বাংলাদেশের রাজনীতি অতীতের তুলনায় অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে, তবে এই পরিবর্তনের পরিণতি কতটা সফল এবং জনগণের জন্য কতটা লাভজনক, তা নিয়ে আজও প্রশ্ন উঠছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিষেক হয়, তাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। তারা আশা করেছিল যে, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে, যেখানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখলাম, ৬ মাস পার হওয়ার পরেও সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং দেশে প্রতিদিন ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষকে একদিকে যেমন হতাশ করেছে, অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের জন্য একটি বড় প্রশ্নও তুলে ধরেছে— “আসলেই কি আগেই ভালো ছিলাম?”
এসব ঘটনা যদিও আওয়ামী লীগের সময়েও ঘটেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা প্রকাশও পায়নি, তবু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন কারণ এ সরকারের উপর আছে এক প্রত্যাশার চাপ। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতনের পর সাধারণ জনগণ দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো। একদল সবসময় বলতে লাগলো, আগেই ভালো ছিলাম। ওরা মূলত ভূতপূর্ব আওয়ামী লীগ কর্মী অথবা আওয়ামী লীগ থেকে কোনোভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠী। আরেকদল মানুষ নিতান্তই সাধারণ জনগণ যারা আশায় বুক বেধেছিল যে এবার পরিবর্তন আসবে। ছাত্র-সমন্বয়কদের কথার উপর ভরসা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা রেখেছিলো তারা। সরকার পতনের পরপরই দেশে অরাজকতা ও বিশৃংখলা বেড়ে যাওয়ার পরেও কিন্তু এই বিশাল সংখ্যক মানুষ সরকারকে ৬ মাস সময় দিয়েছে। তাতেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়ায় মানুষের মনে ধীরে ধীরে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, যা আন্দোলনের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে।
সরকার পরিবর্তনের পর বাস্তবতা
সরকার পরিবর্তন একসময় ছিল সাধারণ মানুষের কাছে একটি নয়া আশার প্রতীক। বিশেষ করে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যারা সড়ক, রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তারা চিন্তা করেছিল, দেশের চেহারা বদলাবে, এক নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও তারা সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, বরং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। দেশে প্রতিদিন ছিনতাই ,ডাকাতি ও ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে অথচ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে অস্থিরতা বেড়েছে। আর যখন জনগণ এই পরিস্থিতি দেখছে, তারা বুঝতে পারছে যে, সরকার পরিবর্তন করেও আসলে কিছু বদলায়নি। এর প্রেক্ষিতেই গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবী ওঠে, যার প্রভাবে তিনি রাত তিনটা বাজে প্রেস ব্রিফিং করে বলেন, আগামীকাল থেকে ডেফিনেটলি পরিস্থিতির ইম্প্রুভ হবে। এরকম আশ্বাস ইতোপূর্বে আওয়ামীলীগ সরকার থেকে আমরা বহুবার পেয়েছি, কিন্তু কোন বাস্তবায়ন দেখিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা তাদের এই প্রতিশ্রুতির যেন বাস্তবায়ন হয়।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ স্পষ্টভাবে তাদের নিজস্ব স্বার্থে প্রচার চালাচ্ছে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারা জনগণের মধ্যে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলে বর্তমান অস্থিরতা সৃষ্টি হতো না। এজন্য তারা একটি বিশাল তহবিল গঠন করে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং দেখানোর চেষ্টা করছে যে, বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তবে, বাস্তবতা অনেক বেশি জটিল।
দেশের অস্থিরতা, অপরাধ, এবং রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু নতুন সরকারের কারণে সৃষ্টি হয়নি। এটি বহু বছর ধরে চলে আসা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং সুশাসনের অভাবের ফল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো একই ধরনের সহিংসতা, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সংকট ছিল। এখন পরিস্থিতি বদলানোর পরিবর্তে আরও অস্থির হয়ে গেছে, যা প্রমাণ করে যে সমস্যার মূল অনেক গভীরে।
রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় নিজেদের স্বার্থে সংকটকে ব্যবহার করে। বিএনপি যেমন আওয়ামী লীগের শাসনামলে অস্থিরতাকে হাতিয়ার বানিয়েছিল, তেমনি আওয়ামী লীগ এখন সেটাই করছে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, সাধারণ জনগণ কী ভাবছে? জনগণের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এ সংকটের জন্য শুধু নতুন সরকার দায়ী নয়, বরং আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ দেখানো, যাতে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পারে। বিভিন্ন সহিংস ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠছে, যা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের একটি অনলাইন মিটিং এর একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় যেখানে গাজীপুরের মেয়র জাহাংগীর বলেন, যে শহরে আমরা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা) দিনের বেলায় ঘুরতে পারিনা, সেখানে রাতে কাউকে ঘুমাতে দেব না। আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি আছে। এর মাধ্যমে এটি প্রতীয়মান হয় যে, এসব ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এর ফলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবে এবং আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করবে।
সরকারের দায়িত্ব
এই মুহূর্তে বর্তমান সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নত করা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ—এসব ঘটনাকে রুখে দিতে সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। যদি সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে জনগণের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি হবে। বর্তমানে যারা আন্দোলন করেছিল তারা তো এখনই তীব্র অনিশ্চয়তা বোধ করছে— এতো কষ্ট করার পর কি আসলেই কিছু বদলেছে?
গণতন্ত্র, নির্বাচন বা রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা জনসাধারণের জীবনে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারেনি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু তার পরেও সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়নি। অতীতেও দেশের এই সমস্যা ছিল এবং বর্তমানে তা আরও বেড়েছে। সাধারণ জনগণ যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। এতদিন যারা আশায় ছিল নতুন নেতৃত্ব আসলে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে তারাও এখন সংশয় প্রকাশ করছে যে আসলেই কি আগেই ভালো ছিলাম?
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু তার পরেও সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়নি। অতীতেও দেশের এই সমস্যা ছিল এবং বর্তমানে তা আরও বেড়েছে। সাধারণ জনগণ যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। এতদিন যারা আশায় ছিল নতুন নেতৃত্ব আসলে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে তারাও এখন সংশয় প্রকাশ করছে যে আসলেই কি আগেই ভালো ছিলাম?
হাসিনা পতনের পরদিন থেকেই আওয়ামী লীগ এই কথা বলে যাচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধারণাটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশাল ফান্ড নিয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় যারা আন্দোলন করে সরকার পরিবর্তন করল তারাও এখন অনিশ্চয়তার ভুগছে। কারণ দিনশেষে সবচেয়ে জরুরি নিজের জানমালের নিরাপত্তা। রাস্তায় বের হলেই যদি ছিনতাই আতঙ্কে ভুগতে হয়, এমনকি ঘরে থেকেও যদি মানুষ নিরাপত্তাহীন বোধ করে যে যেকোন সময় ডাকাতের আক্রমণ হতে পারে তখন আর সংস্কারের গালভরা বুলি মানুষের বেশিদিন ভালো লাগবে না। জনগণ এখন হার্ডলাইনে চলে গিয়ে নিরাপত্তা দিতে না পারলে গদি ছাড়ার দাবীও করছে। এই অবস্থায় বর্তমান সরকারের উচিত জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা।
পুলিশের ভূমিকা
পুলিশের কার্যক্রমে আরও উন্নতি আনা প্রয়োজন। তারা যেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনার মোকাবিলা করে। পুলিশের কার্যক্রম আরও উন্নত করতে হলে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন নজরদারি এবং আধুনিক গোয়েন্দা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব। অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশকে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করতে হবে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা দরকার।
একই সঙ্গে, সেনাবাহিনীও যাতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে–তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড থেকে বিরত থেকে। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা উচিত নয়। বিশেষ করে, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা টহল ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। জনগণকে সচেতন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করাও অপরিহার্য। প্রশাসনকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে হবে, যাতে মানুষ আতঙ্ক নয়, বরং আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলাফেরা করতে পারে।
সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা উচিত নয়। বিশেষ করে, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা টহল ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। জনগণকে সচেতন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করাও অপরিহার্য।
অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলে প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়াতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে, যাতে কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রভাব পড়ে না। বিশেষ করে সন্ত্রাস, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং ধর্ষণের মতো বিষয়গুলোতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতের বেলা টহল ব্যবস্থা জোরদার করা, প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা, এবং নাগরিকদের দ্রুত সাহায্য পাওয়ার জন্য হটলাইন ও মোবাইল অ্যাপসের ব্যবহার বাড়ানো দরকার। সাধারণ মানুষ যেন নির্ভয়ে জীবনযাপন করতে পারে, সেটাই হতে হবে সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের উচিত জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং অপরাধ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কেননা, কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তন বা আন্দোলনের পর যদি সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তবে সেই পরিবর্তন তেমন কোনো অর্থ বহন করবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি না উন্নত হয়, তবে সরকার পরিবর্তন বা আন্দোলনের যে মূল্য ছিল তা জনগণের কাছে নষ্ট হয়ে যাবে। এটি সরকার এবং দেশের জন্য একটি বড় পরীক্ষা।
দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এতকিছুর পরেও এসব নিয়ে কথা বললে একদল মানুষ ট্যাগ দিয়ে দেয়- আফসোস লীগ! এই ট্যাগের রাজনীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত ও স্বীকার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে যদিও আমি মনে করিনা, আগেই ভালো ছিলাম, কিন্তু এটা তো মিথ্যে নয়, গত কয়েক বছরে সন্ধ্যার পর বের হতে এতটা ভয় করেনি যতটা এখন করে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের ভার কিন্তু বর্তমান সরকারের ওপর। জনগণের আশার প্রদীপ যেন নিভে না যায় সেই দায়ও যেন তারা ভুলে না যান।
অপরাজিতা দেবনাথ ঢাকা জজ কোর্টের একজন এডভোকেট
Leave A Reply