সেদিনের রক্তিম আকাশ বোধহয় পূর্বাভাস দিয়েছিলো,
কন্সট্রাকশান এর কন্সপিরেসি বুঝেছে সবাই,
তবুও,আঁধারের মতো গ্রাস করার পরও,নিশ্চুপ ষোল আনা-ই,
বোবা সাজতে হয় এই নিয়ম তো প্রায় সবাই মেনে নিলো।
শুধু দুই-একজন আধপাগল,
সেদিনও ধোঁয়াটে আঁধার ফুঁড়ে
বাক্যবাণ ছুঁড়ে
কালো মেঘগুলোকে হটিয়ে যে আলোক সন্ধানী হয়েছিলো,
সেদিনের সেই রক্তিম আকাশ তারই অশনি সংকেত দেখিয়েছিলো।
জনতা আজও ঘাড় ফিরিয়ে একবার চেয়ে দেখবে
পুরনো ঢঙে, পরিচিত লাশটাকে,
তারপর তথৈবচ, শুধু ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মস্তিষ্ক জানবে
যে, আরও একটা অংশ হারাতে হলো তাকে।
৩২ নম্বর মেঘের ওপারে তাঁর চোখে হয়তো অশ্রু,
বিপ্লবীদের আজন্ম হাহাকার,
তবুও আশাহত নই।জননীর আশীর্বাদ করুক তাদের দীর্ঘায়ু,
যারা আসবে, এই আঁধার দূর করতে।
লাল সবুজের তীক্ষ্ণ বেয়নেট অপেক্ষায়, আঘাত হানার।
~ইরাবতী চৌধুরী ( ছদ্মনাম ) , বিসিআইসি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ~