আগামী ১৭ ই নভেম্বর ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট ‘অযোধ্যা রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ’ বিতর্কের চূড়ান্ত রায় জানিয়ে দেবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। অপরদিকে বাবরি মসজিদের পক্ষে মামলাকারী মুসলিম পক্ষও কিছু শর্তের বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেছে। মামলা তুলে নেওয়ার পিছনে মুসলিম পক্ষ যে শর্ত গুলি দিয়েছে সেগুলো হলো,
১, ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদের দাঙ্গায় অযোধ্যায় যে ২২ টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পুননির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
২, ভারতের দ্য আরকিওলজিকাল সার্ভে চিহ্নিত ঐতিহাসিক মসজিদ গুলির নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
অবশ্য মুসলিম পক্ষের মামলা তুলে নেওয়া বা না নেওয়াতে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের রায় যে খুব একটা পরিবর্তিত হবেনা তা মুসলিম পক্ষও খুব ভালোভাবেই জানে। কারণ শুনানি চলাকালীন মুসলিম পক্ষ অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে বাবর দ্বারা মসজিদ নির্মাণের পূর্বে সে স্থানে যে কোনোরূপ মন্দিরের অস্তিত্ব ছিলো না তাহা প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে অপরদিকে হিন্দু পক্ষ মন্দিরের অস্তিত্বের পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ না দিতে পারলেও বেশ কিছু উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে সামর্থ হয়েছে, তাই কৌশলে মুসলিম পক্ষ উপরোক্ত শর্ত দুটি চাপিয়ে দিয়েছে বিষয়টিকে আরও একটু জটিল এবং আরও বেশ খানিকটা দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে। মুসলিম পক্ষের শর্ত দুটিকে আমি কেনো কৌশলে চাপিয়ে দেওয়া বলছি তাহা নিয়ে একটু পরে আলোচনা করছি।
যাই হোক অযোধ্যায় মন্দির-মসজিদ বিতর্ক এতদিন ঠান্ডা ঘরে পড়ে থাকলেও আজ হটাৎ ভারতের শাসকদল বিজেপির এই বিষয়টি নিয়ে এতখানি তৎপরতার একটি বড়ো কারণ আছে, আসলে ভারতের শাসকদল বিজেপির এই রায়ের পিছনে রয়েছে অপরিসীম রাজনৈতিক স্বার্থ। বিজেপি এখনো পর্যন্ত যতবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে ভারতের জনগণের প্রতি ততবার তাদের মূল প্রতিশ্রুতি গুলির মধ্যে প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিলো অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ। যদিও বিজেপি রাম মন্দিরের মুলো ঝুলিয়ে তিন তিনবার পুরোদমে ভারতের ক্ষমতায় আসলেও মন্দির নির্মাণের পক্ষে তাঁরা কখনই তেমন কোনো উপযুক্ত ভূমিকা নেয়নি তাই রাম মন্দিরের নামে বিজেপিকে ভোট দেওয়া জনতা বিজেপির উপর যারপরনাই ক্ষিপ্ত। তাছাড়া গত বছর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতীয় অর্থনীতির সূচক নিম্নগামী এই মুহুর্তে সাংঘাতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি সেই সাথে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বেকারত্ব সমস্যা, সব মিলিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি এই মুহুর্তে যে বেশ কোণঠাসা তা বলাই বাহুল্য। আর বিজেপির এহেন সঙ্কটকালে গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতন উপস্থিত হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি যে এই মুহুর্তে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তা ইতিমধ্যে প্রকাশিত মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং বিজেপির এহেন গভীর সঙ্কটকালে অযোধ্যা বিতর্কে রাম মন্দিরের পক্ষে কোর্টের রায় যে বিজেপির জন্যে একপ্রকার সঙ্কট মোচন রূপে অবতীর্ণ হতে চলেছে তাহা সহজেই অনুমেয়। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি ঘেষা ভারতীয় মিডিয়ার একটি হিন্দুত্ববাদী বর্গ দেশের অর্থনৈতিক মন্দা এবং বেকারত্বের মতন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখন হিন্দুত্ববাদের সাথে জাতীয়তাবাদ মিশিয়ে মন্দিরের পক্ষে পরিবেশ তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে।
মন্দির-মসজিদ খেলার মধ্য দিয়ে দেশকে ধর্মীয় উগ্রপন্থা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা গেলেও সদ্য প্রকাশিত গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্সে ভারতকে শোচনীয় অবস্থান থেকে কোনো সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য বিজেপির মতন সাম্প্রদায়িক সংগঠনের কাছে এর থেকে বেশিকিছু আশা করাও বোকামি কারণ সাম্প্রদায়িক সংগঠন সুযোগ বুঝে তাদের সাম্প্রদায়িক রূপ দেখাবেই।
এবার আসি অযোধ্যায় মন্দির-মসজিদ বিতর্কে মুসলিম পক্ষের কৌশলে চাপিয়ে দেওয়া শর্ত প্রসঙ্গে।
অযোধ্যায় মন্দির-মসজিদ বিতর্কের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ১৮২২ সালে যখন ফৈজাবাদ কোর্টের একজন আধিকারিক বাবরি মসজিদের তলায় রাম মন্দিরের অস্তিত্বের কথা দাবী করেন, এই দাবীকে কেন্দ্র ১৮৫৫ এবং ১৮৫৯ সালে অযোধ্যায় হিন্দু এবং মুসলিম পক্ষের মধ্যে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনাও ঘটে। তবে অযোধ্যা বিতর্কের পাকাপোক্তভাবে গোড়াপত্তন ঘটে ১৯৪৯ সালে মসজিদ প্রাঙ্গণে রামের মূর্তি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। কিন্তু আমরা যদি অযোধ্যা বিতর্কের সূত্রপাত ১৮২২ সালে ধরি তাহলে ১৮২২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯৭ বছর মসজিদ রক্ষার্তে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত আজ যেখানে দীর্ঘ এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় সকলের সামনে আসতে চলেছে তখন মাত্র দুটি শর্তের বিনিময়ে মুসলিম পক্ষের বিতর্কিত স্থানের মালিকানা ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ভাবেই নানাবিধ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভারতের কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং বুদ্ধিজীবীদের একটি বর্গ এটিকে মুসলিম পক্ষের মানবিক সিদ্ধান্ত বলে প্রচার করলেও স্পষ্টতই আমার কাছে তেমনটা বলার কোনো কারণ নেই। মুসলিম পক্ষের দেওয়া দ্বিতীয় শর্তটি একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন কারণ মুসলিম পক্ষের যাবতীয় কৌশল এই শর্তটির মধ্যেই লুকায়িত আছে। বিতর্কিত স্থানের মালিকানার দাবী ছেড়ে দেওয়ার পিছনে মুসলিম পক্ষের দ্বিতীয় শর্তটি ছিলো,
ভারতের দ্য আরকিওলজিকাল সার্ভে চিহ্নিত ঐতিহাসিক মসজিদ গুলির সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
আর মুসলিম পক্ষের দেওয়া এই শর্তের মারপ্যাঁচ হলো, ভারতের ‘দ্য আরকিওলজিকাল সার্ভে’ চিহ্নিত ঐতিহাসিক মসজিদ গুলোর মধ্যেও বাবরি মসজিদের মতন বেশ কিছু বিতর্কিত মসজিদও রয়েছে যেমন বেনারসের ‘কাশী বিশ্বনাথ মন্দির’ যেটিকে ঔরঙ্গজেব মসজিদে পরিবর্তিত করে নাম দেন ‘গ্যানভাপি মসজিদ’ ঔরঙ্গজেব বেনারসের আরও একটি বিখ্যাত মন্দির ‘বিন্দু মাধব মন্দির’ টিকেও মসজিদে রূপান্তরিত করে যার বর্তমান নাম ‘আলমগীর মসজিদ’। শুধু এই দুটি মন্দিরই নয় সিতা রাম গোয়েল নামে এক লেখক তেনার বই ‘Hindu Temples: What happens to them’ বইটিতে হিন্দুদের ৪০০০ হাজারের অধিক ঐতিহাসিক মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানকে মসজিদে রূপান্তরিত করার অভিযোগ করেছেন যার মধ্যে বেশ কিছু রূপান্তরিত মসজিদ বর্তমানে ভারতের ‘দ্য আর্কিওলজিকাল সার্ভে’ দ্বারা চিহ্নিত।
সুতরাং যদি বিতর্কিত স্থানের মালিকানার দাবী ছাড়ার বদলে মুসলিম পক্ষের তরফ থেকে দেওয়া এই শর্তটি যদি হিন্দু পক্ষ মেনে নেয় তাহলে বাবরি মসজিদের রায় ঘোষণার সাথে সাথেই মধ্যস্থতা কমিটির সুপারিশে এই শর্তটিও আইনে পরিণত হবে এবং ভারতের আর্কিওলজিকাল সার্ভে চিহ্নিত মসজিদ গুলির নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চলে যাবে ভারত সরকারের হাতে। সেক্ষেত্রে এই বিতর্কিত মসজিদ গুলির প্রকৃত মালিকানার অধিকার নিয়ে মামলা লড়ার অধিকার হিন্দুপক্ষ হারিয়ে ফেলবে। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের পক্ষে রায় যে আসবেনা তা একপ্রকার স্পষ্ট তাই মুসলিম পক্ষ এই শর্তের মাধ্যমে বাবরি মসজিদকে পুঁজি করে জবরদখল করে তৈরি করা বাকি মসজিদ গুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। যদিও হিন্দুদের এই শর্ত মানার কোনো কারণ নেই আর তাঁরা এই শর্ত মানছেওনা ফলে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে আরও অনেকখানি জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সত্যি বলতে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ করা উচিত নাকি মসজিদ তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ আর চিন্তা কোনোটাই নেই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি এই মুহুর্তে আমাদের মন্দির বা মসজিদ কোনোটারই প্রয়োজনীয়তা নেই তাই দুটোকেই ভেঙ্গে সেই বিতর্কিত স্থানে একটি অন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা উচিত যেখান থেকে হিন্দু, মুসলমান উভয়ই সমান উপকৃত হবে।
আসলে এই প্রসঙ্গে আমার যাবতীয় চিন্তা এই রায়ের প্রেক্ষাপটে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে। অযোধ্যায় কোর্টের রায় মন্দিরের পক্ষেই আসুক আর মসজিদের পক্ষেই আসুক আদতে সেই রায় যে এই তিন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়দের জন্যে খুব একটা সুখকর হবেনা তা বলাই বাহুল্য আর সবথেকে বড়ো কথা অতিত কিন্তু তেমনটাই সাক্ষ্য দেয়। ভারতীয় সংখ্যালঘুদের এইক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপদ বলে আমি মনে করি কারণ ভারতের আইনি ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী তাছাড়া রায় ঘোষণার কয়েকমাস আগে থেকেই ভারত সরকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে দিয়েছে।কিন্তু বরাবরের মতই এই প্রক্ষাপটে এই মুহুর্তে সবথেকে বেশি অনিরাপদ পরিস্থিতিতে বসবাস করছে বাংলাদেশী এবং পাকিস্তানী সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর মুসলমানদের তরফ থেকে যে কি পরিমাণ নারকীয় অত্যাচার নেমে এসেছিলো তা কল্পনা করলেও শিউরে উঠতে হয় আর আজ সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে একপ্রকার। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালানোর জন্যে মুসলমানদের শুধু একটি উছিলা দরকার সামান্য ফটোসপের সূত্র ধরে যেখানে হাজার হাজার হিন্দুর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করে দেওয়া হয় সেখানে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার মতন একটি উছিলা এই দেশের মুসলমানেরা যে এমনি এমনি যেতে দেবে না তাহা একপ্রকার হলফ করেই বলা যেতে পারে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নতুন কিছু নয় কিন্তু বিগত কয়েকবছরে হিন্দু নির্যাতনের পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যার মধ্যে বিগত কয়েক মাসে হিন্দু নির্যাতন একপ্রকার লাগামছাড়া সম্প্রতি ভোলায় জনৈক হিন্দু যুবক দ্বারা ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদকে কটূক্তির গুজব রটিয়ে ভোলায় হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে আর এরকম পরিস্থিতিতে বাবরি মসজিদ বিতর্কের রায় বাংলাদেশী হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্যে অনেক বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশের উগ্র মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি বহুদিন ধরে হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ‘ইসকন’ এর নামে কূৎসা রটিয়ে এটিকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়ে আসছে সম্প্রতি ভোলার ঘটনার পর ‘ইসকনে’ উগ্র ইসলামী জঙ্গী সংগঠন ‘আইএস’ হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কতাও জারী করা হয়েছে আর এই পরিস্থিতিতে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর রায় যে বাংলাদেশে ‘ইসকন’ সহ হিন্দুদের বাকি ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলার পথ সুগম করে দেবে তা বলাইবাহুল্য।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা এই মুহুর্তে একপ্রকার বারুদের স্তুপের উপর বসবাস করছে যেখানে বাবরি মসজিদের রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো মুহুর্তে তাদের উপর নেমে আসতে ভয়ঙ্কর নারকীয় অত্যাচার। কিন্তু এইসব কিছু জানা সত্বেও বাংলাদেশী সরকার এইদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্যে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি এমনকি এই বিষয়ে সরকারের ন্যুনতম তৎপরতাও এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। অনলাইনে যারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিয়ে লেখালেখি করেন বাবরি মসজিদ বিতর্কে পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার মতন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাদেরও কোনোরকম লেখা আমার এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি যদিও এই বিষয়টিকেই আমি এই মুহুর্তে সর্বাপেক্ষা গুরত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বলে মনে করি। এই বিষয়টির সাথে এই দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত তাই আমার মনে হয় এই বিষয়টি নিয়ে সবারই এখন থেকেই লেখালেখি শুরু করে সরকারের উপর সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যে চাপ প্রয়োগ করা উচিত। আর যদি তা না করা হয় তাহলে তাহলে বাংলাদেশের মোল্লাতান্ত্রীক সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যপারে নিজের অনিচ্ছাকে নিজের অপারগতা হিসেবে চালিয়ে দিয়ে আমাদের চোখের সামনেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে হিন্দু নির্যাতনকারীদের ইন্ধন জুগিয়ে আরও একটি হিন্দু নিধনযজ্ঞ সংগঠিত করে ফেলবে।
অন্তহীন রাকিব, ব্লগার