ামী লিগ সমর্থনকারী লেখকদের লেখা এবং বিএনপি সমর্থক লেখকদের লেখা। এমনকি আমাদের ফেসবুক পেইজের সম্পাদকমন্ডলীর মাঝেও জেনেশুনেই একটি দলীয় ও মতাদর্শিক বৈচিত্র তৈরি করবার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে করে সকল দল ও মতের মুক্তির কথা আমরা সমান ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি। তবে এই মুক্তির আলোচনাতে সবসময় প্রচেষ্টা থাকবে নতুন দিনের কথা বলবার এবং জনগণের সমস্যার কথা বলবার। এই কাজটি করা আমাদের জন্যে প্রায়ই বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভর একটি মঞ্চ হবার কারণে দেখা যায় যে নানান দলাদলির মাঝে আমাদেরকে ফেলার চেষ্টা করা হয় বা আমরা নিজেরাও জড়িয়ে যাই। যেখানে জাতীয় বদলের স্বার্থে, বিপনিবেশায়নের (ডিকলোনাইজেশনের) স্বার্থে, মুক্তির সার্থে আমরা সাধারণ মানুষের উপকার হয় এমন কিছু পলিসি নিয়ে আলোচনা করতে চাই, সেখানে আমাদের দিকে প্রায়শই উপনিবেশায়নের গর্ভে জন্মানো কিছু না-প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে বিভাজিত করবার চেষ্টা করা হয়।
ধর্ম ও জাতির দাগে, ভাষা ও বিশ্বাসের দাগে, দল ও মতের দাগে আমাদের পরিবর্তনের স্বপ্নকে দ্বিধা-ত্রিধা-চতুর্ধা বিভক্ত করবার চেষ্টা করা হয়। এগুলো আমাদের উপমহাদেশের পুরোনো রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর রপ্ত হয়ে আসা শতক পুরোনো কূটচাল। জাতীয় স্বার্থের, পরিবর্তনের, সংস্কারের, মুক্তির বহু আন্দোলনকে এই চাল চেলে বিভক্ত করে হয়েছে এবং বিভক্ত জনগোষ্ঠীর একেকটি অংশকে তুলে নিজেদের ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করা হয়েছে এর আগেও-বহুবার।
মুক্তিফোরাম যেহেতু জাতীয় ঐক্যের, জাতীয় মুক্তির একটি দল-নিরপেক্ষ মঞ্চ, এর বিরুদ্ধেও যে একই রকম তৎপরতা করা হবেনা সেটা আমরা কেউ আশা করিনি।তবে সেসব কূটচালে না ভুলবার চেষ্টা করে যাবো আমরা। আমরা চেষ্টা করতে থাকবো যেন বিভক্তির বিরক্তিকর বিতর্কে না পড়ে বরং আমরা সংস্কারের, পরিবর্তনের, বদলের আর মুক্তির নতুন কিছু প্রশ্ন তুলতে পারি এবং সেইসব প্রশ্নের নতুন কিছু উত্তর দিতে পারি। আমরা যাতে দেশের সকল দল মত ও গোষ্ঠীর পরিবর্তনের আলোচনাকে সমানভাবে জায়গা করে দিতে পারি কোন একটি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ক্রিড়ানকে পরিণত না হয়ে। আমাদের বৈচিত্র্যময় লেখালেখি যেনো বিভাজনের স্বার্থে না হয়ে হয় জনগণের সমস্যা সমাধাণের স্বার্থে। যেনো সামাজিক গণমাধ্যমের ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলাদলিতে না জড়িয়ে আমরা গণমুখী সংবাদ ও মতামত তুলে ধরতে পারি জনগণের সামনে–যার ওপর দল-মত নির্বিশেষে আস্থা রাখতে পারবে সকলে। আমরা যাতে নতুন আলোচনা করতে পারি যাতে করি রচিত হবে নতুন দিনের বাংলাদেশের রূপরেখা।
আমরা যাতে একপেশে না হয়ে যাই, আমরা যাতে শ্রেণীবদ্ধ হয়ে না যাই, আমরা যাতে জনসংযোগহীন হয়ে না যাই।
সেজন্যে আমরা আপনাদের সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা করে যাবো অবিরাম।
কিশোর বিদ্রোহ এবং মুক্তিফোরাম
মুক্তিফোরামের আকাঙ্ক্ষাবানী প্রকাশিত হবার পরপরই দেশে কিশোর বিদ্রোহ শুরু হয়। ২৯ জুলাই ২০১৮-তে শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুইজন শিক্ষার্থী একটি পাল্লারত বাসের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
এই সময়ে নৌমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান তাদের শিক্ষার্থীদের মৃত্যুকে নিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময়ে তাচ্ছিল্যপূর্ণ কিছু কথা এবং হাসাহাসি করলে সারাদেশের কিশোরেরা উত্তাল হয়ে একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিফোরাম সাথেসাথেই একটি জনপন্থী অবস্থানে চলে যায় এবং আন্দোলনটিকে সর্বোতভাবে সমর্থন করে। এমনকি মুক্তিফোরামই ছিলো “কিশোর বিদ্রোহ” শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা প্রথম প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে অন্যতম।
শুরুর থেকেই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান এবং আন্দোলনকে কৌশলগতভাবে সমর্থন করে যায় মুক্তিফোরাম। মুক্তিফোরামের নানান অংশীজনেরা এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকাও রাখেন। এই আন্দোলনকে মিডিয়া কাভারেজ দিতে নানান আন্দোলনকর্মী মুক্তিফোরামের রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন এবং মুক্তিফোরাম একটি সিটিজেন জার্নালিজমের প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়। অগাস্টের এক থেকে পাঁচ তারিখ পর্যন্ত মুক্তিফোরাম টানা আন্দোলনের লাইভ কাভারেজ দিয়ে যায় এবং আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারযন্ত্রের আক্রমণের নানান তথ্য সংরক্ষণ করে।
এসময়ে মুক্তিফোরামের রিপোর্টার ও সম্পাদকরা নানানভাবে নানান যায়গায় আক্রমণ ও হামলা-হুমকির শিকার হন। এই সময়ে আন্দোলনের সকল খবরাখবরের লাইভ ভিডিও, ছবি ও খবর নিয়ে একটি ইন ডেপথ ইংরেজি সংবাদ লেখা হয়। প্রকাশের পরপরই এটি বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ডিং একটি ব্লগপোস্ট হয়ে পড়ে এবং বিশ্বের নানান গণমাধ্যম আন্দোলনের খবর পেতে মুক্তিফোরামের বরাত ব্যবহার করতে থাকে। মুক্তিফোরামের পাঠকদের মতে মুক্তিফোরাম সেই সময়ে “একমাত্র জনপন্থী গণমাধ্যম” হিসেবে কাজ করে। মূলধারা গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপরে সরকার বিধিনিষেধ আরো করলে সেসময়ে মুক্তিফোরামকে তারাও সংবাদ দিয়ে সহায়তা করেন। সেই সাহায্যের কারণে মুক্তিফোরামে প্রকাশিত কোন সংবাদকে কখনও ভুয়া বলে প্রমাণ করা যায়নি।
কিশোর বিদ্রোহের এক পর্যায়ে শহীদুল আলম গ্রেফতার হলে তার মুক্তির দাবীর সাথে নানান ভাবে যুক্ত ছিলেন মুক্তিফোরামের সম্পাদক, বন্ধু ও শুভান্যুধায়ীরা। পরবর্তীতে দীর্ঘ একটি ক্যাম্পেইনের পরে তিনি মুক্তি পান। এই ক্যাম্পেইনে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিফোরামের অংশীজনেরা ভূমিকা রাখেন।
মুক্তিফোরামের সাংগঠনিক সূচনা ও চলমান কর্মকান্ড
তবে এই সময়জুড়ে মুক্তিফোরামের ওয়েবসাইটে ও ফেসবুক পেইজে একের পরে এক সাইবার এটাক আসতে থাকে। ব্যক্তিগত, সাংসারিক ও কর্মজীবনের নানান চাপে মুক্তিফোরামের সম্পাদকেরা বিক্ষিপ্ত হয়ে যান, তবে কাজ চলতে থাকে। এক পর্যায়ে মুক্তিফোরামের প্রথম ওয়েবসাইট মুক্তিফোরাম ডট কম বাতিল করে নতুন ওয়েবসাইট (মুক্তিফোরাম ডট অর্গ) গঠন করা হয়।
এর পরপরই বুয়েটে আবরার হত্যাকান্ড ঘটে। আবরার হত্যাকান্ডের পরপরই মুক্তিফোরামের নানান অংশীজন মুক্তিফোরামকে সাংগঠনিক রূপ দেবার তাগিদ অনুভব করেন, এই ধারণা থেকে যে কেবলমাত্র গণমাধ্যমের জায়গা থেকে দেশের চলমান সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন একটি সামগ্রিক মুক্তির সংগঠিত গণমঞ্চ, যেটি কিনা ভবিষ্যতের যেকোন গণআন্দোলনের কাঠামোগত অংশীজন এবং পরিবর্তনের মশালবাহক হিসেবে কাজ করতে পারবে।
এই ধারণা থেকে অক্টোবর ১২, ২০১৮ সালে মুক্তিফোরামের প্রথম সাংগঠনিক বৈঠক আয়োজন করা হয়, যেখানে ছাব্বিশজন সদস্য প্রাথমিকভাবে নিবন্ধিত হন। সেই সংখ্যাটি এখনও নিয়মিত বাড়তে এবং সদস্যগণ বাংলাদেশের নানান অঞ্চলে, এমনকি বিশ্বের নানান দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এবং সেইসকল স্থানে নিজেদের ইউনিট গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
সূচনার প্রথম মাসেই মুক্তিফোরাম তার খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশিত করে এবং অংশীজন ও বন্ধুদের কাছে থেকে এর বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ গঠন করে। সাংগঠনিক সদস্যদের নিয়ে এই গঠনতন্ত্র, প্রস্তাবনা ও প্রকল্প নিয়ে প্রথম গণপরিষদ বৈঠক আয়োজন করা হয় ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮-তে।
এর মধ্যবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক কর্মকান্ড আয়োজন করে মুক্তিফোরাম। সৌদি আরবে বাংলাদেশী নারী শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় প্রথম মানববন্ধনের একটি বন্ধু সংগঠন গণঐক্যের সাথে মুক্তিফোরাম আয়োজন করে। এর পরেই ঢাকা কলেজে একটি সাংবাদিকতা কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এর পরেই মুক্ত, বহুত্ববাদী ও জনপন্থী সমাজ নির্মানে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিবর্গকে পুরস্কৃত করবার জন্য গড়ে তোলা “মুক্তিপদক” তুলে দেয়া হয় সংগীতশিল্পি ফারজানা ওয়াহিদ শায়ানের হাতে।
এর মাঝে শিশু, কিশোর, তরুণদের নিয়ে গঠিত স্বাধীন সংগঠন জাতীয় নবীন ফোরাম মুক্তিফোরামের নিকটবন্ধু সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপরে সম্মিলিত মানুষের মঞ্চ নামের একটি দাবি আদায়ের অসংগঠিত মঞ্চ গঠনে মুক্তিফোরামের সদস্যরা কাজ করে যেখানে যেকোন সংগঠনের সদস্যরা ইস্যুভিত্তিক ঐক্যে এসে প্রতিবাদ করতে পারবে। এই ব্যানারের অধীনে প্রথম প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয় ভারতের এনআরসি-সিএএর বিরুদ্ধে, যেটি ছিলো এই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক আইনের বিরুদ্ধে প্রথম নাগরিক প্রতিবাদগুলোর মাঝে একটি। এটিতে নানান সংগঠনের ও সংগঠনের বাইরের পঞ্চাশজনের অধিক আন্দোলনকর্মী অংশ নেন।
অতঃপর সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ওপরে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় মুক্তিফোরামের সদস্যরা প্রতিবাদী অবস্থান নেয় এবং নাগরিক সমাজের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে জবাবদিহিতা পত্র নিয়ে উপস্থিত হয় এবং তাকে চ্যালেঞ্জ করে।
নতুন বছরে এখনও পর্যন্ত “রাজনীতির মুক্তি, মুক্তির রাজনীতি” শিরোনামে একটি সভা করা হয়েছে, তার পরেই নাটক ও গণপরিষদ আয়োজন করা হচ্ছে। এর পরে নানান সাংগঠনিক কর্মকান্ড মুক্তিফোরাম নেবে। সেই সম্বন্ধে জানতে মুক্তিফোরামের ওয়েবসাইটে (muktiforum.org) এবং ফেসবুক পেইজে (facebook.com/muktiforum) চোখ রাখতে পারেন।
মুক্তিফোরামের সদস্য হিসেবে যোগ দিতে fb.com/groups/mforg এ গিয়ে জয়েন দিতে পারেন অথবা ফেসবুকে Muktiforum Members লিখে সার্চ দিয়ে জয়েন করতে পারেন।
মুক্তিফোরাম সম্বন্ধে বিস্তারিত পাঠের জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
সূর্যের দিন আসবেই।
শেষ আপডেটঃ ১/১৮/২০২০
5 Comments
একজন তৃণমূল কর্মী হিসাবে মুক্তিফোরামের সাথে থাকতে পারলেই খুশি। ব্যাক্তি ফায়দার প্রয়োজন নাই। দেশের দশ টা মানুষের ন্যায্য দাবীতে যেন সোচ্চার রইতে পারি।
I would like to be a part of that movement.
Please fill up the form at: muktiforum.org/join
স্পন্সর কি শুধু স্পন্সরই থাকবে নাকি একই সাথে সদস্য পদ ও থাকবে?
স্পন্সর কি সদস্যদের মতো ভোটাদিকার পাবে?
কেবল স্পন্সরেরা ভোটাধিকার পাবেনা। ভোটাধিকার পেতে হলে নির্বাহী সদস্য হতে হবে।