ছাত্রলীগের হামলায় আহত অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলায় আহত অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস

গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন প্রায় পঁয়ত্রিশজন শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপক/অধ্যাপিকা। জাবি-র ভাইস চ্যান্সেলর ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহাপ্রকল্প থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগকে দিয়েছে এই অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবী করে তার বাসভবন ঘিরে আন্দোলন করছিলেন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। আন্দোলন চলাকালে “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানার নেতৃত্বে শতাধিক কর্মীর একটি দল আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

গত মাসে আবরারের হত্যার ঘটনার পরে সারাদেশে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা হয়। গত ৯ অক্টোবর ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবী জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হচ্ছে মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা, এদেশে প্রিতিটি সংগ্রামে ছাত্র রাজনীতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, এবং তিনি নিজে ছাত্র রাজনীতি করেছেন বলেই দেশকে নিয়ে চিন্তা করতে শিখেছেন। এই কথাগুলোর বলেছিলেন এই প্রেস ব্রিফিং-এ:

প্রধানমন্ত্রীর কথায় কিছুটা সত্যতা আছে। ছাত্র রাজনীতি যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের জন্যে প্রচন্ড ভয়ের কারণ, যেটা জাবি-র আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা দেখিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি সন্ত্রাসী অঙ্গ-সংগঠনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই ছাত্র-ছাত্রীরা রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের মতো ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দমিয়ে রাখতেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাত্র সন্ত্রাসী দল পুষে রাখতে হয়। এইসব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক সংগঠন ডাকাটা ভুল – এই সংগঠনগুলো ছাত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ডাকা মানানসই। ছাত্র রাজনীতি, যেটা ছাত্র-ছাত্রীদের দেশ এবং সমাজ নিয়ে চিন্তা করতে শেখায়, সেটা করে দেখিয়েছে জাবি-র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি বহাল থাকুক, বন্ধ হোক দলীয় সন্ত্রাসী কুচক্রগুলো।

মুক্তিফোরামের পক্ষে সম্পাদকীয়টি রচনা করেছেন তনিমা

Share.

I am an Example Writer. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt labored et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

Leave A Reply