গণপরিষদ বৈঠকে মুক্তিফোরামের গঠনতন্ত্র ও প্রকল্পে নানান বিষয় যুক্ত করার জন্য কিছু প্রস্তাব উত্থাপিত হয় এবং কিছু সংশ্লেষিত প্রস্তাব গৃহীত হয়। পঞ্চায়েতি কায়দায় সাজানো এ বৈঠকে সকলের আলোচনার মাঝে গ্রহণযোগ্য সমাধানটি উঠে আসে। গৃহীত ও উত্থাপিত প্রস্তাব সমুহ নিচে দেয়া হলো।
সংস্লেষিত প্রস্তাবসমূহ–
প্রস্তাব ১ঃ বন্ধু/ নিকটবন্ধু সংগঠন গঠন/সংযোজন প্রক্রিয়া
মুক্তিফোরামের কোন সদস্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন এমন যেকোনো সংগঠন যদি
ক) তাদের গঠনতন্ত্র মুক্তিফোরামের গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়
এবং
খ) সেই সংগঠনের সম্মতি থাকে,
তবে সেই সংগঠন মুক্তিফোরামের নিকট বন্ধু সংগঠনের মর্যাদা পেতে পারবে।
যদি কোন সংগঠন শর্ত ক ও খ পূরণ করে কিন্তু সেই সংগঠনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মুক্তিফোরামের কোন সদস্যের পদাধিকার না থাকে তবে সেই সংগঠনটি মুক্তিফোরামের বন্ধু সংগঠন হিসেবে মর্যাদা পেতে পারবে।
মুক্তিফোরাম তার নিকট বন্ধু সংগঠনের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহন করবে ও সমর্থন জানাবে এবং তার বন্ধু সংগঠনের কার্যক্রম সমর্থন ও পর্যবেক্ষণ করবে।
এই সম্পর্ক দুই পক্ষের যে কোনটি, তাদের গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক কাজ বা সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাতিল বা ছিন্ন করতে পারবে।
প্রস্তাবটি শতভাগ ভোটে পাশ হয়েছে
প্রস্তাব ২ঃ জেন্ডার ফোরাম গঠন
তৃণমূলের নারী, পুরুষ তথা মানুষের সমস্যা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য ও অন্যায্যতার প্রতিকার করার উদ্দেশ্যে, জেন্ডার ফোরাম নামক একটি স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠায় মুক্তিফোরাম সমর্থন জ্ঞাপন করবে এবং সংগঠনটি মুক্তিফোরামের নিকট বন্ধু সংগঠনের মর্যাদা লাভ করবে।
প্রস্তাবটি শতভাগ ভোটে পাশ হয়েছে
প্রস্তাব ৩ঃ ছায়া সংসদ গঠন
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে মুক্তিফোরাম তাদের একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে যিনি ঐ আসনে জনগণের চাহিদা ও অসুবিধা এবং ঐ অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন। এসকল প্রতিনিধিগন ছায়া সাংসদ হিসেবে পরিচিত হবেন। যারাই ছায়া সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তারা মুক্তিফোরামের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যপদে আসীন থাকতে পারবেন না।
প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে গৃহীত হয়েছে। ২ জন ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন।
প্রস্তাব ৪ঃ ভালো চর্চাকে উৎসাহিত করা
মুক্তিফোরাম বেশ কিছু চর্চাকে উৎসাহিত করবে (ধুমপানে সতর্কতা অবলম্বন বা প্রকৃতি ও পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা) এবং সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
প্রস্তাবটি শতভাগ ভোটে পাশ হয়েছে।
আরও উত্থাপিত প্রস্তাব সমূহ
প্রস্তাব ১ঃ স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নির্বাচনে বিশেষ তালিকাভিত্তিক নির্বাচন অনুসরন করা।
প্রস্তাব ২ঃ মুক্তিফোরামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বুদ্ধিবৃত্তির চর্চাকে গাঠনিক রুপ দান করা।
এইসকল প্রস্তাবগুলো অন্যান্য নতুন প্রস্তাবের সাথে সাথে পরবর্তী সভায় আলোচিত হবে। এছাড়াও নতুন নতুন চিন্তা ও করনীয় বৈঠকে উঠে এসেছে, আশা করা যায়, প্রস্তাব আকারে আমরা ভবিষ্যতে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে সক্ষম হব।
মুক্তিফোরামের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনটির সদস্য গ্রুপে প্রথম প্রকাশ করেন মুক্তিফোরামের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আরিফ সোহেল। মুক্তিফোরামের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে যুক্ত হতে চাইলে ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন এখানে ক্লিক করে