আবরার। আমাদের ভাই, কারো বন্ধু, কারো সন্তান। এসবের পরিচয় ছাপিয়ে সে মানুষ এবং বাংলাদেশি।
কেবলই ভারতের গোলামির বিরোধিতার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। ছাত্রলীগের পেটোয়াবাহিনীর নির্যাতনে আমরা হারিয়েছি আবরারকে।

তবে এটাই কি প্রথম? এর আগেও সনি,আবু বকর, বিশ্বজিৎ, হাফিজুর মোল্লাদের আমরা লাশ করে পেয়েছি এই সন্ত্রাসবাদী ছাত্র রাজনীতির হাতে।

কথা মিলছে না মেরে ফেলো, বিপক্ষে আন্দোলন করছে সুতরাং ঠ্যাঙ ভেঙে দাও। এই যখন দেশের ক্ষমতাসীনদের সংস্কৃতি তখন মুখ বুজে আর কতদিন?

আপনি চুপ থাকছেন মানে আপনিও সমান রকম দোষী। ঘরে বসে থাকার সময় ফুরিয়ে গেছে। এবার পালা বেরিয়ে আসার।

আজ ৯ই অক্টোবর, বুধবার সকাল ১১টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হবো আমরা সবাই। নিপীড়নবিরোধী অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এই প্রতিবাদ সমাবেশে থাকছি আমরা সবাই।

আপনাদের আহবান জানাচ্ছি এই গণজোয়ারে তাল মিলিয়ে আপনারাও অংশ নিন। আজকের আবরার কালকের আপনি বা আপনার আপন কেউ হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বদলাতে হবে আপনাকেই নিজ থেকে এগিয়ে এসে।

এই প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছে মুক্তিফোরাম।

Share.

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

Leave A Reply