Author: Muktiforum

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

আমরা জাতি হিসেবে সবকিছুতেই একাত্তরের চেতনা মেশাতে পছন্দ করি। করোনা নিয়ে এই মুহুর্তে আমরা কোনো অংশেই কম যাচ্ছি না। মহামারী নিয়ন্ত্রনে রাষ্ট্রযন্ত্র যখন ক্রমাগত ভাবে ঘাটতিতে…

আমরা মজুদ করেছিলাম কমব্যাট ফাইটার্স, এয়ার মিসাইল সিস্টেম, মিগ ২৯। এখন আমাদের ফ্রন্ট লাইনের চিকিৎসকরা হাহাকার করছে, মাস্ক নাই, কিট নাই, বেড নাই, আইসিইউ নাই।

করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে কমবেশী আতঙ্কিত আছেন সবাই। কেউ কেউ নিজেকে এই মহামারী থেকে রক্ষার জন্য নিচ্ছেন পদক্ষেপ, আবার অনেকের পক্ষে চাইলেও কিছু সম্ভব হচ্ছে…

আসলে মসজিদ মন্দির গির্জা বন্ধের কিছু না বিষয়টা হচ্ছে জনসমাগম। মসজিদ মন্দির গির্জা ছাড়াও যে কোন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, বাণিজ্য মেলা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গার্মেন্টস, মিল-ফ্যাক্টরি, গণ-পরিবহন অর্থাৎ যেখানে অধিক লোকের সমাগম সেখানেই করোনার ঝুঁকি। কারন প্রবাসফেরত যে কেউ যদি এইসব স্থানে ভিড়ের ভেতর করোনা জীবাণু নিয়ে ঢুকে পড়েন তবে সেটি খুব দ্রুত অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এবং ফলাফল হয় ভয়াবহ।

আঠারো কোটি মানুষের দেশে একটা মাত্র পিসিয়ার টেস্ট ল্যাব থাকবে, আই ই ডি সি আরে, সেটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, উনারা ইচ্ছা করলে স্যাম্পল নিবেন ইচ্ছা করলেই এফোর কাগজে প্রিন্ট করে টেস্টিং বন্ধ করে দিয়ে বলবেন অনলাইনে যোগাযোগ করুন- এইসব হাস্যকর এবং লজ্জাকর দায়িত্বহীনতা।