মুক্তিফোরামের গঠনতন্ত্র ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে প্রথম গণপরিষদ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় গত শনিবার সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে। এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েতী ঐতিহ্যে এবং সংশ্লেষী ধারায়। অর্থাৎ প্রথমত কেউ একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং সকলে একে একে সেই প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে নানান মত রাখেন। এ সময়ে বিকল্প প্রস্তাবও উঠতে পারে এবং পুরো সময় জুড়ে দুই প্রস্তাবের সংযোজন, পরিমার্জন, প্রবর্ধন ঘটতে পারে। শেষ পর্যায়ে সদস্যরা সংস্লেষ প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং সকলের সম্মতিক্রমে সংস্লেষ প্রস্তাবনা গৃহীত হয়।
১/১৮/২০১৯ তারিখে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরামের প্রথম গণপরিষদ বৈঠকে উঠে আসা মূল বক্তব্যসমুহ নিচে দেয়া হলো। এই বৈঠকে দুইটি প্রস্তাব ওঠে এবং তাদের মিমাংসা করা হয়। প্রস্তাবগুলোর সংস্লেষিত রূপ নিচে দেয়া হলো।
১) পরিবারতন্ত্র ও ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ রোধ প্রসঙ্গে উঠে আসা কিছু বক্তব্য
- গঠনতন্ত্রে নিশ্চিত করতে হবে জে পরিবার তন্ত্র জেন না থাকে
- জবাবদিহিতাকে প্রথম প্রায়োরিটি দিতে হবে
- যেকোন পরিবারের সবাইকে তার যোগ্যতা প্রমান প্রমান করতে হবে
- একপদকেন্দ্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ও নিয়ন্ত্রণ ও সংশোধন করতে হবে
সংশ্লেষ ১
মুক্তিফোরাম পরিবারতন্ত্রকে রোধ করবে এবং যেকোনো নতুন সদস্য সংগঠনের নিচ স্তর থেকে কাজ শুরু করবেন এবং নিজ যোগ্যতাবলে এবং গণতান্ত্রিকভাবে দায়িত্ব লাভ করবেন এবং এক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতাও বিচার করতে হবে এবং এক ব্যাক্তির উপর যাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
২) বহুজাতিক পরিচয় নির্মাণ প্রসঙ্গে উঠে আসা কিছু মূল বক্তব্য
- বহু জাতিগোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে
- মুক্তিফোরামে বাংলাদেশের বহুজাতির সদস্য আনতে হবে
- বাঙালি জাতিয়তাবাদের অনুদার ধারণাতে পরিবর্তন আনতে হবে
- বহুজাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সাথে আন্তরিকতা ও সংগঠনে তাদের অন্তুর্ভুক্তি/অংশীজনদারি বাড়াতে হবে
সংশ্লেষ ২
বাঙ্গালী জাতিগত পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা জাতিয়বাদের বিপরীতে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বাংলাদেশী জাতিয়বাদ গড়ে তুলতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সমাজের নিচ স্তর থেকেই ব্যাবহারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সকল জাতিগোষ্ঠীর সংগঠন ও তার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করা ও তাদের স্বার্থকে বাংলাদেশের আপামর মানুষের স্বার্থের আলোকে উপলব্ধি করা ও রাষ্ট্রে এবং সংগঠনে তাদের অংশীজনদারী নিশ্চিত করা মুক্তিফোরামের একটি মৌল দাবি হবে।