Site icon মুক্তিপত্র

আমরা কি? আমরা কেন?

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

মুক্তিফোরাম নেটওয়ার্ক হিসেবে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর, বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে ২০১৮ সালের ৪ জুন এবং সংগঠন হিসেবে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর কাজ শুরু করে।

মুক্তিফোরাম কি একটা রাজনৈতিক দল নাকি সাংস্কৃতিক সংগঠন?

মুক্তিফোরামকে একটি রাজনৈতিক দল বললে ভুল বলা হবে, আবার একটি সাংস্কৃতিক সংঘ হিসেবে কল্পনা করলেও সেটা সঠিক হবেনা। মুক্তিফোরামের অবস্থান হবে সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক বলয় এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের চর্চার মাঝে এক ধরণের সংযোগ স্থাপনার উপায় হিসেবে। মুক্তিফোরামের কাঠামো হবে একটি সংগঠনের সংগঠনের মতন–অর্থাৎ গ্রুপ অব অর্গানাইজেশন্সের মতন। এর মাঝে ভোটের রাজনীতিতে অংশ নেবার মতন নেতৃত্ব যেমন তৈরি করা হবে, তেমনি সমগ্র ভোটের রাজনীতি থেকে আলাদা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, রাষ্ট্রচিন্তা, গান, কবিতা, নাটক, ছবির চর্চাও চলবে। নবীনদের মাঝে নেতৃত্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা গড়ে তোলাও মুক্তিফোরামের কর্মকান্ডের মাঝে থাকবে। সমাজের নানান অন্যায় অবিচার নিয়ে মুক্তিফোরাম থাকবে সোচ্চার এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান প্রস্তাব করবে।

মুক্তিফোরাম কি চায়? এটা কোন পন্থী?

মুক্তিফোরামের উদ্দেশ্য হলোবর্তমান রাষ্ট্রের পরিবারতান্ত্রিক, অনুদার, শোষণ ও সহিংসতানির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও চর্চাকে ভেঙ্গে একটি বিকল্প রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও চর্চার নজির স্থাপন করা যেটি কিনা সকল আদর্শ, দল, মত, ধর্ম ও পরিচয়ের মানুষের অংশগ্রহণে একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী ও জনপন্থী সমাজ এবং রাষ্ট্র নির্মান করতে পারে। কোন নির্দিষ্ট বাঁধা ধরা চেতনা বা আদর্শকে সামনে রেখে আমরা আগাতে চাই না, বরং যেখানে যেটি অধিকার আদায়ে সর্বোচ্চ কার্যকর, সেখানে সেটিকে নিয়ে আগাতে চাই। আমরা — সাংগঠনিকভাবে — প্রচলিত অর্থে বামপন্থী বা ডানপন্থী নই। অনেকে আমাদেরকে বাংলাদেশপন্থী সংস্কারপন্থী বা দ্বান্দিক মধ্যপন্থী বলতে পারেন, তবে দেশের সকল মানুষের জন্য কমবেশি গ্রহণযোগ্য সংস্কারের উপায় বের করা ও অধিকার আদায়ের লড়াই করাটাই আমাদের কাজ।

মুক্তিফোরামের পূর্ণ গঠনতন্ত্র পড়তে ক্লিক করুন

মুক্তিফোরাম এখনো পর্যন্ত যা যা করেছে তার কিছু উদাহরণ

অন্যান্য কাজ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

যোগ দিন

পৃথিবীর যেকোনখান থেকে আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন যেকোনো ধরণের সদস্য হিসবে। সবাইকে পথে নামতে হবেনা, সবাইকে চাঁদাও দিতে হবেনা। আমাদের সংগঠনে মাঠের আন্দোলনের বাইরে রয়েছে লেখালেখি, গবেষণা, গান গাওয়া, ছবি আঁকা, খেলাধুলা করা, সিনেমা বানানো ইত্যাদি অনেক ধরণের দিক। সব ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করে আমরা সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে চাই। যে যতটুকু পারেন ততটুকু দিয়ে সাথে থাকেন। এই লড়াইয়ে আমরা সকলকে পাশে পেতে চাই।আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আপনার নাম কোথাও প্রকাশ করা হবেনা।

আপনার দেয়া প্রতিটি টাকার আয় ও ব্যয়ের হিসেব মাসও শেষে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সমস্ত গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্বাহী সদস্যরা একটি করে ভোট পাবেন যেটিকে সমান মর্যাদা দেয়া হবে। কোন বড় অনুদানের ভিত্তিতে আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হবেনা। মুক্তিফোরামে অনুদান পাঠাতে পারেন বিকাশের মাধ্যমে–01944686086 নাম্বারে।

বিদেশ থেকে অনুদান পাঠাতে ক্লিক করুক

যদি আমাদের প্রকল্পে আপনাদের আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলে অনুগ্রহ পূর্বক যোগ দিন এবং সাথে থাকুন। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমরা কখনো সামনে আগাতে পারব না। মুক্তিফোরামের সদস্য হিসেবে যোগ দিতে fb.com/groups/mforg এ গিয়ে জয়েন দিতে পারেন অথবা ফেসবুকে Muktiforum Members লিখে সার্চ দিয়ে জয়েন করতে পারেন।

ফর্ম পূরন করে নির্বাহী সদস্য হতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

মুক্তিফোরামের প্রতি আপনার আগ্রহের জন্য অত্যন্ত ধন্যবাদ।

সূর্যের দিন আসবেই।

Exit mobile version