সারা পৃথিবীতে এখন একটি চুড়ান্তরকম আতংকাবস্হা চলছে।
কিন্তু উন্নয়নের সিংগাপুর হতে যাওয়া,বাংলাদেশের হর্তাকর্তারা, এইরকম দূর্যোগকালিন সময়েও অসহায়, প্রতারিত, নিরুপায় জনগনের সাথে তামাশা চালিয়ে যাচ্ছেন। এইসব ছদ্মবেশী দরদিরা কোটি কোটি নিরন্ন কর্মহীন মানুষকে কখোনো ঢাকা থেকে শত কিলোমিটার হেটে যেতে বাধ্য করছেন, আবার কিছুদিন পরেই অসহায় মানুষগুলোকে নানাঝুঁকির মধ্যদিয়ে শত শত মাইল হেটে আসতে বাধ্য করছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমনের তীব্রঝুকির মাইনবোমার উপর থাকা একটি জনপদকে যতপ্রকারে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত করা যায়, প্রশাসন সর্বাত্বক ভাবে তাতে সহায়তা করেছে। টেলিভিশন গুলাতে দেখানো বাতাবিলেবুর বাম্পার ফলনের দেশ আজ তীব্র খাদ্যসংকটের মুখোমুখি। শহর, গ্রামে লাখ লাখ মানুষের মিছিল ছুটছে কেবলমাত্র বেচে থাকার জন্য খাদ্যের আশায়।
অন্যদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা ফেরাউনগুলা/ তস্করগুলা, লেমনজুস, কাবাব খেতে খেতে ভিডিওকনফারেন্সে দেশউদ্ধারের মশকরা করে চলেছেন। দূর্ভাগা দেশ আমার। এই আসন্ন কেয়ামত মোকাবিলার এত সুযোগ পেয়েও প্রশাসন সেদিকে মনোযোগ দেয়নি। বরং বিভিন্ন আজাইরা অনু্ষ্ঠান, প্রজেক্ট করে পুরা জাতিকে এক ভয়ংকর দুঃসময়ের মাঝে ফেলা দিয়েছে। নিদারুণ ক্ষুধা ,রোগ, শোক আশংকার মাঝে জর্জরিত একটি জাতিকে বাধ্য হয়ে দেখতে হয়েছে বমি উদ্রেককারি কোটি টাকার আতশবাজি। সব কিছু মনে রাখা হবে। এই সব কিছই ইশ্বরকে বলা হবে। এই সব কিছুই মনে রাখা হবে।
এই দূর্যোগকে মোকাবেলা করার জন্য, কিছু না করেই বড় বড় কথার তুবড়ি ছুটিয়েছেন নেতানেত্রীরা। হাজার হাজার কোটি টাকা গুম করেছেন আর খেক খেক করে হেসেছেন। নূন্যতম personal protective equipment (ppe) যোগান না দিয়েই চিকিৎসা ব্যবস্হার বারোটা বাজিয়েছেন এইসব বেআক্কেল ব্যক্তিরা। সাথে সাথে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, কানধরিয়ে, জুতাদিয়ে পিষে মানবাধিকারকে দেশছাড়া করেছে এই স্বার্থন্বেষী মহল। এলিট বুদ্ধিজীবীরা অপেক্ষায় আছেন, হুকম মোতাবেক নিরাপদ কিছু নাচ গান করে ফায়দা হাসিলের। ক্ষুধার্থ মানুষগুলোকে মেরে ফেলার ব্যবস্হা করে চলছে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ তৈরির কাজ ।
ক্ষুধা এবং করোনার ঝুকিতে আছে লাখ লাখ মানুষ। মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাওয়া একটি রাস্ট্র করোনার মতো প্রানঘাতি একটি রোগের সংক্রমনের সময়, সম্পদ অসমবন্টনের কারনে চালডালেরও ব্যবস্হা করতে পারছেনা। কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশের ক্ষেত্রে এটি ভাবা যায় ! ! মহামারী নির্মমভাবে আক্রমন চালালে যে কি হবে সেটিও ভাবা যায় না। করোনায় মরবে, ক্ষুধায় মরবে, বিনা চিকিৎসায় মরবে মানুষ, তীব্র মানসিক যন্ত্রনায় মরবে এই জাতি। এই তীব্র যন্ত্রনার মাঝে আলোকবর্তিতা হয়ে এগিয়ে আসবে কিছু মানুষ। সম্পদের লোভে লোভি মানুষ কখনোই কিছু করে না। সাধারণ মানুষই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে, এগিয়ে আসে।