কোভিড ১৯ ভাইরাস অতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে তা বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠিতে করোনা সংক্রমণের যে চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশ এর তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ দেশের ভেতরেই এই রোগ কমিউনিটি সংক্রমণের পর্যায়ে ঢুকে পড়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
চতুর্থ স্তরটি হল, ব্যাপক সংক্রমণ এবং ব্যাপক মৃত্যু। চীন, ইরান, ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি থেকে আমরা পরিষ্কার ধারণা করতে পারি যে, কীভাবে অতি দ্রুত জ্যামিতিক গতিতে এই মহামারী দাবানলের মত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে দুইমাস সময় পেলেও সরকার সমস্যার দিকে কোনো মনোযোগই দেয়নি। উপদ্রুত দেশগুলোথেকে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী প্রবাসী ভাই-বোনদের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণে কোয়ারেন্টাইন করার সরকারী ব্যর্থতা প্রমান করে যে সমন্বয়হীনতা ও প্রস্তুতির অভাব দেশকে কতবড় বিপদে ফেলতে পারে।
ঘনজনবসতি, দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং সরকারের উদ্যোগহীনতায় বাংলাদেশ এখন প্রচন্ড ঝুঁকির মুখে। মহাবিপদ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেই, সমন্বয় নেই, আক্রান্তরোগী সনাক্তকরণের পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা দেশে নেই; নেই চিকিৎসকদের রক্ষা ব্যবস্থা, নেই যথেষ্ট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভেন্টিলেটার! পরীক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া সরকার আক্রান্ত সংখ্যার যে তথ্য দিচ্ছে তা তাই বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না।
এই বৈশ্বিক ভয়ংকর মহামারীর সময়ে দেশের হাসপাতাল, চিকিৎসালয় এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিরাজমান দুর্বলতা ও প্রস্তুতিহীনতা অনুধাবন করে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উদ্বেগের আরও কারণ হচ্ছে জাতির মহাবিপদের মুহূতে দুর্যোগ মোকাবেলার কোনো সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো বাস্তবতা অস্বীকার করে ‘সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন’ বলে সরকারের মিথ্যা সাফল্যের বন্দনায় মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য যা আমাদের গভীরভাবে চিন্তিত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ করে। বিভিন্ন ছাত্র যুব সংগঠন সহ স্বেচ্ছাসেবী ব্যক্তি ও সংগঠনের দায়িত্বশীল কাজই এখন পর্যন্ত আমাদের ভরসা। কিন্তু এসব উদ্যোগ সমন্বয়েরও কোনো আগ্রহ সরকারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।
এতো বড় মাপের একটি মহামারী সামাল দেয়ার জন্য সঠিক ও সমন্বিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। আমরা চাই,সরকার আর কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পরিবেশবিদ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞমন্ডলীর সমন্বয়ে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এই মহাপরিকল্পনা কার্যকর করবার জন্যে দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে একটি স্বাধীন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টি-ফাংশনাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করতে হবে, যারা নিয়মিতভাবে সরকারের কাজের তদারকি করবে, দিক নির্দেশনা প্রদান করবে এবং সকল নাগরিককে প্রকৃত তথ্য জানাবে। এর জন্য তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে সরকারের প্রতি আমাদের আরও আশু দাবি হচ্ছে:
১। অবিলম্বে শ্বেতপত্রের মাধ্যমে করোনা মহামারী রোধের পরিকল্পনা ও তা কার্যকর প্রণালী জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা- উপজেলায় কতজন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন এবং তাদের সুরক্ষার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম কবে পর্যন্তনিশ্চিত করা যাবে, প্রতিটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ কতটি বেড প্রস্তুত করা যাবে, প্রতিটি হাসপাতালে কতটি ভেন্টিলেটর প্রস্তুত আছে, করোনা পরীক্ষার কতগুলো কিট আছে, প্রতিদিনের ব্যবহারের মানসম্মত গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদির মজুত কতদিনের মধ্যে নিশ্চিত করা যাবে, এই সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই কাজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাযথ বরাদ্দ দিতে হবে এবং নিয়মিত তা স্বচ্ছতার সঙ্গে জনগণকে জানাতে হবে।
২। অবিলম্বে দেশের সর্বত্র বিনামূল্যে টেস্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ এবং তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার যোগান নিশ্চিত রাখতে হবে। কিট তৈরীর কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে দ্রুত খালাস ও ট্যাক্স-মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। দেশের সকল প্রবেশ পথ- বিমান, নৌ, স্থলবন্দর, রেল স্টেশন, নৌঘাট সতর্ক নজরদারীর আওতায় নিতে হবে। অবিলম্বে করোনা সংক্রমণের সময় আক্রান্তদেশগুলো থেকে ফিরে আসা আগত প্রবাসীদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য বা ইতিমধ্যে আক্রান্তঅঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করতে হবে (ম্যাপিং)। গুরুত্ব অনুযায়ী অঞ্চলভিত্তিক জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের ভেতর কক্সবাজার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পর্যটন গন্তব্যগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
৪। কোয়ারেন্টিনের জন্যে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে বড় হোটেল-মোটেল-রিসোর্টসহ উপযোগী ভবনগুলো অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্যে নির্দিষ্ট করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, খালি ভবনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সম্ভব। সিএমএইচ, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সমন্বিত পরিকল্পনায় যুক্ত করতে হবে।
৫। অতি দ্রুত ডাক্তার-নার্স চিকিৎসা কর্মীসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপদ পোশাক ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্যে দ্রæত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। দেশের গার্মেন্টস কারখানা ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই (পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট ) সরবরাহ করতে হবে।
৬। গণপরিবহন ও গণপরিসরগুলো এবং সংক্রমণের হটস্পট নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলখানার ঝুঁকিপূর্ণ জনচাপ দূর করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে, জনচাপ কমাতে বিনা বিচারে আটক, মেয়াদ উত্তীর্ণদের মুক্তি দিতে হবে। ছিন্নমূল ভাসমান মানুষদের জন্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় শিবির খুলে তাদেরকে সরিয়ে নিতে হবে। গাদাগাদি বাস করা বস্তিবাসীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি বস্তিতে পরিচ্ছন্নতার উপকরণ সরবরাহ এবং করোনা মনিটর সেল/ ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রেও অনুরূপ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করবার জন্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। করোনা সংক্রান্ত জরুরী কাজ ছাড়া পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের আপদকালীন সময়ে সবেতন ছুটি দিতে হবে। ছুটিকালীন শ্রমিকদের মজুরি যাতে ঠিকমতো পরিশোধ হয়, সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুতদারী বন্ধ করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নিম্ন আয়ের এবং রোজগার হারানো মানুষদের জন্যে রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। অতি বিপন্ন মানুষ, যেমন, উদ্বাস্তু, দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসী, কারখানার শ্রমিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, ছোট ব্যবসায়ী, যাদের জীবিকা হুমকির মুখে, তাদের জন্যে বিশেষ ভাবে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। এই সুযোগে ঋণখেলাপী, চোরাই টাকার মালিকদের কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়া যাবে না।
৯। বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যকর্মী, ধর্মীয় নেতাদের সাহায্যে পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয় ক্লাব, সংগঠন ও কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করে তাদের প্রচার ও রোগ প্রতিরোধে কাজের সুযোগ দিতে হবে।
১০। এর পাশাপাশি ডেঙ্গু এবং চিকনগুনিয়া মোকাবেলায় সরকারের কী পরিকল্পনা তা প্রকাশ করতে হবে। বর্ষা আসার আগেই আমাদের ডেঙ্গু মৃত্যু রোধ করবার প্রস্তুতিও শেষ করতে হবে, যেটি একই কমিটি থেকে পরিচালিত হতে পারে।
শুধু এই সময়ের করোনা ভাইরাস নয়, বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সম্পদ কেন্দ্রীভবনের ধারা, নদী-বন-বায়ু বিনাশ
আমাদের এমনিতেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই দেশকে নিরাপদ বাসভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে প্রাণপ্রকৃতিবিনাশী ‘উন্নয়ন’ ধারা বদলাতে হবে, সর্বজনের (পাবলিক) চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
এসবের গুরুত্ব এই বৈশ্বিক মহামারীকালে আমরা আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করছি।
নাগরিকদের পক্ষেঃ
১। আনু মুহাম্মদ, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২। তানজীমউদ্দিন খান, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩। মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪। বীথি ঘোষ, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত
৫। অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক, সমগীত
৬। সায়েমা খাতুন, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৭। সামিনা লুৎফা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮। মাহা মির্জা, গবেষক
৯। মিজানুর রহমান, জনস্বার্থ আন্দোলন কর্মী
১০। সিউতি সবুর, শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
১১। সাঈদ ফেরদৌস, শিক্ষক , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১২। লুবনা মরিয়ম, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিল্পনির্দেশক, সাধনা।
১৩। রুশাদ ফরিদী, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৪। গোলাম মোর্তজা, সাংবাদিক
১৫। ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান, সংগীতশিল্পী
১৬। রেহনুমা আহমেদ, লেখক ও গবেষক
১৭। নাজনীন শিফা, অ্যাক্টিভিস্ট, গবেষক
১৮। ড দীনা এম সিদ্দিকী, নৃবিজ্ঞানী ও শিক্ষক
১৯। মুক্তশ্রী চাকমা, অধিকারকর্মী ও গবেষক
২০। খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী
২১। কাজলী শেহরীন ইসলাম, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২২। রোবায়েত ফেরদৌস, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৩। সুলতানা কামাল, মানবাধিকারকর্মী
২৪। অরূপ রাহী, কবি ও সংগীতশিল্পী
২৫। সৌভিক রেজা, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২৬। নাসরীন খন্দকার, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২৭। আজফার হোসেন, শিক্ষক ও লেখক
২৮। আইনুল ইসলাম, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৯। নায়লা আজাদ, নাট্যকর্মী ও শিক্ষক
৩০। আলী রীয়াজ, শিক্ষক ও লেখক
৩১। শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী ও লেখক
৩২। রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক এবং মানবাধিকার কর্মী
৩৩। ইফতেখারুজ্জামান, ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ
৩৪। বদিউল মজুমদার, সংগঠক সুজন
৩৫। জোবাইদা নাসরীন, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৬। মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩৭। শাহীন আনাম, অধিকারকর্মী, মানুষের জন্য
৩৮। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, পরিবেশ অধিকারকর্মী
৩৯। গীতি আরা নাসরীন, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪০। তাসলিমা আখতার, আলোকচিত্রী ও শ্রমিক অধিকারকর্মী
৪১। অবন্তী হারুন, শিক্ষক, ইউল্যাব
৪২। মানস চৌধুরী, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩। বীণা ডি’কস্টা, শিক্ষক ও লেখক
৪৪। রিদয়ানুল হক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫। আনিসুল ইসিলাম হিরু, নৃত্যশিল্পী, শিল্প নির্দেশক, সৃষ্টি সংস্কৃতি কেন্দ্র
৪৬। নোভা আহমেদ, শিক্ষক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
৪৭। লুৎফুর রহমান, কৃষিবিদ ও গবেষক
৪৮। সাদাফ নূর, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৯। লুৎফুন হোসেন, সাবেক শিক্ষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৫০। নুসরাত চৌধুরী, নৃবিজ্ঞানী ও শিক্ষক
৫১। শিল্পী বড়–য়া, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ
৫২। মাইদুল ইসলাম, শিক্ষক, সমাজতত্ত¡ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫৩। রোজিনা বেগম, গবেষক
৫৪। কল্লোল মোস্তফা, প্রকৌশলী, লেখক
৫৫। জ্যোতির্ময় বড়–য়া, আইনজীবী
৫৬। হাফিজ উদ্দীন খান, সুজন
৫৭। আইনুন নাহার, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৫৮। সৌম্য সরকার, শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৫৯। কাজী মারুফুল ইসলাম, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬০। ফাহমিদুল হক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬১। অমিতা চক্রবর্তী, শিক্ষক, সম্পাদক- বয়ান
৬২। আরমান হোসেন, ক্ষুদে ব্যবসায়ী
৬৩। হামিদা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী