রাজধানীর মগবাজার মোড়ে গান শুনে বাইক চালাতে থাকা পুলিশ অফিসারকে ঘিরে ধরে পথরোধ করে স্কুলড্রেস পরা ছাত্ররা। তারা দাবি করে যে তারাও দেশের নাগরিক এবং পুলিশ নীতিবিরুদ্ধ কাজ করলে তারা পুলিশকে আটক করবার অধিকার রাখে। এসময়ে পুলিশ সদস্য বলে ওঠেন, তোমরা দেশের নাগরিক নও। তোমাদের বয়স আঠারো হয়নাই।
ছাত্ররা তখন বলে ওঠেন, ভোট দিতে আঠারো হওয়া লাগে, আমরা জন্মগতভাবে নাগরিক। নাগরিক হবার জন্য আঠারো হতে হবে, এমন কোন আইন নাই।
পুলিশ অফিসার তখন তেড়েমেড়ে বলে ওঠেন, তোদের এতোবড় সাহস? তোরা জানিস আমি কে?
তখন ছাত্ররা উত্তর দেন, অবশ্যই জানি। আপনি মকবুল। আপনা বুকের ওপরে লেখা।
থতমত খেয়ে সেই পুলিশ তখন তার বুক ঢেকে ফেলেন এবং জিজ্ঞেস করেন, আমাকে কোন অপরাধে আটক করেছো?
ছাত্ররা বলে, আপনি বাইকে বসে গান শুনছেন। কানে হর্ন শুনতে পাবেন না। এক্সিডেন্ট করবেন।
সার্জেন্ট মকবুল বলে, কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার বিরুদ্ধে কোন আইন নাই।
ছাত্ররা উত্তরে বলে, পার্কে বসে প্রেম করার বিরুদ্ধেও আইন নাই। আপনারা যে আমাদের ধরেন।
পুলিশের ওই সদস্য তখন বলেন, আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধের থেকে ধরি। ধর্মে বিয়ের আগে প্রেম করা নিষেধ করা আছে। কিন্তু গান শোনার কোন নিষেধ……ও শিট!
সার্জেন্ট মকবুল পরে দাবি করেন যে শেষ অংশটি কোন বিশেষ উসকানিমূলক গোষ্ঠীর কারসাজি। এর পুরোটাই গুজব। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, গুজবে কান্দিবেন না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের পার্কে পার্কে ছাত্রদেরকে ধরে ধরে অভিভাবকে দেয়ার পক্ষে একটি দীর্ঘ রচনা লেখেন সার্জেন্ট মকবুল হোসেন। তিনি দাবি করেন যে দেশের পোলাপানকে লাইনে আনার জন্যে প্রয়োজন “শক্ত মাইর” এবং সেই মাইরের প্রদত্তা হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাব করেন।
সার্জেন্ট মকবুল দাবি করেন তখন থেকেই এই বদ ছেলেপিলেগুলো তাকে ফলো করে আসছে এবং তাকে ঝামেলায় ফেলার ধান্দা করছে।
এই ঘটনায় তিনি রমনা থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের অধীনে একটি মামলা করেন।
রাস্তায় হেনস্থা হবার ঘটনায় তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা কেনো করলেন, সেটি এখনও পরিস্কারভাবে জানা যায়নি।
এটি একটি স্যাটায়ার সংবাদ। মুক্তিফোরামের পক্ষে এই রম্য সংবাদটি রচনা করেছেন ফারুক রাসুল।