Author: Muktipotro Webdesk

I am an Example Writer. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt labored et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

বাংলাদেশের মতো হাভাতে লেবার-রাষ্ট্রগুলো থেকে সৌদিতে শ্রম বিক্রি করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসা শবদেহের শরীরজুড়ে যা দেখি তাতে মানবসভ্যতার বড়াই নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠি। কোনমতে জান বাঁচিয়ে ফিরে আসা নারীদের মুখ থেকে আরব্য আচরণ নিয়ে যা শুনি তাতে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। অবশ্যই এসমস্ত ঘটনা সম্প্রতি ঘটে চলা হঠাৎ দৃশ্যমান কোনও বাস্তবতা না। নারীর প্রতি এই দেশগুলোতে ঘটে যাওয়া বর্বরতার প্রতিবাদে ২০১১ সাল থেকে সেখানে নারী শ্রমিক সরবরাহকারী ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় সকল রাষ্ট্র শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রেখেছে। এবং কেউ কেউ পাঠালেও সৌদি সরকারের সাথে গ্যারান্টি ক্লজ যুক্ত সুপষ্ট চুক্তি সম্পন্ন করে পাঠাচ্ছে। অথচ যাচ্ছেতাই উন্নয়ন প্রদর্শনে ব্যস্ত…

Read More

বালিশ-ব্যাংক-বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভন ও অশোভন “দুর্নীতি” গুলো কিন্তু ব্যক্তিগত প্রবলেম না। এগুলো হচ্ছে বিদ্যমান রাষ্ট্র-পরিচালনা-প্রণালীর সিস্টেমগত বৈশিষ্ট্য। সিস্টেমের অংশ।সবাই মিলে ভাগবাটোয়ারা করে রাষ্ট্রকে দোহন করে খাওয়ার একটা গণতান্ত্রিক সিস্টেম চালু হয়েছে। এগুলোকে “দুর্নীতি” বললে সংজ্ঞাটা সংকীর্ণ হয়ে যায়। এগুলো স্রেফ “দুর্নীতি”র দৃষ্টান্ত নয়, এসবই এখন রাজনীতি। বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্রের রাজনৈতিক অর্থনীতি। গ্র্যান্ড পলিটিক্যাল ইকোনমি। মুক্তিযুদ্ধের আগের এবং পরের সিস্টেমও প্রাথমিক অর্থে এটাই ছিল। বর্তমান সরকার বলতে গেলে নতুন যেটা করেছেন সেটা হল, এই সিস্টেমটাকে সম্পূর্ণ সর্বজনীন করে তুলেছেন। বিপুল মাত্রায় বিকেন্দ্রায়িত করে তুলেছেন। পুরোপুরি ‘গণতান্ত্রিক’ করে তুলেছেন পার্টির ভেতরে। নতুন এই সিস্টেমেটিক প্রক্রিয়ায় প্রত্যেকের ভাগ সুনির্দিষ্টভাবে, সুশৃংখলভাবে বন্টন করা আছে।এগুলোর পার্টিগত পদ-পদবিভিত্তিক…

Read More

সৌ‌দি‌তে গৃহকর্তার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে দেশে ফেরা মে‌য়েটার কথা শুন‌বেন? না‌কি পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দেওয়া মে‌য়েটার কথা। গরম আয়রন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া দগ্ধ মে‌য়েটার গল্প শুন‌বেন? না‌কি প্রতিবাদ করায় যে মে‌য়েটার চুল টেনে টেনে তুলে ফেলা হয় তার কথা। নাকি নির্যাতনের কারণে চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলো যে মে‌য়েটা তার কথা শুন‌বেন? অাপনারা কতো শুন‌বেন? ক‌তোজ‌নের? সৌদি আরবে কাজ কর‌তে যাওয়া বাংলা‌দে‌শি নারী‌দের দু‌র্ভোগ দুর্দশা নি‌য়ে অনেক‌কে দেখ‌ছি ফেসবু‌কে অাজ সরব। ভা‌লো লাগ‌ছে অামার। গত নয়টা বছর ধ‌রে এ নিয়ে লড়াই করছি। ভীষণ অসহায় মনে হয়ে‌ছে মাঝে মধ্যে। সেই প্রথম ২০১০ সালে যখন…

Read More

নিটসে বেশ স্পষ্টভাবেই তার আশঙ্কার কথা লিখে গেছেন– পাশ্চাত্যে ন্যায়নীতির উৎস ও বিকাশের পথ সচেতনভাবেই রুদ্ধ হয়েছে আধুনিক মানসের ‘গণতান্ত্রিক কুসংষ্কার’-এর মাধ্যমে।[2] আমরা যখন বর্তমানের ঐতিহাসিক সাম্যবাদী ও প্রগতিশীল আত্মশ্লাঘার মধ্য দিয়ে অতীতের প্রতিসরণ ঘটাই, নিটসের বিশ্বাসমতে, অপরাপর মূল্যবোধগুলোকে উপলব্ধি করতে তখন ব্যর্থ হই আমরা আর এগুলোর মাধ্যমে নিজেকে বুঝার ও নিজের ওপর এদের প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগও পরিত্যাগ করি। এই ‘গণতান্ত্রিক কুসংস্কার’ আমাদের অতীতকে পাঠ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং বস্তুর নৈতিক বিন্যাস(এবং তার অনিশ্চিত প্রকৃতির) সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব ধারণার মাঝে যে ক্ষমতা ক্রিয়াশীল থাকে, তাকে দেখার বংশানুক্রমিক সম্ভাবনাকে বিসর্জন দেয়। আজকের দিনে বহু পশ্চিমা চিন্তাভাবনাই এরকম এক সমস্যায় ভুগছে,…

Read More

আগামী ১৭ ই নভেম্বর ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট ‘অযোধ্যা রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ’ বিতর্কের চূড়ান্ত রায় জানিয়ে দেবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। অপরদিকে বাবরি মসজিদের পক্ষে মামলাকারী মুসলিম পক্ষও কিছু শর্তের বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেছে। মামলা তুলে নেওয়ার পিছনে মুসলিম পক্ষ যে শর্ত গুলি দিয়েছে সেগুলো হলো, ১, ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদের দাঙ্গায় অযোধ্যায় যে ২২ টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পুননির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।২, ভারতের দ্য আরকিওলজিকাল সার্ভে চিহ্নিত ঐতিহাসিক মসজিদ গুলির নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। অবশ্য মুসলিম পক্ষের মামলা তুলে নেওয়া বা না নেওয়াতে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের রায় যে খুব একটা পরিবর্তিত…

Read More

রাজনৈতিক ভাবে আমরা যেই নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করি এই ব্যবস্থাকে ইংরেজিতে বলা হয় “ফার্স্ট পাস্ট দা পোস্ট সিস্টেম”। অর্থাৎ এই ব্যবস্থার অধীনে একাধিক প্রাথীর মধ্যে যে সব চেয়ে বেশি ভোট পাবে সেই জয়ী ঘোষিত হবে। এই ব্যবস্থার চারটি বড় বড় সমস্যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধ্বংসের অন্যতম কারন (স্বচ্ছ নির্বাচন যদি হয়েও থাকে তারপরেও): ১.) ধরুন আমাদের জাতীয় নির্বাচনে ৪ টি দল প্রার্থী নিয়োগ দিয়েছে: আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাতি ইসলাম আর জাতীয় পার্টি। ধরুন কোন এক আসনে আওয়ামীলীগ ভোট পেয়েছে ৩২ শতাংশ, বিএনপি ভোট পেয়েছে ৩০ শতাংশ,জাতীয় পার্টি ভোট পেয়েছে ১৮ শতাংশ আর জামাতি ইসলাম ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশ। ওই…

Read More

আবরারের হত্যা কান্ডের ধরন ছাত্রলীগের অন্যান্য হত্যার ধরনের (শিবির সন্দেহ) সাথে মিলে গেলেও এর কারন সম্পুর্ন ভিন্ন। ভিন্ন কারন, এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের অন্যতম ছাত্র সংগঠন এখন ভারতের তাবেদার অথবা সেই ছাত্রলীগকে যারা চালায় তারা তাবেদার। সত্যিকথা বলতে কি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আওয়ামীলীগ ভারতের বন্ধুত্বের নামে যেভাবে ভারতের নিয়ন্ত্রণর বলয়ে চলে এসেছে তা এখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মাথা ব্যাথা। ভারত এখন “প্রধানমন্ত্রীর মাথাব্যাথা”? কথাটা শুনে হয়ত অনেকে অবাক হচ্ছেন, অনেকে চটেছেন অনেকেই ঠাট্টা হিসেবে নিয়েছেন। তবে কথাটার পেছনের যুক্তি কতটা শক্তিশালী তা নিজেরাই যাচাই করতে পারবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তার ভাষ্য থেকেই। উনি ভারতের সাথে সাক্ষর…

Read More

বুয়েটের ছেলেটা যে রুমে থাকতো, সে রুমটার নম্বর ১০১১। তরুণদের উচিত সে রুমটাতে গিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে পুষ্পস্তবক দেয়া। যেমনটি করেছিলেন, হুমায়ুন আজাদ—রোকেয়া হলে পুলিশের আক্রমনের প্রতিবাদে। যে রুমটিতে তাকে হত‍্যার করা হয় সেটি ২০১১। দেশের তরুণ মেধাবী চিত্রশিল্পী ও ভাস্করদের উচিত সে কক্ষে যাওয়া। সেখানে গিয়ে ওরা হায়নাদের ছবি এঁকে সেঁটে দিবে—যেমনটি এঁকেছিলেন কামরুল হাসান, একাত্তরের সময়। সে কক্ষে থাকবে নিরপরাধ ছেলেটির ভাস্কর্য। ভাস্কর্যে ফুটে উঠুক— ছেলেটি গণিত করছিলো। সে গণিত শেষ না করতেই তাকে ডেকে নিয়ে হত‍্যা করা হয়। আর, ১০১১ কক্ষটি হয়ে যাবে স্মৃতির কক্ষ। সেখানে কোনদিন আর কোন শিক্ষার্থী থাকবে না। তরুণদের উচিত, ১০১১…

Read More

একটা দেশের সবচে ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠান তার রাষ্ট্র। সরকার সেই রাষ্ট্রের সাময়িক প্রতিনিধি। নাগরিকরাই তাকে ক্ষমতাচর্চার অধিকার দেয়। দুনিয়ার কোনো কোনো দেশে সরকারের ক্ষমতা সীমিত। সংবিধান/লোকাচার কর্তৃক সীমিত। সরকার যা খুশী তাই করতে পারে না। সেখানে ক্ষমতার ক্ষেত্রে একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, আর বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা পরিকল্পিতভাবে বিতরণ করে দেয়া থাকে। একটা আরেকটাকে চেক দেয় বলে সরকার নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠতে পারে না। বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবেই সব ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগের হাতে। প্রধানমন্ত্রী এই নির্বাহী বিভাগের প্রধান, আবার বিজয়ী দলের প্রধানই যেহেতু সংসদ নেতা, ফলে তিনি আইন বিভাগেরও প্রধান। বিচার বিভাগের বিষয়টা নিয়ে…

Read More