জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। জামাতের বক্তব্য শুনে মনে হলো যেন ১৯৭১ এর পুরো ইতিহাস হঠাৎ করে একটা ইউটিউব ভিডিও আপডেটের মাধ্যমে বদলে গেছে।যেখানে আলবদর নেই, রাজাকার নেই, গণহত্যা নেই, আছে শুধু এক সর্বশক্তিমান ভারতীয় ষড়যন্ত্র। দোষ যদি এতই পরিষ্কারভাবে অন্যের ঘাড়ে চাপানো যেত, তাহলে ইতিহাস লেখা হতো প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে।বাস্তবে, ইতিহাসকে যতই ধুয়ে-মুছে, সুগন্ধি মেখে পরিবেশন করার চেষ্টা করা হোক না কেন, কিছু রক্তের দাগ সাবান মানে না। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে নতুন গল্প জামাতের, সেটাও তেমনই, ভাষাটা পাল্টেছে, চরিত্র বদলানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু অপরাধের কাঠামো আগের মতোই স্পষ্ট।
আসুন, এই গল্পকে যুক্তি দিয়ে দেখার চেষ্টা করি, ইতিহাসের সত্য পাতা থেকে, কল্পকাহিনি না, তথ্যের জায়গায়।
প্রথমেই পরিষ্কার করে বলা দরকার, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস কোনো অনুমান বা আবেগের উপর দাঁড়িয়ে নেই। এই ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, যুদ্ধোত্তর তদন্ত, আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা, পাকিস্তানি সামরিক নথি এবং এমনকি অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে।
আলবদর ও আলশামস বাহিনী, যারা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন থেকে সংগঠিত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান নির্বাহী শক্তি ছিল, এবং এটা ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে নথিভুক্ত সত্য। ঢাকার রায়েরবাজার ও মিরপুরে বুদ্ধিজীবীদের লাশ পাওয়া যায় আলবদরের নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, তাদের ব্যবহৃত টর্চার সেল ও ডিটেনশন হাউজের আশেপাশে। বলে রাখা ভালো, এই তথ্যগুলো কোনো ভারতীয় আর্কাইভ থেকে আসেনি, এসেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী কাঠামোর ভেতর থেকেই।
পরওয়ারের যুক্তির প্রথম বড় সমস্যা হলো টাইমলাইন। তিনি দাবি করছেন, ১৪ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনারা ঢাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল, তাই আলবদর বা রাজাকারদের পক্ষে বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্ভব ছিল না। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এটা ভুল।
সামরিক ইতিহাসের যে কোনো নির্ভরযোগ্য বর্ণনা, সিদ্ধার্থ গুহ, রিচার্ড সিসন ও লিও রোজ, গ্যারি ব্যাস কিংবা ভারতের সেনাবাহিনীর নিজস্ব ওয়ার ডায়েরি, সবখানেই ওয়েল ডকুমেন্টেড যে, ঢাকার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও সামরিক নিয়ন্ত্রণ ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনীর হাতেই ছিল। ভারতীয় ও মিত্রবাহিনী ঢাকায় প্রবেশ করে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে।যুদ্ধক্ষেত্রে আংশিক অগ্রগতি আর নগর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ এক জিনিস না, এই মৌলিক সামরিক বাস্তবতা উপেক্ষা করে এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ধোপে টিকেনা।
আরও গুরুতর বিষয় হলো, হত্যাকাণ্ডের ধরন। ১৪ ডিসেম্বর যেভাবে বেছে বেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখক ও শিল্পীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার জন্য দরকার ছিল স্থানীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক, তালিকা, মুখচেনা লোক এবং দীর্ঘদিনের নজরদারি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দারা, যারা সদ্য যুদ্ধে প্রবেশ করেছে, এমন নিখুঁত সামাজিক ম্যাপিং তারা করবে কি অদ্ভুত হাস্যকর গাঁজাখোরি লজিক। সত্য যে, এই তালিকার অস্তিত্ব কোনো কল্পনা না এবং এটা কাদের হাতে ছিল, তা আমরা ভালোভাবেই জানি। আলবদর বাহিনী বহু মাস ধরেই “বুদ্ধিজীবী তালিকা” তৈরি করছিল, যা বিভিন্ন গবেষণা ও সাক্ষ্যে উঠে এসেছে।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পেছনে আলবদর-আলশামস নেটওয়ার্কের কাঠামো নিয়ে বহু গবেষক, সাংবাদিক ও ঐতিহাসিক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন। আলবদর বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য, যুদ্ধোত্তর তদন্ত প্রতিবেদন এবং শহীদ পরিবারের বর্ণনায় বারবার উঠে এসেছে বুদ্ধিজীবী তালিকার কথা। সদ্য যুদ্ধরত ভারতীয় সেনারা, যারা কয়েক সপ্তাহ আগে সীমান্ত পেরিয়েছে, তারা হঠাৎ করে ঢাকা শহরের বুদ্ধিজীবী মানচিত্র তৈরি করবে, এই ধারণা যুক্তির চেয়ে কল্পকাহিনীর কাছাকাছি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের “বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড: নেপথ্য ইতিহাস” এবং “একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়” গ্রন্থে আলবদর বাহিনীর সংগঠন, তাদের অপারেশনাল এলাকা, তালিকা প্রণয়ন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। তিনি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, শহীদ পরিবারের বর্ণনা এবং যুদ্ধোত্তর তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ড কোনো আকস্মিক প্রতিশোধ ছিলো না, খুব পরিকল্পিত টার্গেটেড এলিমিনেশন ছিল এই হত্যাকাণ্ড।
মুনতাসীর মামুনের কাজের সঙ্গে মিল রেখে কাজী জাফর আহমদ এবং আহমদ শরীফও যুদ্ধোত্তর সময়ে আলবদর বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন। বিশেষ করে আহমদ শরীফ তাঁর প্রবন্ধ ও স্মৃতিচারণায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, কীভাবে ঢাকার নির্দিষ্ট এলাকা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, আলবদরের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল এবং কীভাবে সেখান থেকেই বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তাঁর বিখ্যাত রিপোর্ট The Legacy of Blood এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনীর কাঠামো ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলবদরকে “the killing arm” হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার এবং মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দেখান, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পরিচালিত একটি পরিকল্পিত অপারেশন।
এছাড়া মার্কিন গবেষক রিচার্ড সিসন ও লিও রোজ তাঁদের “War and Secession: Pakistan, India, and the Creation of Bangladesh” গ্রন্থে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর ভূমিকা বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট করেন, এই বাহিনীগুলোই স্থানীয় পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও টার্গেট নির্ধারণের কাজ করত, যা কোনো বহিরাগত সেনাবাহিনীর পক্ষে স্বল্পসময়ে করা সম্ভব না ।
পাকিস্তানি সাংবাদিক ও লেখক সালাহউদ্দিন হায়দার এবং হাসান জহীরও তাঁদের লেখায় আলবদর-আলশামস বাহিনীর গোপন তালিকা ও অপারেশনাল কাঠামোর কথা উল্লেখ করেছেন। এমনকি পাকিস্তানেই ১৯৭২ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন স্মৃতিকথা ও সামরিক বিশ্লেষণে স্বীকার করা হয়েছে যে যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে “Intellectual purge” ছিল একটা পরিকল্পিত প্রতিরোধমূলক কৌশল।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (ICT-BD) রায়সমূহ। ২০১৩-২০১৪ সালের রায়গুলোতে আলবদর বাহিনীর কমান্ড স্ট্রাকচার, সদস্য তালিকা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে তাদের সরাসরি ভূমিকা আইনি ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ভাষণ না, সাক্ষ্যপ্রমাণভিত্তিক বিচারিক দলিল।
এবার আসি রাও ফরমান আলীর নাম টেনে যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে এবং এটাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃতি। জামায়াত প্রায়ই রাও ফরমান আলীর নাম টেনে আনে, যেন তার উল্লেখ করলেই ইতিহাস হঠাৎ করে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করবে। অথচ, রাও ফরমান আলী ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যার ডায়েরি ও নথিতে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যা পাকিস্তানেই ১৯৭২ সালে বিতর্কের জন্ম দেয়। তাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় ষড়যন্ত্র প্রমাণ করার চেষ্টা করা অনেকটা নিজের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে প্রতিবেশীকে চোর প্রমাণ করার মতো।
সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি আসে মোটিভ বা উদ্দেশ্যের জায়গায়। ইতিহাসে কোনো অপরাধই উদ্দেশ্য ছাড়া হয় না। ভারত সদ্য জন্ম নিতে যাওয়া বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেণিকে নিশ্চিহ্ন করে কী লাভ করত? একটা দুর্বল, নেতৃত্বহীন রাষ্ট্র কি ভারতের আঞ্চলিক স্বার্থে বেশি উপযোগী হতো, নাকি একটি স্থিতিশীল প্রতিবেশী? বিপরীতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তাদের সহযোগীদের উদ্দেশ্য ছিল নির্মমভাবে স্পষ্ট, পরাজয়ের আগমুহূর্তে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রটিকে মেধাশূন্য করে দেওয়া, যেন প্রতিশোধটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর ইতিহাসে এই কৌশল কিন্তু নতুন না, একে বলে “Scorched earth strategy,” যেটা পরাজিত শক্তি বারবার ব্যবহার করেছে।
ভারত ১৯৭১ সালে নিঃস্বার্থ ছিল কি না, এই প্রশ্ন আলাদা রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে। রাষ্ট্র কখনো নিঃস্বার্থ হয় না। এটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রাথমিক পাঠ। কিন্তু একটা রাষ্ট্রের স্বার্থ আর একটা সংগঠিত গণহত্যার পরিকল্পনা এক জিনিস না। ভারতের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ থাকা সত্ত্বেও, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ আজ পর্যন্ত কেউ হাজির করতে পারেনি। বরং যত তদন্ত হয়েছে, যত ট্রাইব্যুনাল হয়েছে, যত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে যেমন, ২০১৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়, যুদ্ধকালীন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের রিপোর্ট, পাকিস্তানি সাংবাদিক সালাহউদ্দিন হায়দারের লেখালেখি, সবই একই দিকে ইঙ্গিত করেছে: আলবদর-রাজাকার নেটওয়ার্ক ছিল এই হত্যাকাণ্ডের কার্যকর বাহু।
এই সব গবেষণা, দলিল ও সাক্ষ্য একত্রে একটা বিষয়েই একমত, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় পরিচালিত আলবদর-রাজাকার নেটওয়ার্কের একটা সুপরিকল্পিত অপারেশন ছিলো, কোনো হঠাৎ সহিংসতা বা বহিরাগত ষড়যন্ত্র ছিলো না। এই নতুন জামায়াতি ন্যারেটিভের আসল উদ্দেশ্য ইতিহাসকে খোঁজার চেষ্টানা, ইতিহাসকে সরানো। ট্রানজিশনাল জাস্টিস একে বলে “Perpetrator displacement”, অপরাধীর জায়গায় একটা বহিরাগত শত্রুকে বসিয়ে দেওয়া, যাতে আসল অপরাধী নৈতিক ও রাজনৈতিক দায় এড়াতে পারে।
আরেকটা বিপজ্জনক বিষয় হলো, এই নতুন জামায়াতি ন্যারেটিভ এখন আর শুধু রাজনৈতিক মঞ্চে সীমাবদ্ধ নেই, একাডেমিক স্পেসেও ঢুকে গেছে। আজকে চবির সহ-উপাচার্যের বক্তব্য এই প্রবণতারই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে ২৫ মার্চ থেকে কৌশলগত উপায়ে শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্রনেতা, সংস্কৃতিকর্মীদের টার্গেট করেছিল, তা Anthony Mascarenhas, Sydney Schanberg, Archer Blood এর রিপোর্ট থেকে শুরু করে Hamoodur Rahman Commission পর্যন্ত স্বীকৃত। “পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করবে না” , এই শিক্ষকের এই দাবি কোনও ইতিহাস না, এটি আদর্শের জায়গা থেকে বলা।
বলা হলো, ভারত ষড়যন্ত্র করেছে। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানিরা করতেই পারে না। এই দুইয়ের মাঝখানে আলবদর-রাজাকাররা অদৃশ্য হয়ে যায়। এভাবেই ধাপে ধাপে মুক্তিযুদ্ধকে একটা নৈতিক ভিত্তি থেকে নামিয়ে এনে ‘বিতর্কের বিষয়’ বানানো হয়। ইতিহাস বিকৃতি কখনো এক লাফে আসে না, আসে ছোট ছোট ‘অবাক করা’ বাক্যের মাধ্যমে। আর ঠিক এখানেই আমাদের সতর্ক থাকা দরকার, কারণ যখন হত্যাকারীকে অবাস্তব বলা হয়, তখন শহীদরাই ধীরে ধীরে অবাস্তব হয়ে যায়।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীরা কোনো রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় নন। তাঁরা ইতিহাসের সাক্ষ্য, রক্তের দলিল। আর তাঁদের হত্যাকারীদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা ইতিহাস বিকৃত তো অবশ্যই, তারচেয়েও মারাত্মক হচ্ছে এটা শহীদদের দ্বিতীয়বার হত্যা করার শামিল। ইতিহাস এখানে আপস করে না। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যতই জোরেশোরে পুনরাবৃত্তি করা হোক না কেন, প্রমাণ, সাক্ষ্য এবং যুক্তির ওজন শেষ পর্যন্ত সত্যের পক্ষেই থাকবে।
ড. লুবনা ফেরদৌসী, শিক্ষক ও গবেষক।
