যে জাতির তরুন-তরুনীর মেজরিটি অংশ পলিটিকাল ভিউ তে লিখে-
“I hate politics”
“No interest”
তারা এখন তাদের বাপ-মায়ের জন্য অক্সিজেন পাইতেছেনা, ভেন্টিলেটর পাইতেছেনা, হাসপাতালে বেড পাইতেছেনা এইসব বইলা চিল্লা ফাল্লা করতেছে।
নির্বোধের দল,
পলিটিক্স বুঝো নাই,নিজেরে নিউট্রাল প্রমাণ করার চেষ্টা করছো আজীবন।
পাগল ছাড়া আর কেউ নিউট্রাল হইতে পারেনা।
ফেসবুকে লাইক কইমা যাইতে পারে,কেউ কেউ বিপক্ষে চইলা যাইতে পারে-এই ভয়ে কোনদিন হক কথা কও নাই।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে কবিতা লিখেছো ফুল-পাখি-লতা-পাতা নিয়ে।
নিজের ফটো পোস্ট করা-ই তোমার ফেসবুকিং এক্টিভিটি।
পলিটিকাল কারেক্টনেস বইলা নাক সিটাকাইতা।
তোমারে গড অলমাইটি মেধা দিসে মানুষের অধিকার নিয়ে দু’চার লাইন হইলেও লিখতে।
তুমি লিখোছো মূল্যহীন উপন্যাস।
লেখা শুরু করছো,আমি অদ্ভূত হয়ে লক্ষ্য করলাম……..
আমি রাজনীতি বুঝিনা……..আমি হেন…..আমি তেন…….আমি শিশু।
রাজনীতি টা ঠিকঠাক বুঝতে পারলে,হাসপাতালের আইসিইউ বেড ও পাইতা,অক্সিজেন ও পাইতা।
এখনো সময় আছে।
পড়াশোনা করলেই হয় না,রাজনীতি বুঝ,অর্থনীতি বুঝ।
শুধু ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে দেশ চলেনারে বাবা।
দেশ চলে রাজনৈতিক সিস্টেমে,তোমার ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন এর ব্যবস্থাও রাজনৈতিক সিস্টেমই করে,ডাক্তার তোমারে অক্সিজেন দিতে পারেনা। হাসপাতালে বেড দিতে পারেনা। তোমার জীবন রাজনীতিবিদদের কাছে বন্ধক দেয়া।
তাগোরে প্রশ্ন কর,তোমার অক্সিজেন নাই ক্যান? হাসপাতালের বেড নাই ক্যান।
প্রশ্ন করে বিপদে পড়ার হিম্মত না থাকলে,মরে যাও।
তোমাগো পলিটিকাল কারেক্টনেস ধরে রাখা, অন্যায়কে অন্যায় না বলতে পারা, নিজের অধিকার ভূলুন্ঠিত হবার সময়ে চুপ থাকা,ব্যাংক গুলো লুটপাট হয়ে দেশের অর্থনীতি ধবংস হয়া যাবার সময়ে না দেখার ভান করা-
এইসব পাপের ফসল আজকের বাংলাদেশ।
সময়ের সাহসী সন্তানেরাই বিরোধী পলিটিক্স করে।
স্রোতের বিপরীতে চলার সৎ সাহস থাকতে হয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হয়,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মত সৎ সাহস থাকতে হবে। স্রোতের সাথে গা ভাষিয়ে অন্যায় কে প্রশ্রোয় দিতে দিতে গোটা জাতি আজ মরুভূমির মাঝে, দায়িত্বহীনতা,অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতার কারণে জনগনের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা কোন কিছুই নেই।
বায়জিদ ইসলাম