দেশের মানুষ ও দেশ আজ করোনার কবলে পরে চরম ভাবে বিপদগ্রস্থ । অনেকের দুই বেলা খাবার জুটছে না, বাঁচতে হচ্ছে খুব কষ্টে । ঠিক এই সময়ে চোখে পরছে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অমানবিকতা। শিক্ষা জাতির মেরূদন্ড, একটি জাতির যোগ্যতা যাচাইয়ে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। দেশের শীর্ষ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্বেও তারা এই তিন মাসের বেতন দাবি করছেন আর এই বেতনের তালিকায় বিদ্যুৎ বিল, কম্পিউটার ল্যাব ফি , এক্সাম ফি , বাস ফি সহ আরো অনেক ধরনের ফি। সব মিলিয়ে টাকার অংকটা ভালোই বড়ো হয়ে যায়। এই বেতন দিতে ব্যার্থ হলে আবার নতুন করে রি-এডমিশন নিতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের। দেশের এই সংকটময় অবস্থায় অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার আর্থিক সংকটে আছে। আর নিম্মবিত্ত পরিবারের অবস্থার কথা সবারই জানা। এখন আমার প্রশ্ন হলো এই যে এতো এতো ফি দাবি করছেন এই তিন মাস তো সব বন্ধ ছিলো এক্সাম হলো কখন? বাস ব্যাবহার হলো কখন? কম্পিউটার ল্যাব ব্যাবহার হলো কখন? প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে তাহলে বিদ্যুৎ বিলটাও বা কতো আসলো?
যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হয় দেশের মেধা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর দেশের এমন সংকটকালে এই ধরনের অমানবিক কর্মকান্ড আজ আবার আমাদের নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে যে, আদৌ কি তারা শিক্ষার্থীদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছেন? কারণ যেই ছাত্র-ছাত্রীরা দেখবে তাদের পিতা মাতা এই টাকা জোগাড় করতে পারছেন না বা পারলেও নিজেদের সংসারে ডাল ভাত খেতে কষ্ট হয়ে যাবে তদের মানসিক সাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তারা যখন বড়ো হয়ে এই দেশের বিভিন্ন দায়িত্ব নিবে তারাও আর মানবিক হবে না, তাদের কাছেও ব্যাপার গুলো স্বাভাবিক বলেই মনে হবে। আজকে যদি কোন অভিভাবকের এই টাকা জোগাড় করার চাপে যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এর দ্বায়ভার নিবে?
শিক্ষা প্রদান বাংলাদেশে এক ধরনের ব্যাবসা হয়ে উঠেছে আগেই । এতোদিনে নিঃসন্দেহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর তহবিলে কিছু হলেও টাকা জমা হয়েছে আর সরকার থেকেতো তাদের তহবিলে টাকা প্রদান করা হয়। তাহলে কেন এই অমানবিকতা?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর এই অমানবিকতা নিয়ে এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউ জি সি) এর কোনো মন্তব্য বা চিঠি লক্ষ্য করা যায়নি। দেশ ও জাতির কল্যানে অনতিবিলম্বে এই অমানবিক ও ব্যাবসায়িক কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে।
আরাফ ইবনে সাইফ