১.
ইস্যূভিত্তিক আন্দোলনের ভিতরে এক্টিভিস্টদের আর ঢুকায়েন না প্লীজ। আল্লাহ্র ওয়াস্তে বাদ দেন ইস্যূভিত্তিক আন্দোলনের ডাক দেওয়া।
আজকে কানে ব্যাথা কালকে নাকে ব্যাথা কইয়া কানলে লাভ আছে? রিসেন্টলী মে বি কেউ কেউ নামবেন রাস্তায়, গ্যাস এর কথা কইতে, কেউ স্রেফ ফেনী নদীর কথা কইতে। এই নাটকের কোন মানেই হয় না। সামগ্রিক একটা ভাবনা কইরা নামেন আপনেরা। ইস্যুভিত্তিক যারা নামতে চায়, পলিটিক্স, রাষ্ট্র, করপোরেশন এবং একই সাথে মাফিয়া স্টেট এর কথা না ভাইবা তাদের বর্জন করেন।
কোন দরকার নাই, দরকারে আড়াই দিন পরে নামেন। আড়াই জনের দেড়টা ইস্যু আরো পিছাইয়া দেয় আমাদের। ভাইবা গোছান বরং নিজেরে।
দেশের সম্পদ জনগণের এবং সেইখানে সরকার কি করবে তা জনগণ ডিসাইড কইরা দিবে। জনগণের কনসেন্টের বাইরে এগুলা করতে দেওয়া হবে না, করা যাবে না। বাস আলাপ শেষ। ধানাই পানাই এর জায়গা নাই।
ভালো ডেভেলাপমেন্ট না খারাপ ডেভেলাপমেন্ট এগুলা ধানাই পানাই এর আলাপ এর জায়গা নাই। এই বাইনারি তর্ক হাজির করাদের থিকাও সচেতন দূরত্বে থাকেন। তয়, ধানাই পানাইগুলা এক নজরে দেইখা নিতে পারেন বড়জোর।
জনগণ রায় দিলে সরকার দায়িত্ব পালন করতে পারবে আর না দিলে সরকার পারবেনা। জনগণের উপর কেউ তালুকদারি করতে পারবে না। সেইটা দেশের ভিতরের ক্ষমতার লোকই হোক কিংবা দেশের বাইরের।
২.
বর্ডারের ভিতরে রাইখাই ভারত কাচাইয়া কুচাইয়া লইয়া যাইবো সব বাংলাদেশ থিকা। এরপরে মোদী হাসিমুখে ছবি দিয়া হয়তো কইবে, ‘অমানুষ রোহিঙ্গা আর বাঙ্গালী টেরোরিস্টদের থিকা ন্যাচারাল রিসোর্স উদ্ধার করছি !’ প্রোপাগান্ডা বাট এখনো মজবুত এথিক্স, দুনিয়ার পলিটিক্সে, ক্ষমতার পাটতনে।
লেইট রামপাল মুভমেন্টের প্রোডাক্ট, ‘গো ব্যাক, গেট আউট ইন্ডিয়া’ যাও এক্সটিভিস্টদের ভিতরে সেন্টিমেন্ট ফর্ম করতেছিলো তা সেন্টারে কখনোই জায়গা পাইতে পারে নাই । ইভেন মুভমেন্টের এই সুতার লগে পাবলিকের জোরা লাগার সমূহ সম্ভাবনা আছিলো। রিশতা হইতে পারতো পাবলিকের লগে।
বাট এই পজিশন, মানে – ‘গো ব্যাক, গেট আউট ইন্ডিয়া’ এই পজিশন পোক্ত হইতে পারে নাই বামেদের ভিতরেও। বামেদের ভিতরেই কারো কারো ভাবনা এমন যে- ‘এন্টি ইন্ডিয়ান হইয়া যাইতেছি না তো আমরা এই শ্লোগানের ভিতর দিয়া !’ মানে হইলো গিয়া গদিতে বসা লোকেরা যা গিলাইতে চায় তারা সেই টোপটাই গিলছে। আরেকটা আন্দাজ আছে আমার। আন্দাজটা হইতেছে এই শ্লোগানের ভিতর দিয়া ‘অসাম্প্রদায়িক শক্তির’ ঘ্রাণ এর ডরে থাকেন বামেদের ভিতরে। সিপিবি-বাসদ তো আছেই…যাগো কুর্নিশ আবার অসাম্প্রদায়িক শক্তিতেই (তাগো মাথায় যারা লেসার ইভিল!)। কিন্তু তাদের বাইরেও আবছা হইলেও এই ডরে থাকা বাম আছেন।
এই শ্লোগান যে ইন্ডিয়ার গরীব হিন্দু বা মোসলমান বা অন্য ধর্মের কিংবা ভাষার গোষ্ঠীরে ধইরা দেওয়া হইতেছেনা তা বোঝানোর টাইম পিরিয়ডেও লেইট আমরা। এই শ্লোগান যে ইন্ডিয়ার দিল্লীর তালুকদারি ঠেকানোরে ঘিরা দেওয়া হইতেছে এই বুঝ কেন এখনো হয় না এই প্রশ্ন না কইরা মে বি করা উচিত তারা আদতেও চায় কি না এই পজিশন পোক্তভাবে নিতে। এইটারে সেন্টারে তুলতে হবে। এইটারে সেন্টারে না তুললে তাগো লগে জনতার রিশতার কোন মানেই হয় না।
বাট, বামেরা দেশ উদ্ধার কইরা দিবেন এই আশা আমার নাই। তয়, ময়দানে তাগোরে কামে, আকামে দুইটাতেই দেখা যায়। ইসলামিস্টরা ইস্যু লইয়া আলাপ করতেছেন এইটা দেখে ভালো লাগতেছে, আগে তাও আছিলো না। বাট তারাও দেশ উদ্ধার কইরা দিবেন এই আশা আমার নাই। ওদিকে, কোন কোন ইসলামিস্টদের ময়দানে হাজির থাকা নেক্সট টু ইম্পসিবল। তাইলে আশা নাই?
আশার অল্প যা কিছু দেখি আমি তা মে বি আছে নন পার্টিজান এক্টিভিস্টদের কাছ থিকাই। ইউটোপিয়া? কইতে পারেন।
৩.
প্রজেক্ট কেবল দুই দেশের ভিতরের চুক্তির ভিতরেই সীমাবদ্ধ না। আন্তর্জাতিক ব্যাংক, করপোরেশন, কোম্পানী, সংস্থা এগুলার তদারকি করে। গো ব্যাক, গেট আউট ইন্ডিয়ার করতে পারেলে গো ব্যাক চায়না, জাপান…জাইকা, এডিবি, আইআইবি…. এগুলারো সম্পদ লুটের প্রজেক্ট ও ঠেকাইতে দাঁড়াইতে পারবেন আশা করি।
জনগণের রায় ছাড়া দেশের সম্পদ নিয়া প্রজেক্ট করা যাবে না।
লেখকঃ জাওয়াদ আহমেদ অর্ক, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়