বেশিরভাগ আলোচিত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ‘ওয়ান সাইজ ফিটস অল’ টাইপের পলিসির ভক্ত আমাদের পলিসি মেকাররা। যা কিছু নিয়েই কিছুটা প্রতিবাদ বা অসন্তোস হোক না কেন, পরিস্থিতি সামলাতে না পারলেই সেটা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিকে সমস্যা সমাধানের পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন উর্ধ্বতন মহল।
বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঞ্চালন নিয়ে সমালোচনা? সরকার প্রধানের মনে হলো এই বেলা বাড়তি উৎপাদিত বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি দিয়ে রাখি, বাড়াবাড়ি করলেই ঘ্যাচাং- মানে বন্ধ। সমস্যা সমাধানের কী সহজ একটা তরিকা!
কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন? শালার কোটা’ই থাকবেনা-ঘোষনা চলে আসলো উপরমহল থেকে। অবশ্য সেটা এখনো উপরমহল আছে নাকি এতদিনে প্রমোশন পেয়ে সাত আসমান হয়ে গিয়েছে- সেটা এখনো ঠিক পরিস্কার বোঝা যাচ্ছেনা ।
এরকম বন্ধ বন্ধ হুমকিতে অভ্যস্থ হতে গিয়ে জনগন ভোট দেয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। পেয়াজ ব্যবসায়ীরা পেয়াজ দেয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। অবশ্য, প্রথমে পেয়াজ ছাড়া তরকারি রান্নার রেসিপি এবং পরে সরকার প্রধানের পেয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকির পর মনে হচ্ছে পেয়াজ ব্যাবসায়ীদের চেতনা কিছুটা ফিরে এসেছে।
আজকে আবার লবন ব্যাবসায়ীরা কিছুটা ঝামেলা শুরু করেছে, চাল ব্যাবসায়ীরাও তাদের সাথে যোগ দিয়ে ফেললে সেটা হবে আমাদের জন্য মহা বিপদ সংকেত। লবন ছাড়া তরকারী আর চাল ছাড়া ভাত রান্না করার রেসিপি তা-ও কিছুটা হজম হবে হয়তবা, কিন্তু, চাল বন্ধ করার হুমকি দিয়ে ফেললে আমাদের মত ভেতো বাংগালির যে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবেনা মহাত্মন।
ঢাকার বাতাসে মারাত্মক রকম দূষণ ছড়িয়েছে, প্রতিযোগীতায় ইতিমধ্যে দিল্লীকেও নাকি ছাড়িয়ে গেছি আমরা গত দু’দিনে। এটা নিয়ে কথা বলতে ভয় হয় এখন, প্রতিবাদের কথা উপর মহলে জানাজানি হয়ে গেলে যদি বাতাস বন্ধ করার ঘোষণা চলে আসে- সে ভয়।
কামামুন মুক্তিফোরামের একজন ব্লগার। ব্লগার হিসেবে রেজিস্টার করতে এখানে ক্লিক করুন।