স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে নেয়ার আইন পাশের প্রসঙ্গে-
স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে নিতে আইন করার প্রস্তাব বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেও পাস হয়ে গেছে।
এই ন্যাক্কার জনক আইনের মাধ্যমে রাজস্ব ঘাটতিতে সরকার ব্যয়ের নতুন ফান্ড পেলেও এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে বেশ কয়েকটি গুরুতর সমস্যা-
১। প্রতিষ্ঠান গুলোর যাতে কোন উদ্বৃত্ত অর্থ না থাকে সেজন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়বে এবং দূর্নীতি উৎসাহ পাবে।
২। কিছু প্রতিষ্ঠান মারাত্মক আর্থিক বিশৃঙ্খলায় পড়বে, তহবিলের নিশ্চয়তা না থাকায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গতি হারাবে। মোটকথা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্পৃহা ধ্বংস হয়ে যাবে।
৩। সরকারের ব্যাংক ঋণের ভার অনেক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের স্বশাসিত সংস্থাগুলোর স্থিতিতে থাকা ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা উন্নয়নের কাজে লাগানোর নামে জবাবদিহিতাহীন বেপারোয়া ও দুর্নীতি বান্ধব খরচে পড়বে।
সর্বোপরি, এর মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর যতটুকু সাঙ্ঘঠনিক কাঠামো এবং আর্থিক শক্তি বাকি আছে, তার অবসান হবে।
দেশের প্রতিষ্ঠানিক শাসনের পথে এটা একটা কালো অধ্যায়।
বিপিরীতে আমদের দাবী হচ্ছে-
সরকার তুমি খরচ কমাও, লুট থামাও!
ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ, সম্পাদক মুক্তিফোরাম