২৫ বছরের নারী জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি হচ্ছে কর্পোরেটদের ধান্দাবাজিতে পা না দেয়া।
নারী দিবসেও দেখবেন সো-কল্ড ফরসা ত্বক, কোমল ত্বক, মোলায়েম ত্বক, লোমহীন ত্বক, পারফেক্ট স্কিন, পারফেক্ট বডি- এসব প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিতরা হাস্যকর সব কায়দায় নিজেদের ধান্দাবাজি করে যাবে। একটাও কাজের কাজ এরা কোনোদিন করবে না।
মানুষকে তার নিজের শরীর নিয়ে ইনসিকিউরড ফিল করানোই এদের মূল উদ্দেশ্য, এমনেই এরা ব্যবসা করে। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে তাদের প্রোডাক্ট কিনলে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে, জীবনে শাইন করা যাবে, চাকরি পাওয়া যাবে, খেলাধুলা-পড়াশোনায় আগানো যাবে এসবের মতো ভুয়া আলাপ আর নাই।
এমনকি স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনেও এরা দেখায় যে এদের প্যাড ব্যবহার করে নারীরা নাকি আকাশে উঠে যাচ্ছে! অথচ পিরিয়ডের সময় যে বিছানা থেকেও উঠার অবস্থা থাকে না অনেকের, হরমোনাল গ্যাঞ্জামের কারণে যে কিছু করার অবস্থা থাকে না এসব নিয়ে কোনো আলাপ নাই।
অফিসগুলাতে পিরিয়ড লিভ কেন দেয়া প্রয়োজন এ নিয়ে কারো কোনো আলাপ নাই।
নিজের চেহারার ব্রণ, ডার্ক সার্কেল, গায়ের লোম, পিরিয়ড হইলে বিছানা থেকে উঠতে না পারা এগুলি স্বাভাবিক বিষয়। এসব নিয়ে ইনসিকিউরড না হয়ে বরং স্বাভাবিকভাবে নিলেই আপনি কনফিডেন্ট।
Happy International Women’s Day, y’all.
লেখকঃ সুচিস্মিতা তিথি