গত শতাব্দীর ষাট থেকে সত্তর দশক অব্দি বলিউডের সিনেমায় মুসলমানদের দেখা হতো রোমান্টিক নস্টালজিয়ায় ভোগা এক জাতি যারা উর্দূ ভাষায় বাৎচিত করে, আদব লেহাজে পরিপূর্ণ, ইংরেজি পরিভাষায় যাকে বলা হয় কালচার্ড। মুঘল-এ-আজম (১৯৬০), চৌধবী কা চাঁদ (১৯৬০), আর মেরে মেহবুব (১৯৬৩) সিনেমাগুলি মূলত দর্শকদের এমনটাই ধারণা দেয়। কিছু মানুষ হয়তো সাদাত হোসেন মান্টোর মতো শখের বোম্বে ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে করাচীতে, তবে বাকি যারা আছে তাঁরা মোটামুটি সকলে একই রকম। তবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অদূরে পশ্চিম বাংলায় চিত্র ভিন্ন ছিলো। মুসলমান রিপ্রেজেন্টেশনে ছিলো কাবুলিওয়ালা (১৯৫৭) সিনেমার রহমান শেখের মতো, অশিক্ষিত তবে দিলখোলা মানুষ। সেটিও মূলত উর্দূভাষী মুসলমান, বাঙালি মুসলমান ঠিক কেমন তা পশ্চিম বাংলার আর্ট কালচার থেকে ঠাহর করা সব আমলেই দুষ্কর।
একবিংশ শতাব্দীতে এসে দেখা যায়, সময়ের সাথে সাথে বলিউডের মুসলমানেরা ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ফিযা (২০০০), মিশন কাশ্মীর (২০০০), নিউ ইয়র্ক (২০০৯), কুরবান (২০০৯), আর মাই নেম ইজ খান (২০১০) ছিলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়কাল; বাবরি মসজিদও ততোদিনে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, ২০০২ সালে গুজরাটে নারকীয় দাঙ্গার পর নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের রোল মডেল বানানোর পথে ভারত জুড়ে পেয়েছে প্রশংসা। এসব চলচ্চিত্রে দুয়েকজন মুসলমান হৃদয়বান এবং সাহসী চরিত্র, তবে ভিতরে ভিতরে একটি ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে তা হলো মুসলিম মানেই যেনো নিরাপত্তা ঝুঁকি!
এরই মাঝে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৪ সালে খুশবু গুজরাট কি প্রচারক নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসলেন। এদিকে পৃথিবীজুড়ে চলছে আরব বসন্ত শেষে ইখোয়ানি রাজনীতির নিভু নিভু সময়। মোদির ম্যাজিক রিয়েলিজমের সময়ে বলিউডের সিনেমায় মুসলিম নারীদের দেখানো হতে থাকে তাঁরা কতোটা নিপীড়িত; গল্লিবয় (২০১৯) আর সিক্রেট সুপারস্টার (২০১৭) ঠিক এমন ধারারই রিপ্রেজেন্টেশন।
এর মাঝে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের রমরমা দিন আসায় ওয়েব সিরিজগুলোতে মুসলিমদের দেখানো শুরু হলো নানা উপায়ে। অ্যামাজন প্রাইমের দর্শক নন্দিত ওয়েব সিরিজ ফ্যামিলি ম্যানের সাবটেক্সট যেন ছিলো বিজেপির বয়ানের উপাখ্যান। কাশ্মীরের মুসলমান, কেরালার মুসলমান, লাভ জিহাদ কি ছিলোনা সেখানে! তবে সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে দ্যা কাশ্মীর ফাইলস (২০২২) এবং দ্যা কেরালা স্টোরি (২০২৩) সিনেমা দুটি।
মোদ্দাকথা, গত সত্তর বছরে বলিউড তথা ভারতের কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিতে মুসলিম রিপ্রেজেন্টেশনকে ধীরে ধীরে ডেমোনাইজ বা রাক্ষসরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে; এমনকি আপাতদৃষ্টিতে খুবই জাতীয়তাবাদ এবং সেক্যুলারিজমে উজ্জীবিত রাং দে বাসান্তি (২০০৬) সিনেমাতেও আশফাকুল্লাহ খানের নতুন ভার্শন আসলাম খান নিজে দেশপ্রেমিক ও আর্ট কালচারে উজ্জীবিত সেক্যুলার তরুন হলেও তাঁর পরিবার গায়রে মাজহাবদের সাথে মেলামেশা করার জন্য তাঁকে একরকম একঘরে করে রাখে। এতো কিছুর পরও প্রাক-বিজেপি আমলে দেখা যেতো পাঁচ প্রধান ক্যারেক্টারের মধ্যে একটা মুসলিম চরিত্র, যেনো ভারতের জনসংখ্যার ছোট একটা স্যাম্পল; তবে আমির খানদের সেক্যুলার ইন্ডিয়ার মুখোশ খুলে হাতছানি দিচ্ছে সন্দ্বীপ রেড্ডির এনিমেল (২০২৩), হয়তো খালবালির দিন আপাতত শেষ।
অবস্থাদৃষ্টে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ভারতীয় সিনেমা বা সাহিত্যে মুসলিম রিপ্রেজেন্টেশন মানেই হয়ে যায় চোখে সুরমা, গলায় তাবিজ, অনেকগুলো বিবি রাখে, কসাইখানায় কাজ করা হিংস্র পুরুষ, কিংবা ছিঁচকে চোর, দরিদ্র বস্তিবাসী, অথবা সেখান থেকে উঠে আসা কোনো মাফিয়া যে দুবাই থেকে পাকিস্তানের হয়ে ভারতবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত। আর নারী চরিত্ররা বরাবরই নিগ্রীহিত, পুরুষ পার্টনার দ্বারা চরমভাবে নিষ্পেষিত, বাচ্চা উৎপাদনকারী মেশিন যারা মাঝে মাঝে জঙ্গি হয়ে যাওয়া তাঁরই সন্তান, ভাই, বা ভালোবাসার কোনো মানুষকে বিপদে আশ্রয় দেয়।
ভারতবর্ষ থেকে প্রায় চার হাজার মাইল দূরে ইউরোপে কয়েকশো বছর ধরে একই ধরণের প্রোপাগান্ডা বা ডেমোনাইজ করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। অবশ্য তা মুসলিমদের জন্য নয় বরং ওখানে বসবাসরত ইহুদীদের জন্য। শেকসপিয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস, ক্রিস্টোফার মার্লোর জিউ অফ মাল্টা বা চার্লস ডিকেন্সের অলিভার টুইস্টের বিখ্যাত চরিত্র ফাগিন সবখানেই দেখানো হয় ইহুদিরা সূদখোর, চোর বা বদমাশ আর পাষাণ কিসিমের; নারী চরিত্রগুলো ছিলো চরিত্রহীন যারা পুরুষদের কাবু করতে চায় ছলচাতুরীর আশ্রয়ে, একেকজন যৌন আবেদনময়ী উইচ, যাদেরকে মধ্যযুগের মতো হান্ট করে শায়েস্তা করার দরকার হয়।
তবে এই ডেমোনাইজ করার প্রক্রিয়া উৎকট আকার ধারণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে; ফ্রিটজ হিপলারের Der Ewige Jude (1940) বা Jud Süss (1940) চলচ্চিত্র ছিলো আজকের দিনের কাশ্মীর ফাইলস বা কেরালা স্টোরি।
আর্ট-কালচারের হিসাব বাদ দিলেও আরো অনেকিছুই মিলে যায় নাৎসিদের জার্মানির সাথে বিজেপির ভারতের। বিজেপির পিতৃপ্রতীম সংগঠন রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকার নিজে নাজিদের মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। তাঁর We, or Our Nationhood Defined (1939) বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন,
“To keep up the purity of the Race and its culture, Germany shocked the world by her purging the country of the Semitic Races—the Jews. Race pride at its highest has been manifested here. Germany has also shown how well-nigh impossible it is for Races and cultures, having differences going to the root, to be assimilated into one united whole, a good lesson for us in Hindustan to learn and profit by.”
গোলওয়ালকার ইহুদিনিধনের প্রক্রিয়ার ব্যপারের এক ধরণের মুগ্ধতা ছিলো। তাঁর মতে জার্মানি বিশ্বকে দেখিয়েছে কিভাবে জাতীয় গর্ব রক্ষা করতে হয়। আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার তৎকালীন সময়ে যেমন সংবাদপত্র বা রেডিওকে যেভাবে ইহুদী বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিলো, ঠিক একইভাবে এখন ট্রেডিশনাল মিডিয়াগুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতিগত বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন ডিজইনফর্মেশন ক্যাম্পেইন চালানো হয়।
নাৎসিরা যেমন নিজেদের আর্য জাতির শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী ছিলো, আরএসএস ও বিজেপি একইভাবে হিন্দু জাতির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জার্মানিতে যেমন সকল ঐতিহাসিক বা সামাজিক ভুলের জন্য ইহুদিদের দায়ী করা হতো ভারতেও একইভাবে দায়ী করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইউরোপে ইহুদিদের মতো ভারতে মুসলমানেরা গণহত্যার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরকম মাত্রায় গণহত্যা হওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়।
নাৎসিরা যেমন নিজেদের আর্য জাতির শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী ছিলো, আরএসএস ও বিজেপি একইভাবে হিন্দু জাতির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জার্মানিতে যেমন সকল ঐতিহাসিক বা সামাজিক ভুলের জন্য ইহুদিদের দায়ী করা হতো ভারতেও একইভাবে দায়ী করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইউরোপে ইহুদিদের মতো ভারতে মুসলমানেরা গণহত্যার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরকম মাত্রায় গণহত্যা হওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়।
ইহুদী গণহত্যার শেষ ধাপ ছিলো ফাইনাল সলিউশন, যে ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ইহুদিদের আর বাঁচিয়ে রাখার কোনো মানে হয়না। তবে এই ফাইনাল ধাপে যাওয়ার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ আরো আটটি ধাপ রয়েছে। জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন মোট দশটি ধাপের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রথম ধাপটি হলো শ্রেনীবিন্যাস, এই ধাপে “আমরা বনাম তারা” নামক অংশে ভাগ করা হয়। ইহুদিদের আলাদা একটি জাতি মনে করা হতো যারা বিশুদ্ধ আর্য রক্তের অধিকারি নয়, ভারতের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা হয় মুসলমানদের বলা হয় ঘুসপেটিয়া বা বহিরাগত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আসা বিদেশি, আরবদের বংশধবর, কিংবা মোঘলদের ছানাপোনা।
এরপরের ধাপটি হলো প্রতীকিকরণ। মেইনস্ট্রিম পপুলেশন বা মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা করতে কোনো বিশেষ কোনো সিম্বল বা চিহ্ন দ্বারা আলাদা করা হয়। ইহুদীদের ক্ষেত্রে করা হতো স্টার অফ ডেভিড, মুসলমানদের ক্ষেত্রে দাড়ি, টুপি, হিজাব বা নেকাব।
তিন নম্বর ধাপটি গুরুত্বপূর্ণ, আইনগত ভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা। ১৯৩৫ সালের নুরেমবার্গ আইন ইহুদিদের নাগরিক অধিকার বাতিল করে। তারা সরকারি চাকরি, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি থেকে বাদ পড়ে। ঠিক একইভাবে ভারতে সিটিজেন এমেন্ডমেন্ট এক্ট (CAA) পাশ হওয়া, ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন (NRC) থেকে বাদ পড়া।
চতুর্থ ধাপটি হলো ডিহিউমিনাইজেশন বা উনমানুষে রূপান্তর করা। হিটলারের জার্মানিতে ইহুদের বলা হতো ইঁদুর বা ভাইরাস, আর অমিত শাহের ইন্ডিয়ায় বলা হয় উইপোকা। আরএসএসের লেন্সে সব মুসলমান আব্দুল যে হিন্দু নারীদের ধর্ষন করতে চায়, জিহাদি বা সন্ত্রাসী গ্যাং মেম্বার।
গণহত্যার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো সংগঠিত কোনো দল বা ফোর্স। এসএস, গেস্টাপো বা নাৎসি পার্টি ছিলো এরকমই সংগঠন। রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (RSS), বজরং দল, শিবসেনা ভারতজুড়ে বা আঞ্চলিক পর্যায়ে বেশ সংগঠিত। মাঝে মাঝেই দেখা যায় পুলিশ নামাজরত মুসল্লিদের উপর লাঠিপেটা করছে, সম্প্রতি বিএসএফ ভারতের কুচবিহার জেলায় কৃষকের কাপড় খুলে নিশিত হয়েছে মুসলিম কিনা, এরপর পিটিয়ে হত্যা করেছে, এমন ধারার নির্যাতন আসলে নাৎসি জার্মানির পরিস্থিতিই নির্দেশ করে।
ষষ্ঠ ধাপ মেরুকরণ, যেখানে ভিন্নমত বা মধ্যপন্থীদের বিরুদ্ধে বিষেদ্গারের মাধ্যমে সমাজে সুষ্পষ্ট বিভাজন তৈরি করা হয়। ভারতে প্রায়শই দেখা যায় বামপন্থী বা সেক্যুলারদের মুসলিমদের উপর অত্যাচারে সোচ্চার থাকার কারণে নানাভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে।
সপ্তম ধাপ হলো গণহত্যার প্রস্তুতির ধাপ, এই ধাপে গেটোকরণ করা হয় অর্থ্যাত তৎকালীন জার্মানিতে ইহুদিদের গাদাগাদি করে বস্তিতে রাখা হয় যেটি ছিলো বসবাসের জন্য মানবেতর। পাশাপাশি তাঁদের তালিকা করে পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিলো। ঠিক একই ধরণের হিসাব দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি ভারতে। মুসলমানদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোদ দিল্লিতেই সরকারি হস্তক্ষেপে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়, আসামে এনআরসি তালিকা প্রস্তুত করে গেটোতে রাখার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে, এছাড়া গণগ্রেফতার বা দাঙ্গায় ঘরছাড়া মানুষের সারি প্রতি নিয়ত বেড়ে চলেছে।
অষ্টম ধাপে চলে নিপীড়ন; Kristallnacht বা দ্যা নাইট অফ ব্রোকেন গ্লাস ঘটে ১৯৩৮ সালের ৯ থেকে ১০ নভেম্বরজুড়ে। এইদিনে ইহুদিদের উপসানালয় এবং একযোগে ঘরবাড়ি ভেঙ্গেচুড়ে ফেলা হয়। ভারত এখনো এই পর্যায়ে না গেলেও সম্প্রতি দোল উতসবে দেখা গিয়েছে মুসলমানদের মসজিদ গুলোতে হামলা, উত্তরভারতজুড়ে চলছে মাদ্রাসা ভাঙ্গার মহোৎসব। অনেক গ্রামই মুসলিম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
নবম ধাপটি হলো সারা দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা, যেটি এখনো ভারতে হয়নি। বিভিন্ন স্থানে গরু খাওয়ার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরেই।
শেষ ধাপটি হলো ডিনায়াল বা অস্বীকার, এটি ভারতীয় রাষ্ট্র ও তাঁদের মিডিয়া বরাবরই করে আসছে।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিলকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সমস্যা চলছে। এপর্যন্ত প্রায় তিনজন খুন হয়েছে। সম্পত্তি হারানোর সম্ভাবনা গণহত্যা হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নাৎসিদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো ইহুদিদের সম্পদ দখল করে সম্পদ বাড়ানো, সেই উদ্দেশ্য সফল করতে গিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি হয় গণহত্যা। ভারতজুড়েই দেখা যাচ্ছে নানা অসন্তোষ, দক্ষিণ ভারতে মুসলমান বনাম হিন্দু সমস্যা না থাকলেও ভাষাভিত্তিক লড়াই প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, অপরদিকে নর্থ ইস্টের মনিপুর এখনো অশান্ত; ইতিহাস বলে গণহত্যা দুনিয়ার মানচিত্র পরিবর্তন করে দেয়, দক্ষিন এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর মানচিত্রের আদৌ পরিবর্তন আসবে কিনা তার নাটাই এখন ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে। ঘুড়ি উড়তে থাকবে নাকি প্যাঁচখেলায় কেটে যাবে কিনা তা হয়তো সময়ই বলে দিবে।
মনজুরুল মাহমুদ ধ্রুব এই মুহূর্তে জার্মানিতে অবস্থানরত একজন রাজনৈতিক কমিউনিকেশন ও স্ট্র্যাটেজি বিশ্লেষক
Leave A Reply