শুধু মাত্র নির্বাচন, একে অন্যের দোষারোপ আর মুজিব বর্ষ নিয়ে ব্যস্ত না থেকে দয়া করে একটু দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিন।আপনার ক্রয় ক্ষমতা আছে আপনি কিনছেন কিন্তূ আমি কিংবা আমার মতো দরিদ্র মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয়।যাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই ভয়ে এগুলো নিয়ে কথা বলতে চায় না।

যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখনই সেই দল রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে ব্যস্ত থাকে। এ যেন বাংলাদেশের রীতি হয়ে গেছে। সুস্থ মস্তিস্কে ভেবে দেখেনতো ওই সব নাম ধারী রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ আসলেই কি দেশের ভালো চাই।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক ব্যক্তির সন্তানেরা স্বাধীন বাংলাদেশে নয় বরং বিদেশে পড়াশুনা করতে যায়।কিন্তূ কেন? তবে কি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান ভালো নয়।যদি তাই হয় তাহলে এত টাকা/ভাতা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী কিংবা মন্ত্রণালয় রাখার দরকার কি?

আমরা বাবা মারা গেছেন ২০০০ সালে। তার অনেক ইচ্ছা ছিল এলাকার কাঁচা রাস্তা পাঁকা করার।করেছেনও।এর জন্য যদিও তাকে অনেক কাটখোর পোহাতে হয়েছে। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। অনেক বার বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাছে গিয়েছেন কিন্তূ কোনো ফল পান নি। পরবর্তীতে নিজের কিছু জমানো টাকা আর জায়গা জমি বিক্রি করে ৫ কি:মি: রাস্তা নিজের টাকায় পাকা করে দিয়েছিলেন। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না।

একটু আগ্রহ নিয়েই নির্বাচনের আগের রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরলাম নির্বাচনের অবস্থা জানতে। রাত পোহালে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ”কালও হয়তো সেই জাতীয় নির্বাচনের মতো হবে। আগের রাতে ব্যালট বাক্স সিল আর সিলে ভর্তি হয়ে যাবে। ভোট দিতে আমাকে আপনাকে যেতেই হবে না। ঠিক এই কথা গুলোই বলছিলেন একজন রিকশাওয়ালা, চায়ের দোকানদার এবং বাসের হেলপার”। যদিও আমার ধারণা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে।

বলতে পারেন এই চায়ের দোকানদার, রিকশাচালক কিংবা বাসের হেলপার ওরা হলো গন্ড মূর্খ। ওরা কি বুঝে? কিন্তূ আপনি জানেন কি এই মানুষ গুলোই প্রকৃত দেশ প্রেমিক। কেন দেশ প্রেমিক তা বলছি। কারণ এরা যা আয় করে তার পুরোটাই দেশের মধ্যে ব্যয় করে।

বিচারহীন বাংলাদেশ। ক্ষমতার লোভে অন্ধ বিবেক বর্জিত মানুষজন।আমি দেখেছি ক্লাস এইটে পড়া একটা বাচ্চা ছেলেও মিছিলের সামনে থেকে স্লোগান দিচ্ছি অমুক ভায়ের ভয় নাই ,রাজপথ ছাড়ি নাই। অথচ তার তো এই প্রশ্ন সরকারের কাছে করার কথা ছিল, কেন পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের নামধারি রক্তের বন্ধু ইন্ডিয়া নির্বিচারে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিদের হত্যা করছে?

সমস্যাটা ঠিক এখানেই। আমাদের ক্ষমতা দরকার। অনেক বেশি ক্ষমতা দরকার। নেতা ভাইয়ের পা চাটা ক্ষমতা দরকার।

দেশকে ভালবাসতে হলে রাজনীতি করতে হয় না। শুধু নিজের বিবেক আর বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হয়।প্রতিবাদ করুন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিন আপনি কিংবা আপনারা দেশের এবং দশের ক্ষতি করছেন। জবাব দিহিতার পরিবেশ তৈরি করুন।

আজ বাজারে পিঁয়াজের দাম আবার ১৬০/১৭০ টাকা করে কেজি।সর্ব নিম্ন চালের দাম ৪৪টাকা কেজি। এত উর্ধ মূল্য দিয়ে দৈনন্দিন জীবনে আমরা খাদ্যদ্রব্যের যোগান দিয়ে যাচ্ছি। আবার আমাদের অনেক মন্ত্রী মহোদয় বলছেন বাংলাদেশে কোনো কিছুর অভাব নাই কারণ কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ।

ওই দিকে আবার নিজের দেশের এত এত সমস্যার মধ্যেও আমরা রোহিঙ্গাদের জামাই আদর করে ঘর জামাই বানিয়ে রেখেছি। আজ এত বছর হয়ে গেল কিন্তূ এখনো কেন এই সমস্যার সমাধান হলো না। তবে কি কূটনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ ব্যর্থ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে।

পরিবর্তন আসবেই
দলকানা রাজনীতি নিপাত যাবেই….
দেশ আমার,দোষও আমার।

মোস্তাকিন এম সামিউ

Share.

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

Leave A Reply