শতেক বছর যুদ্ধ শেষে বৃটিশ গেলো ফেরত ঘর
রাইখা গেলো পোষমানানো খয়েরী সাহেব দেশের পর
যে রাজাতেই মুকুট পরুক-দেশের মালিক বুরোক্রেট
দেশের মানুষ না খাক, মরুক-উচ্চ সদা তাদের পেট
যতই তারা গাড্ডা মারুক-মাইনে মাসিক বান্ধা তার
সবকিছু ভাই বদলে গেলো-আমলার হিসেব মান্ধাতার
বৃটিশ রানীর লোভের দালাল করতো যেমন লাক্সারী
ঠিক তেমনই আজও তাদের ঘরবাড়ি সব সরকারী
তখন তাদের পুষতো রানী-এখন পোষে কামলারা
তাদের দেয়া পয়সা চুষে ঢোল হয়েছে আমলারা
অথচ যার টাকায় চলে-যাদের সেবার চাকরি তার
তাদের যখন খুব প্রয়োজন-আমলা তখন নির্বিকার
ভাবটা এমন-আমলা বাদে তুচ্ছ ওরা কামলা সব
দেশটা ভরা অশিক্ষিতে-শিক্ষিতরা আমলা সব।
বুঝছি-তোমার ওজন অনেক-হইসো তুমি বং-সাহেব
আমজনতার করলে সেবা রয়না তোমার ঢং-সাহেব
আমলা তুমি হইসো দারুণ-চকচকে শান ঊর্দিতে
চাইলে তুমি হাঁকাও গাড়ি রাস্তাঘাটে ভুলদিকে
আজকে তুমি দেশের রাজা-গদি তোমার কাঁধের পর
যখন গদি পড়বে ভেঙ্গে-ভর করবে কাদের পর?
আচ্ছা-নাহয় ফুর্তি করো শেষ যতদিন আহ্লাদের
আর বেশিদিন নেইতো বাকি-আসবে বিকেল কামলাদের..
–অনুপম দেবাশীষ রায়
বৃত্তবাড়ি, শুভ্রচিঠি
ভার্জিনিয়া
১২/১৮/২০১৭