“শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়” বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই স্লোগানকে কামড়ে ধরেছে আধিপত্যবাদী শকুন।
কোস্টাল সারভেইলেন্স রাডার স্থাপনা চুক্তি কৌশলগত সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটা মেগা ডিজাস্টার। এই গোলামীর চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতার পরের বিগত ৪৮ বছরে অর্জিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সকল কৌশলগত সক্ষমতা, কারিগরি অবকাঠামো প্রস্তুতি এবং বাংলদেশের মেরিটাইম সুরক্ষাকে, ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে নতুন করে কেনা অত্যাধুনিক টেকনোলজির ফাংশনালিটিকে ভারতের হাতে তুলে দিলেন শেখ হাসিনা। এটা একটা সাক্ষাৎ মিরজাফরী। এটি ভয়ঙ্কর রাষ্ট্র দ্রোহী চুক্তি।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের বাণিজ্যিক সী লাইন অফ কমিউনিকেশন স্লক, ওয়াটার টেরিটরিজ, মেরিন ফিশারিজ, মেরিটাইম সিকিউরিটি, হাইড্রোকার্বন রিজার্ভ ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত। একটি নৌবাহিনীর অন্যতম কৌশলগত অবকাঠামো হল তার সার্ভেইলেন্স ইনফাস্ট্রাকচার। ঠিক এটাই ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে দাসবৃত্তিক সরকার। এর ফলে বে অফ বেংগলে ভেসেলের মুভমেন্ট জানতে পারবে ভারত। যদি কখনো বাংলাদেশ নেভি ইন্ডিয়ামুখী হয়, তা সহজেই ট্রেক এন্ড ট্রেইস করতে পারবে তারা। ফলে বাংলাদেশ নেভির উচ্ছ কারিগরি ক্ষমতা, ডিফেন্স গোল ২০৩০ আসলে কোন কাজে আসবে না। নেভির আধুনিকায়নে টাকা খরচ আমাদের কিন্তু এই চুক্তির পরে আমাদের সামরিক ও বেসমারিক প্রয়োজনে আমাদের যন্ত্রপাতির ফাংশনালিটি বা কার্যকরিতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হল।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি মূল কন্সার্ণ ও ভিশন হচ্ছে হচ্ছে- যেহেতু আমাদের সাগর সীমার দুই পাশেই ভারত ও মিয়ানমারের দিক থেকে নিয়মিত এডভার্সিটির ঝুঁকি রয়েছে তাই আমাদের একটি কৌশলগত ও কারিগরি দিক থেকে সক্ষম ও আধুনিক নৌবাহিনী অবকাঠামো প্রয়োজন। প্রচলিত উপয়ে এখনে সুবিশাল ও সক্ষম ভারতীয় নৌবাহিনীর দৈনন্দিন ঝামেলা, সামরিক বেসামরিক আগ্রাসন, ভারতীয় নৌবাহিনীর পশ্রয়ে গড়ে উঠা সুবিশাল জলদস্যুতা, মৎস্য দস্যুতা, সুন্দরবন দস্যুতার নেটোয়ার্ক, মিয়ানমারের ড্রাগ ট্রাফিকিং নেটোয়ার্ক, বাংলাদেশের ব্লকে ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশের হাইড্রোকার্বন ড্রিলিং অপতৎপরতা গুলোকে থামানো কিংবা নেটোয়ার্ক গুলোকে ভাঙ্গা সম্বভ নয়। ফলে অল্প সক্ষমতা ও এসেট নিয়েও আনকনভেনশনাল এবং কারিগরি দক্ষতা নির্ভর স্ট্র্যাটেজি বাংলাদেশের সমুদ্র সার্বভৌমত্ব ও সমুদ্র অর্থনীতি সুরক্ষার রক্ষা কবচ হতে পারে।আর এর অন্যতম কৌশলগত অবকাঠামো হল সার্ভেইলেন্স ইনফাস্ট্রাকচার।
এখানে বেশ কয়েকটি বড় দুরভিসন্ধি আছে ভারতের-
১। কৌশলগত ঝুঁকি-
ডিফেন্স ভিশন ২০৩০ আলোকে বাংলাদেশ সরকার সেনা বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকয়ানে ব্যাপক টাকা ঢেলে সামরিক বাহিনী গুলোর অবকাঠামো সক্ষমতা কিছুটা বাড়ানোর কাজ করছে। (যদিও এখানে অবৈধ সরকারের সেনা সমর্থনের বিষয়ও জড়িত আছে)। ভারত এই কৌশলগত অবকাঠামোকে কব্জা করতে ২০১০ সালে শেখ হাসিনাকে ভারত বাংলাদেশ সামরিক চুক্তি করিয়ে নিয়েছে। সেই চুক্তিতে মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত অবকাঠামো উন্নয়ন ও ট্রেনিং এর ভিরতে ঢুকে পড়েছে ভারত। ডিফেন্স ভিশন ২০৩০ এর আলোকে নতুন করে বাংলদেশ নৌবাহিনীর ত্রিমাত্রিক আধুনিকায়ন শুরুর বিষয় টের পেয়ে ভারত এখন একটি নৌবাহিনীর সবচেয়ে কৌশলগত সার্ভেইলেন্স অবকাঠামোতে ঢুকে পড়লো।
২। সকল আধুনিক ও কারিগরি সক্ষমতার তথ্য ও কৌশল হাতিয়ে নেয়া-
অন্য দুই বাহিনী থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্ভরতা কমাতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে নেভাল এভিয়েশন খোল হয়েছে অর্থাৎ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীর রূপ দানের একটা পরিকল্পনা দিয়েছে নৌবাহিনী। কেনা হয়েছে চীনা সাবমেরিন। এসেছে চীনা অত্যাধুনিক সি-১৩বি করভেট যুদ্ধজাহাজ সংগ্রাম ও প্রত্যাশা। ফ্রিগেট, এল্পিসি, পেট্রল ক্রাফট, নতুন সাবমেরিন, নতুন হেলিকপ্টার ও এয়ারক্রাফট । ইটালীর ডিফেন্স গ্রুপ লিউনার্দোর কাছে ১১৪x২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৪টি এ ডব্লিউ১৫৯ এন্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার হেলিকপ্টার অর্ডার করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে এরকম ১২ টি এন্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার হেলিকপ্টার আর্ডারের পরিকল্পনা হয়েছে। এগুলো ২০১৯ থেকে ডেলিভারি করার কথা, সাথে সাথে বেবেচনায় আছে এডব্লিউ১০১।
নৌবাহিনীর অবকাঠামো রোডম্যাপে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ১২টি মাল্টিরোল গাইডেড ফ্রিগেট, প্রায় ১৬ থেক ২০টি মাল্টিরোল স্টেলথ কোরভেট সহ অন্তত আরো দুটি এটাক সাবমেরিন কিনার কথা রয়েছে। আলোচনা হচ্ছে হেলিকপটার বেইজ বা হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার কেনার কথাও। নেভাল এয়ার আর্মে থাকবে ১২টি এন্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার হেলিকপ্টার, ৬টি পেট্রোল হেলিকপ্টার , ৬ থেকে ৮ টি ইউটিলিটি চপার। নৌবাহিনী এমন এক বাহিনী যা প্রতিটি যন্ত্রপাতি মূল্যবান এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচও আকাশচুম্বী। উন্নত অবকাঠামো হলেও এই প্রত্যাক্টি খরচের সাথেই আছে উচ্চ বাজেট ব্যয় ও অতি উচ্চ সুদের বৈদেশিক ঋণের বোঝা।
আশংকার বিষয় হচ্ছে, ভারত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কারিগরি অবকাঠামো সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে টের পেয়ে, সরকারের ভিতর লুকিয়ে থাকা এজেন্টদের দিয়ে সরকার প্রধানকে কনভিন্স করে সকল আধুনিক ও কারিগরি সক্ষমতার তথ্য ও কৌশল হাতিয়ে নিবার চুক্তি করলো। এতে করে চীনা ও ইটালীয় টেকনোলজির ব্যবহারেও ভারতীয় নির্ভরতা তৈরি করলো। এর ফলে ২০১০ এর সামরিক চুক্তি আর ২০১৯ এর কোস্টাল রাডার চুক্তির মাধ্যমে সেনা বিমান ও নৌ সকল বাহিনির কারগরি সক্ষমতার কৌশগত উপাদান ভারতের করায়ত্ব হয়ে গেল।
৩। ভুল খাতে ইনভেস্ট করিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক বিকাশ টেনে ধরা-
সামরিক মেরিটাইম ও ট্রেরেস্ট্রিয়াল সিকিউরিটির বাইরেও বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সাগর অর্থনীতির অবকাঠামোর অভিভাবক। বাণিজ্যিক সী লাইন অফ কমিউনিকেশন স্লক ব্যবস্থাপনা, মেরিন ফিশারিজ ব্যবস্থাপনা, হাইড্রোকার্বন রিজার্ভ ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। দেখা যাচ্ছে নৌবাহিনীর বাজেট এই বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক খাত গুলোর বিকাশে খরচ হচ্ছে না। নৌবাহিনীর আছে মাত্র চারটি এডাব্লিউ১০৯ হেলিকপ্টার যা দিয়ে সার্চ এন্ড রেসস্কিউ এর সব কাজ সম্পন্ন হয় না। প্রায়ই ভারতীয় দস্যু জাহাজ গুলো বাংলাদেশের সাগরের অভ্যন্তরে এসে মাছ ধরার ট্রলার চুরি করে, ভারতীয় ট্রলার এখানে এসে মাছ ধরে, সুন্দরবনে দস্যুতা করে, জেলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে,একই ভাবে মিয়ানমার এখানে ড্রাগ ট্রাফিকিং করে। উপরন্তু উভয় দেশই বাংলদেশের মালিকানাধীন সেটেল্ড মেরিটাইম ব্লকে এসে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করে। নিজেদের সার্চ এন্ড রেসস্কিউ অবকাঠামোর জন্য এই দুর্বিত্তপণাকে থামানো যাচ্ছে না। যেখানে ভারত নিজেই এই অপরাধ গুলোর সাথে জড়িত সেখানে ঠিক তাদেরই পার্টনার করা হল সার্ভেইলেন্স সিস্টেমের। এর মাধ্যমে আসলে দেশের কৌশলগত সামরিক ঝুঁকি তৈরি হল, একই সাথে অর্থনৈতিক দুর্বিত্তপনা বাড়ানোর স্কোপ দিয়ে দেয়া হল।
প্রতিবারই প্রলয়ঙ্করী ঝড়ে, জলোচ্ছ্বাসে সার্চ এন্ড রেসস্কিউ কাজে নৌবাহিনীর অক্ষমতা দেখা যায় মূলত অবকাঠামোগত স্বল্পতায়। অথচ এই খাত গুলোতে ব্যয় না করে শুধু সামরিক খাত গুলোতে ব্যয় জরার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
৩। ফাইভজি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতিতে নির্ভরশীলতা আনবে এই চুক্তি
বাণিজ্যিক ভেসেল ট্রাকিং ইভল্যুশন ফাইভজি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একটা বড় ইউজ কেইস। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ট্রেডিং বেশ ঝামেলা মুক্ত হবে। এমতাবস্থায় কৌশলগত নৌ সার্ভেইলেন্স এর কোর নেটয়ার্কে ভিন্ন দেশকে সার্ভেইলেন্স পার্টনার করা আত্মঘাতী। তাদের সাথে ব্লু ইকোনমির ব্যবসায়িক চুক্তি হতে পারে কিন্তু মূল অবকাঠামতেই এভাবে কাউকে অংশীদারিত্ব দেয় যায় না।
৪। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত কয়েকটি চুক্তির পথ কব্জায় নিল। সেট হচ্ছে ইন্দো-বাংলাদেশ বেসামরিক শিপিং এগ্রিমেন্ট যেখানে যে কোন বেসামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের লোকেশন ইনফরমেশন এক্সচেঞ্জ করবে দুই দেশ। একে বলে হোয়াইট শিপিং এগ্রিমেন্ট। কোস্টাল সারভেইলেন্স রাডার চুক্তির পর হোয়াট শিপিং চুক্তি করতে পারলে বাংলাদেশের সামরিক বেসামরিক সকল নৌযানের তথ্য ভারতের কব্জায় আসবে। অর্থাৎ আমাদের নৌবাহিনীর ব্যাপক কারিগরি সক্ষমতা তৈরি হলেও তার ফাংশনালিটির পূর্ণ অক্ষমতার পথ নিশ্চিত হবে। সাথে সামরিক গোলামীও পূর্ণ হবে।
আসলে এই চুক্তিতে ভারত এক ঢিলে বহু পাখি মেরেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা ও আধুনিক কারিগরি ব্যবস্থায় ঢুকে পড়েছে, একই সাথে বঙ্গোপসাগরে চীনের সাথে টক্কর দিবার কৌশলেও এগিয়ে থাকার পথ তৈরি করেছে। ফলে এটা আমাদের সামরিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে, বেসামরিক ও বাণিজ্যিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে। সেই সাথে ভারত-চীনের মধ্যকার আঞ্চলিক সাগর শক্তির সাম্যাবস্থাকেও ব্যহত করেছে এই চুক্তি।
“শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়” নৌবাহিনীর এই স্লোগানে আজ কামড়ে ধরেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদী শকুন, আওয়ামীলীগের গোলামী চুক্তির বদৌলতে। গোলামীর এই চুক্তি কৌশলগত সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটা মেগা ডিজাস্টার। বাংলাদেশ এমনিতেই তিন দিকে থেকে ভারত কর্তিক ল্যান্ড লকড তাও কাঁটা তারের বেড়া বেষ্টিত, এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের দেশ সী লকড হয়ে পড়লো। জলবায়ু ঝুঁকির এই দেশ আজ চারদিক থেকে লকড!
…………………………………..
ডিসক্লেইমার।
এই আলোচনায় রাডারের কারিগরি স্পেফিকেশন নিয়ে আলোচনা করিনি কেননা অসমর্থিত সুত্রে কিংবা থার্ড হ্যান্ড ডেটা দিয়ে টেকনিক্যাল সিস্টেমের স্পেসিফিকেশন নিয়ে আলোচনা করা যায় না। আর টেকনিক্যাল ডিপ্লয়মেন্ট আন্তঃ রাষ্ট্র এমওইউ তেই শেষ হয় না, এর জন্য সল্যুশন ডিজাইন, হাইলেভেল ডিজাইন, ডিটেইল লেভেল ডিজাইন ইত্যাদি বহুস্তরের নকশা তৈরি ও রিভিউ লাগে, লাগে সার্ভে এবং টেকনিক্যাল ইমপ্যাক্ট এসেস্মেন্ট সহ বহু স্তরের কাজ। তার পরেই নিশ্চিত করে বলা যায় রাডারের মডেল কি, ক্যাপাসিটি কি ইত্যাদি। আমরা বরং সরকার ও নৌবাহিনীকে অনুরোধ জানাই চুক্তিটকে জনসম্মুখে উন্মুক্ত করতে যাতে আমাদের জানা বুঝায় ভুল না থাকে।
সাধারণ ভাবে যে কোন কারিগরি ইন্সটলেশন ছোট দিয়ে শুরু হয়, ধীরে ধীরে গ্রো করে। দেশে যখন ত্রিজি বা ফোরজি আসে তখন ঢাকা ও চট্রগ্রামে মাত্র তিন থেকে দশটা দিয়ে লঞ্চ হয়, পরে এই সংখ্যা দশ হাজার বা তারও বেশি সাইট সংখ্যায় পৌঁছে। ডিফেন্স ফোরামে যেসব স্পেসিফেকেশন দেয়া হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার সম্পর্ক কতটকু আমরা জানি না, আমি বরং উনাদের অনুরোধ করি চুক্তিটিকে জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। নাগরিক হিসেবে এই চুক্তিতে কি আছে তা জানার অধিকার আমাদের আছে। অন্যথায় এগুলো লোক ভূলানোর সাময়িক কৌশল। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সময় বহু সক্ষমতার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু পরে দেখা গেছে প্রায় সবই অতিরঞ্জিত।এখন প্রচার হচ্ছে রাডারের রেঞ্জ ২০কিমি। পরে রেঞ্জ গ্রো করে ইকোনোমিক জোন, এক্সটেন্ডেড ইকোনোমিক জোনে বা তারও বাইরে বর্ধিত করা হবে কিনা আমরা জানি না। তাই স্পেসিফিকেশনের আলাপ না তুলে, মানুষ্কে বিভ্রান্ত না করে ডিফেন্স ফোরাম সহ সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগকে চুক্তি উন্মুক্তকরণের আহ্বান জানাই। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে যে কোন চুক্তির আগে তা সংসদে, নাগরিক ফোরামে, সরকারি বেসরকারি ইনটেলিজেন্সট ইন্সটিটিউশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশদ আলাপ হয়, বিতর্ক হয়। আমাদের নাগরিকদের তথ্য জানার ও দেশের স্বার্থ্য নিয়ে বিতর্ক করার এই অধিকার গুলো থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে ।
লেখকঃ ফাইজ তাইয়েব আহমেদ , গবেষক