বিভিন্ন সময় সহিংস কর্মকান্ডের জন্য অতীতে বিভিন্ন দেশ আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা অঙ্গসংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
যে সংগঠনের হাত ধরে দেশের স্বাধীনতা এসেছে সেই সংগঠন আদর্শের জায়গা হতে সরে স্রেফ ক্ষমতা আর পেশিশক্তি দেখানোর জায়গায় পরিণত হয়েছে।
এভাবে ভিন্ন মত দমন করা সৈরাচারের জন্য সাজে গনতন্ত্রের জন্য সাজে না।
বিভিন্ন মানুষের বিভন্ন মতামত থাকতেই পারে। আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কে কোন পেইজে লাইক দেবে না দেবে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতি করি না, এবং তাদের অতীত কর্মকান্ডের কারনে তাদের বর্তমান কার্যক্রমও সমর্থন করি না।
আমার জানামতে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে তবে বাংলাদেশের আদালত এখনো পর্যন্ত জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নি। বর্তমান সরকার চাইলেই কাজটি সহজে করতে পারে কারন তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে তারা সেটি করছে না বা করবেও না কারন তখন তারা কথায় কথায় যাকে তাকে জামায়াত বা শিবির কর্মীর ট্যাগ দিতে পারবে না।
আর সব কিছু বাদ দিলেও একজন মানুষ যদি কোন নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীও হয়ে থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারে একমাত্র রাষ্ট্রের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সংবিধানের কোন ধারা মোতাবেক ছাত্রলীগে সেই বৈধ ক্ষমতা পায়? যেই ক্ষমতার বলে একজন ছাত্রকে একটি পেইজে লাইক বা ফেসবুকে কোন পোষ্টের কারনে পিটিয়ে মেরে ফেলাতে পারে?
আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের লোকজন কি এখন নিহত বুয়েট ছাত্রের পিতামাতাকে তাদের সন্তান ফেরত দিতে পারবেন?
এর দায়ভার তো আপনাদের উপর পড়ে কারন আপনারা আপনাদের সংগঠনের কর্মীদের অতীত সহিংসতার পরেও এধরনের কার্যক্রম বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেন নি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেন এর দায় আপনি এড়াতে পারেন কিনা?
নাকি আপনার কাজ শুধু দল হতে বহিষ্কার করে লোক দেখানো বিচার করা?
মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহীন এই নামমাত্র গনতান্ত্রিক সংবিধানের মূল্য কতটুকু?
লেখাঃ Rai Han (তথা কথিত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিক)