ঢাকার কাফরুলে স্বামীকে আটকে রেখে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় (অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ সকল অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার না করবার প্রতিবাদে ও এর জবাবদিহী আদায় করতে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের ওপর শক্তিশালী চাপ প্রয়োগ করবার জন্য গতকাল, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে কাফরুল থানার সম্মুখে সম্মিলিত মানুষের মঞ্চের আয়োজনে একটি প্রতিবাদী মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
এই মানববন্ধনের অংশীজনেরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ধর্ষণের মহামারি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান।
রাষ্ট্রচিন্তা, মুক্তিফোরাম ও গণসংহতি আন্দোলনের সদস্যরা ব্যক্তি হিসেবে সংহতি জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন শেষে অংশীজনেরা কাফরুল থাকার ওসি (তদন্ত)-এর সাথে কথা বলেন এবং মামলার অগ্রগতি সম্বন্ধে জানতে চান। নানান প্রশ্নের মুখে তিনি জানান এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীদের একজন এখনো “পলাতক” রয়েছেন, তবে তাকে আইনের আওতায় আনবার আন্তরিক প্রচেষ্টা চলছে।
পরে মানবন্ধনের অংশীজনেরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ফোন নাম্বার এবং মামলার এজাহার সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তীতে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইবেন, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে সেই ওসির নিকটে নিজেদের যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য রাজধানীর কাফরুলের ইমাননগরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি ক্লাবে স্বামীকে বেঁধে তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিককে (২৭) কৌশলে তাদেরই বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে এ ঘটনা ঘটলেও গত শনিবার ওই নারী বাদী হয়ে কাফরুল থানায় মামলা করেন। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী জনি দেওয়ান ওরফে মুরগি জনি, আতিক দেওয়ান এবং নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করা হয়। মুরগি জনি তাকে ধর্ষণ করলেও অপর দুইজন ধর্ষণে সহায়তা করেন। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও অধরা দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী।