এই রাষ্ট্রে ছাত্র নামের মুখোশধারী কিছু হিংস্র জন্তু নিজেদের শিক্ষকদের লাঞ্চিত করে তাদের উপর হামলা করে তাদেরকে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয় আর তাদের সহপাঠীদের সাথে যা করে সেটা আর নাই বা বললাম কারন বলে কি হবে ওরা তো মেয়েদের গায়ে আঘাত করতেও ছাড়েনি।

অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কিনা বলে এই ঘটনাটা তার জীবনের আনন্দের দিন আর এটা একটা গণ অভ্যুত্থান।

কতটা লজ্জার বিষয় যে উনি একটা পাবলিক বিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং এরাই আমাদের শিক্ষক!

অন্যদিকে একজন বাংলাদেশি নাগরিক জীবনের অন্তিম মুহূর্তে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের মাটিতে শেষ নিঃস্বাসটাও ত্যাগ করতে পারলেন না। ওনার অনেক পরিচয় আছে। উল্লেখ করার মতো অনেক অনেক ভাল গুণাবলী আর কার্যক্রম আছে যেসব বিভিন্ন জন দলমত নির্বিশেষে বলছে লিখছে আর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে অন্তর থেকে।
ওসব কিছুই আমি বললাম না কারণ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তার সবচাইতে বড় পরিচয় উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা সেই নিজ দেশের মাটিতে ফিরতে পারলেন না মৃত্যুর আগে কারণ এই রাস্ট্র তার পাসপোর্ট নবায়ন করে নাই।

এবার সেই অভাগা মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ হয়তো তার নিজদেশে আসবে ট্রাভেল ডকুমেন্টস এর মাধ্যমে!‌‌‌‌ এ কেমন উপহাস?

হায় রাষ্ট্র!

আমি লজ্জিত, তুমি কি লজ্জা পাও না?

লেখকঃ আফজাল হাসান 

এরকম মতামত লিখতে পারেন আপনিও। লেখা পাঠান এই লিংকেঃ muktiforum.org/write

Share.

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

Leave A Reply