সমস্যাটা মিজ সেব্রিনার শাড়িতে নয়। তিনি কয়টি শাড়ি পরে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলেন এই জাতীয় ইনভেস্টিগেশন আপনার মিসোজিনিস্ট ক্যারেকটারকে রি-প্রেজেন্ট করে।
বরং প্রশ্ন করুন-
১০ লাখ ফোন কলের মধ্যে মাত্র হাজার দেড়েক মানুষকে করোনা টেস্ট করান কোন যুক্তিতে?
৮ মার্চ প্রথম রোগী সনাক্ত হলো, তারপর থেকে অদ্যাবধি কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
কেনো প্রতিটি জেলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা গেলো না?
সারাদেশে সর্দি-জ্বর-কাশিতে মানুষের মৃত্যুহার আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। মরার আগে এঁরা চিকিৎসা না পেয়ে জানতেও পারল না কী
অসুখে মারা যাচ্ছে। এঁদের টেস্ট না করতে পারার দায় আপনি কীভাবে এড়াবেন?
পর্যাপ্ত টেস্টের ব্যবস্থা না করে কোন যুক্তিতে বলেন – আজ একজনও করোনা সনাক্ত হয়নি, একজনও করোনায় মারা যায়নি?
এসব প্রশ্ন না করে মীরজাদি ফ্লোরার শাড়ির দিকে তাকায়ে থাইকেন না। তিনি নামকরা স্কলার তার ফিল্ডে। আপনারা যারা তাঁর শাড়ি-গয়না নিয়া পইড়া আছেন, যোগ্যতায় ওনার পদচরণে ঠাঁই নেওয়ারও উপযুক্ত নন। মনে রাইখেন।
তবে হতাশাজনক রুঢ় সত্য হচ্ছে ঐতিহাসিক এই সময়ে তিনি সরকারের পাপেটে পরিণত হয়েছেন। চাকরি হারালে তাকে না খেয়ে মরতে হবে না। তথাপি তিনি নিজেকে বিকিয়ে দিলেন ক্যানো? এইটা হয়েছে পাওয়ারের কারণে। অর্থকড়ির সাথে সাথে পাওয়ারের নেশা টাকিলার (মদ) নেশা থেকে কম নয়। ওই নেশা মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার মত দেশের অনেক নামকরা প্রোফেসর, ডাক্তার, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিককে স্রেফ চাটুকার-দালালে পরিণত করেছে।